বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত জায়গায় নাপাকি থাকার বিষয়টি সেই ব্যাক্তিদের জানাতে হবে।
কোনো কিছু সেখানে রাখলে তাতে নাপাকি লাগলে পাক করতে হবে।
(০২)
ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ওয়াক্ত মত আদায় না করে পরবর্তী ওয়াক্তে বা পরবর্তীতে আদায় করা কবিরাহ গুনাহ।
আল্লাহ তায়ালা জিম্মাদারি উঠিয়ে নেন।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ أَوْصَانِي خَلِيلِي ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ " لاَ تُشْرِكْ بِاللَّهِ شَيْئًا وَإِنْ قُطِّعْتَ وَحُرِّقْتَ وَلاَ تَتْرُكْ صَلاَةً مَكْتُوبَةً مُتَعَمِّدًا فَمَنْ تَرَكَهَا مُتَعَمِّدًا فَقَدْ بَرِئَتْ مِنْهُ الذِّمَّةُ وَلاَ تَشْرَبِ الْخَمْرَ فَإِنَّهَا مِفْتَاحُ كُلِّ شَرٍّ " .
আবূ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার প্রিয় বন্ধু (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে এই উপদেশ দিয়েছেনঃ তুমি আল্লাহর সাথে কোন কিছু শরীক করো না, যদিও তোমাকে টুকরা টুকরা করে ছিন্নভিন্ন করা হয় অথবা আগুনে ভস্মীভূত করা হয়। তুমি স্বেচ্ছায় ফরয নামায ত্যাগ করো না। যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় তা ত্যাগ করে তার থেকে (আল্লাহর ) যিম্মাদারি উঠে যায়। তুমি মদ্যপান করো না। কেননাতা সর্বপ্রকার অনিষ্টের চাবিকাঠি।
(ইবনে মাজাহ ৪০৩৪.মুসনাদে আহমাদ ২৭৩৬৪.মিশকাত ৫৪০, আত-তালীকুর রাগীব ১/১৯৫, ইরওয়া ২০৮৬।)
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ أَبِي جَنَابٍ، عَنْ مَغْرَاءٍ الْعَبْدِيِّ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ سَمِعَ الْمُنَادِيَ فَلَمْ يَمْنَعْهُ مِنَ اتِّبَاعِهِ عُذْرٌ " . قَالُوا وَمَا الْعُذْرُ قَالَ خَوْفٌ أَوْ مَرَضٌ " لَمْ تُقْبَلْ مِنْهُ الصَّلَاةُ الَّتِي صَلَّى " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَى عَنْ مَغْرَاءٍ أَبُو إِسْحَاقَ . صحيح
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মুয়াযযিনের আযান শুনা সত্ত্বেও কোনরূপ ওজর ছাড়া (বিনা কারণে) জামা‘আতে সলাত আদায়ে বিরত থাকে তার অন্যত্র (একাকী) সলাত কবুল হবে না। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, ওজর কি? নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ভয়-ভীতি অথবা অসুস্থতা।
(আবু দাউদ ৫৫১.বায়হাক্বী ‘সুনানুল কুবরা’ (৩/৭৫), হাকিম (১/পৃঃ ২৪৫), দারাকুতনী (১/পৃঃ ৪২১)
★★শুধু জামা'আত ছেড়ে দেওয়ার কারনেই হাদীস শরীফে এমন কঠিন বাক্য ব্যবহার হয়েছে,সুতরাং নামাজ কাজা করলে সেটি আরো বড় মারাত্মক অপরাধ হবে।
,
অনেক ফুকাহায়ে কেরামগন বলেছেন ইচ্ছাপূর্বক ভাবে নামাজ কাজা করা চুরি করা যেনা করার চেয়েও মারাত্মক বলে আখ্যায়িত করেছেন।
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ شَقِيقٍ العُقَيْلِيِّ، قَالَ: كَانَ أَصْحَابُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لاَ يَرَوْنَ شَيْئًا مِنَ الأَعْمَالِ تَرْكُهُ كُفْرٌ غَيْرَ الصَّلاَةِ.
হযরত আব্দুল্লাহ বিন শাকীক রহঃ বলেছেন, হুজুরে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবাগণ কোন আমল ছেড়ে দেয়াকে কুফরী মনে করতেন না শুধু নামায ব্যতীত। অর্থাৎ নামায ছেড়ে দেওয়াকে তারা কুফরীর প্রায় নিকটবর্তী কাজ মনে করতেন। [সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-২৬২২]
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তির উপর থেকে আল্লাহ তায়ালা জিম্মাদারি উঠিয়ে নিবেন।
তবে কাজা আদায় করার পর তওবা করলে এবং ভবিষ্যতে আর এহেন কাজ না করার ওয়াদা বদ্ধ হলে আল্লাহ তায়ালা আবারো তার জিম্মাদারী নিবেন,ইনশাআল্লাহ।
(০৩)
আপনি হাম্বলি মাযহাব অনুযায়ী চললে হানাফি মাযহাবের কোনো মাসয়ালা মানতে পারবেননা।
এতে শরীয়তের আনুগত্য নয়,বরং নফসের পূজা হবে।
(০৪)
নাপাকির চিন্হ,গন্ধ না থাকায় সেই বিছানায় পাক জামা কাপড় রাখলে সমস্যা হবেনা।
তবে ভেজা জামা (যাহা হতে পানি টপকিয়ে পড়ে) কাপড় তাতে রাখবেননা।
আর উক্ত বিছানার উপর জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজ পড়া যাবে,সমস্যা নেই।