আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
115 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম। 

১/  অযুর সময় ধরুন, মুখে পানি দেয়ার পর মুখ এ হাত ঘষি যাতে পানি সবখানে পৌছায়। এভাবে মুখের পর্ব শেষ হলে হাতে কিছু পানি লেগে থাকে। এখন, মুখ ধোয়ার পর,, ডান হাত ধোয়ার পর যখন অন্য হাত দিয়ে ঘষি তখন অন্য হাতে সেই লেগে থাকা পানি ও থাকে। মানে যে পানি দারা আগে কিছু করা হয়েছে সেটা সাথে থেকে অন্য অঙ্গ ঘষা হয়ে যায়। এতে কি অযু হবে?

২/ ধরুন মুখে পানি দেয়ার পর মুখ হাত দিয়ে ঘষব। এখন, হাতে যদি অন্য পানি এসে পড়ল বা আগে থেকেই ছিল(যেমনঃবৃষ্টির পানি)। তাহলে মুখে ঘষার সময় সেই বাইরের পানিও সাথে থাকছে। এক্ষেত্রে কি অযু হবে?[ট্যাপ বা কল বা মগ যা দিয়ে অযু করি না কেন এর হাতলে অন্য পানি লেগে থাকে]

৩/ কুলি করার জন্য মুখে পানি দিয়ে পরবর্তীবার হাতে আবার পানি নিলাম। কিন্তু কুলি করে ফেলার সময় কিছু পানি ওই ২য় বার কুলি করার জন্য হাতে নেয়া পানির মধ্যে গিয়ে পড়ল। এবং, আমি সেই হাতের পানি দিয়েই কুলি করলাম, ভুলবশত বা ইচ্ছাকৃত। এক্ষেত্রে, কি অযু হবে?

 

৪/ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আমাদের কে পিতামাতার সদব্যবহার এর আদেশ দিছেন। কিন্তু অনেক সময় সাধারন ভাবে, সামান্য জোরে কথা বলা,একেবারে খুব সামান্য বিরক্ত প্রকাশ এবং একেবারে খুব সামান্য বা তার চেয়ে কিছুটা বেশি বিরক্তি বা রাগ এর সুরে কিছু বলা হয়ে যায় ভুলবশত।কিন্তু, কপথাগুলায় সাধারনত অসম্মান বা মর্যাদা খাটো প্রকাশ পায় না এবং কষ্ট ও সাধারনত পাওয়ার কথা না। এবং যে কথাটুকু এমন বলেছি তা খুবই সামান্য যেমিনঃ "এইটা হয়নি", "তো" এমম।

•এহেন কাজ হলে কি আব্বু-আম্মুর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে ও গুনাহ হবে? যদি ওমন ১-২ টা শব্দ না বরং কখনো বেশি(১টা বাক্য বা আরো বেশি) বলি ভুলবশত তাহলে?

•আব্বুর কাছে আগে অনেক খারাপ ব্যাবহারের জন্য ক্ষমা চেয়েছি। কিন্তু, ক্ষমা চাওয়ার সময় আব্বু বলে যে ❝ক্ষমা কি চাওয়া লাগে ! আমি তো ওই সময় ই ক্ষমা করে দি বা দিয়েছি❞।এখন, আব্বু এই কথা প্রতিবার ই বলেছে ক্ষমা চাওয়ার সময়। কিন্তু, উপরের উল্লেখিত ভাবে অনেক সময় টুক-টাক খুব সামান বা তার চেয়ে খুব সামান্য বেশি, এমন ভুল হয়। যা সাধারনত কষ্ট পাওয়া বা অসম্মানজনক ব্যবহার না। এই অবস্থায় কি আব্বুর কাছে ক্ষমা চেতে হবে যদি ওইরকম ক্ষুদ্র বা তার চেয়ে সামান্য বেশি পরিমান ভুল হয়??

#সাধারনত বলেছি এইজন্য যে, আমার দেখা অনুযায়ী অমন ই।আশেপাশের মানুষ, অত্মীয় দের ক্ষেত্রে তেমন ই দেখেছি। আর সাধারনত এমন ভাবে মানুষ রাগ বা কষ্ট পায় না আমার দেখামতে। কিন্তু ব্যতিক্রম আছে কি না জানি না। এবং আসলে কারো মনের কথা তো জানা যায় না কিন্তু প্রকাশ্য ভাব ভঙ্গিতে কিছুটা আচ করা যায়। 

।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।জাঝাকাল্লাহু খইরন।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।

1 Answer

0 votes
by (589,350 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/807 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
واعلم أن صفة الماء المستعمل حكى بعضهم فيها خلافا على ثلاث روايات. وقال مشايخ العراق: لم يثبت في ذلك اختلاف أصلا بل هو طاهر غير طهور عند أصحابنا جميعا. قال شيخ الإسلام في "شرح الجامع الصغير": وهو المختار عندنا وهو المذكور في عامة كتب محمد عن أصحابنا واختاره المحققون من مشايخ ما وراء النهر, وقال في المجتبى وقد صحت الروايات عن الكل: أنه طاهر غير طهور إلا الحسن وروايته شاذة غير مأخوذ بها كما في مجمع الأنهر,
জেনে রাখা ভালো যে,ব্যবহৃত পানির বিধান সম্পর্কে কেউ কেউ তিন ধরণের পরস্পর বিরোধী মতামত উল্লেখ করে থাকেন।মাশায়েখে ইরাক্ব বলেন, এ বিষয়ে মূলত কোনো ইখতেলাফ(মতপার্থক্য)নেই। বরং ব্যবহৃত পানি (নিজে) পবিত্র যদিও সে অন্য কাউকেই পবিত্র বানাতে পারে না।জা'মে সগীরের ব্যাখ্যাগ্রন্থে বর্ণিত রয়েছে যে ইহাই পছন্দনীয় মত।আমাদের উলামাদের রেফারেন্সে ইমাম মুহাম্মদের কিতাবসমূহে এটাই বর্ণিত রয়েছে।মা-ওরাউন নাহর এর মুহাক্বিক মাশায়েখগণ ইহাকেই পছন্দ করেছেন।মুজতাবা কিতাবে বর্ণিত রয়েছে যে,সকল কিতাবে ভাষ্যমতে মা'য়ে মুস্তা'মাল(ব্যবহৃত পানি)পবিত্র যদিও সে কাউকে পবিত্র বানাতে পারেনা।শুধুমাত্র হাসান রাহ, এর রেওয়ায়াত একটু ব্যতিক্রম তবে উনার রেওয়ায়াত সায,যা উল্লেখযোগ্য নয়। (মাজমা'উল আনহুর, হাশিয়াতুত তাহতাবী-আ'লা মারাক্বিল ফালাহ-১/২৩-শামেলা)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারি দ্বীনি ভাই/বোন!
ব্যবহৃত পানি নাপাক নয়, তবে প্রত্যেক অঙ্গের জন্য নতুন পানি লওয়া অত্যাবশ্যক। সুতরাং পূর্বের অঙ্গ ধৌত করার কিছু পানি হাতে অবশিষ্ট থাকলে, অজুতে কোনো সমস্যা হবে না। কেননা ব্যবহৃত পানি নাপাক নয়।

(২)
প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী অজু হবে। কোনো সমস্যা হবে না।

(৩)
জ্বী, এতেকরে অজু হবে।কেননা কুলির পানি নাপাক নয়।

(৪)
দেখেন, মোটকথা হল,কটুকথা না বলা।তারা কষ্ট পাক বা নাই পাক, আপনি কখনো কটু কথা,রাগতস্বরে কথা বলতে পারবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...