আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
365 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (28 points)
edited by
হুজুর আমি ঈমান ভংগের কারন আগে জানতাম না, ঈমান ভংগের কারন জানার পর বিভিন্ন বিষয় মনে পড়ছে। আমি ড.আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যারের ইসলামি আকিদা বই পরতেছি।সেখানে শিরক কুফর সমন্ধে পড়ছি।

১.কেউ যদি না জানার কারনে শিরকে আকবর করে তাহলে কি তার ঈমান ভংগ হবে।যদি জানার পর তওবা করে তাহলে কি হবে।

২.হুজুর আমি না জানার কারনে অনেক দিন আগে আরো ছোট থাকতে    মাজারে গিয়ে দোয়া করেছি, গনকের কথা- যেমন এই লোকটা তাকে বান মেরেছে এই কথা বিশ্বাস করেছিলাম, ডিম খেয়ে গেলে পরিখায় গোল্লা পাবে, জোরা কলা খেলে জমজ বাচ্চা হবে এগুলো বিশ্বাস করেছিলাম এর দারা কি ঈমান ভংগ হবে?

৩.হুজুর আমি অনেক দিন আগে একটি হাদিস শুনেছিলাম - কালো জিরা সর্বরোগের মহাঔষধ। এই হাদিস পরার পর আমার মনে প্রশ্ন জাগে যে তাহলে তো কালোজিরা খেলে যদি সব রোগ ভালো হয়ে যায় তাহলে তো এত রোগ হতনা বা কালো জিরা খেলেই তো ভালো হয়ে যেত।এই প্রশ্ন জাগার কারনে কি ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

৪.হাদিসে আছে বগলের লোম উপড়াতে হবে। তারপর পায়ুপথের লোম ও কাটতে হবে এটা শোনার পর আমার মনে হয়, পায়ুপথের লোম কাটতে গেলে ত পায়ুপথ কেটে যেতে পারে, বগলের লোম উপড়াতে গেলে তো কষ্ট হবে,ইসলাম তো এত কঠিন হতে পারে না। এই কথা মনে আসার কারনে কি ঈমান ধ্বংস হবে?

৫.হুজুর আমি দাড়ি নিয়ে ঠাট্রা করে ছিলাম নাকি সন্দেহ হছে।এর কারনে কি ঈমানের খতি হবে।

৬. কারো যদি না জানার কারনে আগে কোন কুফরি কথা বা কুফরি কোন বিশ্বাস, বা কুফরি করেছিল বা হাদিসের কোন বিষয়ে সন্দেহ ছিল কিন্তু জানার পর সাথে সাথে তওবা পড়ে তাহলে কি ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (713,400 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ওযর বিল জাহালত গ্রহণযোগ্য। চায় এ'তেকাদি মাসাঈল সম্পর্কিত হোক বা ফেকহী শাখাপ্রশাখাগত মাসাঈল সম্পর্কিত হোক।
যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেন,
( رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا )
হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না।(সূরা বাকারা-২৮৬)
অন্য এক আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
(وَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ فِيمَا أَخْطَأْتُمْ بِهِ وَلَكِنْ مَا تَعَمَّدَتْ قُلُوبُكُمْ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَحِيمًا)
এ ব্যাপারে তোমাদের কোন বিচ্যুতি হলে তাতে তোমাদের কোন গোনাহ নেই, তবে ইচ্ছাকৃত হলে ভিন্ন কথা। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।(সূরা আহযাব-৫)

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
إِنَّ اللَّهَ قَدْ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ، وَالنِّسْيَانَ، وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ
নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মতের অজ্ঞতা ও ভূলভাল কে ক্ষমা করে দিবেন।এবং অপারগতা বশত কৃত গোনাহকেও ক্ষমা করে দিবেন।(সুনানে ইবনে মা'জা,-২০৪৩)

এ সমস্ত শরয়ী দলীল প্রমাণ করে যে,ওযর বিল জাহালাত গ্রহণযোগ্য। তথা অজ্ঞতা বশত কেউ কোনো গোনাহর কাজ করে ফেললে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিবেন।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/4560

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
কেউ যদি না জানার কারনে শিরকে আকবর করে এবং জানার পর তওবা করে তাহলে তাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে।এবং জানার পরও তাওবাহ না করলে তাকে ক্ষমা করা হবে না।

(২)
তাওবাহ করে নেন, আল্লাহ ক্ষমা করে দিবেন।

(৩)
অজ্ঞতার কারণে এমন প্রশ্ন আসতে পারে, তাই বলে ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না। এটা নিজের ঈমান ইয়াকিনের সাথে সম্পর্কিত।যার ঈমান মজবুত হবে,তার যে কোনো রোগ বালাই কালিজিরা দ্বারা কমে যাবে।

(৪)
না, ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না। তবে মনে প্রাণে মেনে নেয়ার চেষ্টা করতে হবে।

(৫)
সন্দেহ দ্বারা ঈমানে সমস্যা হবে না।তবে ঠাট্টা সম্পর্কে পূর্ণ বিশ্বাস থাকলে ঈমান নবায়ন করতে হবে।

(৬)
জানার পর তাওবাহ করে নিলে ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (713,400 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...