আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
227 views
in পবিত্রতা (Purity) by (11 points)
আসসালামু আলাইকুম। প্রশ্নটি আমার স্ত্রীর।
তিনি ৬ মাসের সন্তানসম্ভবা। উনার অনেকদিন ধরেই হঠাৎ হঠাৎ পানির মতো সাদা স্রাব যায়(যেখানে পানি ৮০%, স্রাব ২০%)। ২৪ ঘন্টায় গড়ে ১০/২০ ফোঁটার মতো। তো উনি অযু করে নামাজ পড়া শেষ হলে দেখে পায়জামা ভিজা। সাদা স্রাব পড়ে ভিজে গেছে। এই অবস্থায় উনি কি করবে? প্রায় সময় ই এরকম হয়। অযু নষ্ট হয়ে যায় নিজের অজান্তেই। এখন উনার নামাজ তাহলে কিভাবে পড়বে? এমন ও হয় যে ৫ ওয়াক্ত নামাজে ৫ টা পায়জামা নাপাক হয়ে যাচ্ছে।
১. নামাজেই যেহেতু অযু নষ্ট হয়ে যায় এক্ষেত্রে কি করনীয়?
২.আর নামাজ শেষে কোরআন তেলাওয়াত করতে হলেও কি আবার অযু করতে হবে?
৩. এই নাপাক পায়জামা কিভাবে ধুয়ে পাক করতে হবে?

৪. সাদা স্রাব এ পায়জামা ভিজে অসাবধানতাবশত অনেক সময় জামাও ভিজে যায়, তাহলে জামাও কি চেঞ্জ করে নামাজ পরতে হবে?

৫. অনেক সময় যেখানে বসে থাকে(খাট, চেয়ার, মোড়া) এগুলোও ভিজে যায়। এগুলো কিভাবে পাক করবে?
৫.এগুলো তে কেউ বসলে কি তার কাপড়ও নাপাক হয়ে যাবে?

দয়া করে উত্তর গুলো দিলে খুব কৃতজ্ঞ থাকবো।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/50নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
লিকুরিয়া রোগ যা মহিলাদের জরায়ুতে হয়।
যার অর্থ হল জরায়ু থেকে সাদাস্রাব নির্গত হওয়া।
সাদাস্রাব নাপাক।যা নির্গত হলে অজু চলে যায়।কাপড়ের যে অংশে লাগবে সেটুকু ধৌত করতে হবে।তা নাজাসতে গলিজা।এক দিরহামের বেশী হলে নামায হবে না।

এই সাদাস্রাব নির্গত হওয়া দুই প্রকার।
ক/
সাদাস্রাব মাঝেমধ্যে নির্গত হয়।অর্থাৎ হঠাৎ জরায়ুতে চলে আসে।
এমতাবস্থায় যদি হঠাৎ নামাযের মধ্যে বা নামাযের পূর্বে নির্গত হয়, তখন কাপড় পাল্টিয়ে লজ্জাস্থান ধৌত করা পূর্বক নতুন করে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে।তারপর পূনরায় নামায পড়তে হবে।

খ/
যদি কোনো এক নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত ধারাবাহিক সাদাস্রাব নির্গত হতে থাকে।যেমন মাগরিবের নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত তথা ১ঘন্টা৩০মিনিট ধারাবাহিক সাদাস্রাব নির্গত হতে থাকে। তাহলে এমতাবস্থায় উনাকে মা'যুর গণ্য করে মা'যুরের হুকুম উনার উপর আরোপ করা হবে।

মা'যুরের হুকুম হল,
মা'যুর ব্যক্তি এক ওয়াক্তের জন্য এক অজু করবেন।
তারপর উক্ত অজু দ্বারা উক্ত ওয়াক্তের ভিতর যতসম্ভব উনি ফরয নফল ইত্যাদি ইবাদত করতে পারবেন।যখন ওয়াক্ত চলে যাবে তখন অজুও শেষ হয়ে যাবে।পূনরায় ভিন্ন ওয়াক্তের জন্য ভিন্ন অজু করতে হবে।ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-৫/২২৩/২২৪

নেপকিন জাতীয় কিছু পড়ে নিলে সমস্ত কাপড় নাপাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন!
(১)
প্রতি ওয়াক্তের জন্য একবার অজু করবেন। সেই অজু দ্বারা উক্ত ওয়াক্তের ভিতরে যত সম্ভব নামায কুরআন তিলাওয়াত করতে পারবেন।

(২)
নামাজ শেষে কোরআন তেলাওয়াত করতে হলেও আবার অযু করতে হবে না।

(৩)
নাপাক পায়জামা তিনবার ধৌত করে পাক করতে হবে।

(৪)
জ্বী, প্রতি ওয়াক্তে পায়জামার সাথে সাথে জামাকেও চেঞ্জ করতে হবে।

(৫)
(খাট, চেয়ার, মোড়া)যদি এগুলো ভিজে যায়।তাহলে এগুলোকে পাক করতে হবে।তিনবার ধৌত করে পাক করতে হবে।

(৬)
ধৌত করার পূর্বে এগুলোতে কেউ বসলে তার কাপড়ও নাপাক হয়ে যাবে। তবে শুকিয়ে গেলে তাতে কেউ বসলে তার কাপড় নাপাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (11 points)
জাযাকাল্লাহ খয়রন ওয়া আহসানাল জাযা প্রিয় শায়েখ

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 158 views
...