ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।নতুবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1900
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
সুদের টাকার একমাত্র রাস্তা হল, ঐ টাকাকে সদকাহ করা। এই টাকা থেকে কোনো কিছুই নিজেও গ্রহণ করা যাবে না।এবং কাউকে হাদিয়াও দেয়া যাবে না।
যেহেতু ইমাম সাহেব, বেতনের বিনিময়ে চাকুরী করবেন। এই বেতনের মধ্যে থাকা খাওয়া ও নগদ টাকা সবই শামিল। সুতরাং ইমাম সাহেব যে খাওয়ানো হবে, সেই খাওয়াটাও বেতনের মধ্যে শামিল থাকবে। আর বেতন বা বিনিময় হিসেবে যে কোনো টাকা গ্রহণ করার রুখসত রয়েছে। সুতরাং ইমাম সাহেবের জন্য বেতন হিসেবে প্রশ্নে বর্ণিত মহল্লাবাসীর টাকা গ্রহণ করার রুখসত রয়েছে। তাছাড়া এখানে জরুরত রয়েছে, নামায ও ওয়াজের মাধ্যমে তাদেরকে হেদায়তের দিকে নিয়ে আসা।যদি এখানে ইমাম সাহেবের বেতন ও থাকা খাওয়াকে নাজায়েয বলা হয়, তাহলে মানুষ সুদের থেকে বড় গোনাহের দিকে লিপ্ত হবে। তাই বহৎ স্বার্থে উম্মাহর কল্যাণ বিবেচনায় এই সিদ্ধান্তই গ্রহণীয় মনে হচ্ছে যে, বক্ষমান পরিস্থিতিতে ইমাম সাহেবের জন্য উক্ত এলাকায় ইমামতি করা জায়েয হবে।বেতন এবং খাওয়ার রুখসত থাকবে।