আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
124 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (41 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।

১।কোন এক মেয়েকে তার স্বামী তালাকের পাওয়ার দিছে।সে বলতে গেলে মারাত্বক ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত।প্রতি নিয়ত বলতে গেলে প্রতি মিনিটে মিনিটে সে নিজের নফসের সাথে লড়াই করে।সে একটা গান গাওয়ার সময়,অন্যের কথার উত্তর দেয়ার সময়,জ্বি বা হুম বলে যে সেটা নিয়েও  ওয়াসওয়াসা আসে।সে তালাকের নিয়তে বলে না।এমনকি বলার সময়,মনে মনে না না করে করে কথা গুলো বলে মানে ঔই নিয়তে বলতেছেনা সেই জন্য না না করে।তখন বা পরে আবার ওয়াসওয়াসা আসে ওই নিয়তে বলেছে। তখন ও না না করে মনে মনে।প্রতি নিয়ত সে নিজের নফসের সাথে শয়তানের সাথে লড়াই করতেছে।শুধু বলে আল্লাহ আপনি তহ জানেন আমি আমার স্বামীকে ভালবাসি।আমি এই নিয়তে বলি না।না চাওয়া সত্তেও আসে ওয়াসওয়াসা।এতে কি কোন সমস্যা হবে ওর আর ওর স্বামীর সসম্পর্কে?

২।এই প্রশ্নটা এমনিতে করেছি।আমার সাথে এমন হয়েছে কিনা জানি না।সন্দেহ নিয়ে করেছি প্রশ্নটা,ওয়াসওয়াসা আসে মনে এটা নিয়ে।এই প্রশ্নটা আপনাকে আগেও করেছি।এর উত্তর নিয়ে কথা বলব।

প্রশ্নঃ

কোন স্ত্রী যদি বলে স্বামীকে তালাক দাও চলে যাব।স্বামী যদি বলে তুমার ইচ্ছে হলে বা যেতে ইচ্ছে হলে বা ভাল না লাগলে চলে যাও।এটা কি স্ত্রীকে পাওয়ার দেওয়া বুঝাবে?

উত্তরঃ

প্রশ্নের বিবরণ মতে এতে স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা দেয়া বুঝাবেনা।

সুতরাং উক্ত স্ত্রী নিজেকে নিজে তালাক দিতে পারবেনা।

আমার প্রশ্ন মানে এ কথাটা বলা দ্বারা বা বললে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কে কোন সমস্যা হবে না এই তহ?

৩।আমাকে স্বামী পাওয়ার দিছে।ওপরে প্রশ্নগুলো করার কারনে আমার বৈবাহিক জীবনে কি কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (549,210 points)
edited by
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/36539/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
قال لھا: طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও,কোনো নিয়ত না করে,অথবা এক তালাকের নিয়ত করে,অতঃপর স্ত্রী তালাক দেয়,তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে।     

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
এতে তাদের বৈবাহিক সম্পর্কে সমস্যা হবেনা।

(০২)
হ্যাঁ, এ কথাটা বলার দ্বারা বা বললে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কে কোন সমস্যা হবে না।

(০৩)
উপরের প্রশ্নগুলো করার কারনে আপনার বৈবাহিক জীবনে কোন সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...