আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
119 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (46 points)
নিম্নুক্ত লিখাটি ফেসবুক থেকে কপি করা। আমি জানতে চাচ্ছিলাম এইটা সঠিক কিনা।

❌এলার্জি❌ থেকে চির মুক্তি পাবেন ইনশাআল্লাহ

যাদু আর জিনের ক্ষেত্রেতো অনেকেই আমার দেয়া আমলে কোরআনিক মোজেজা দেখেছেন আর আপনাদের মাধ্যমেই বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে বড় বড় রাকি ভাইরাও আমার আমল ফলো করছে। আলহামদুলিল্লাহ।
আচ্ছা যারা অনেক দিন ধরে শরিলের ভিবিন্ন যায়গায় ঘা,একজ্যিমা,দাউদ,এলার্জি নিয়ে ভুগছেন ছোট বাচ্চারা ঘামাছি/এলার্জি নিয়ে অনেক কান্নাকাটি করে। অনেক ডাক্তার দেখাচ্ছেন ও হাই পাওয়ারের ওষুধ খাচ্ছেন কাজ হচ্ছেনা। যত কঠিন সমস্যা হোক যেই দিন আক্রান্ত স্থানে পড়ে ফু দিবেন সেই দিন থেকেই চুলকানি বন্ধ হয়ে যাবে।(ইনশাল্লাহ) ।অবশ্যই আমলের সময় যার যে সমস্যা, সেই সমস্যা সমাধানের জন্য নিয়ত করে আল্লাহুর কাছে সাহাজ্য চাইবেন।পবিত্র আয়াত টি এই।

اِنَّہُمۡ یَکِیۡدُوۡنَ کَیۡدًا ﴿ۙ۱۵﴾

ইন্নাহুম ইয়াকীদূনা কাইদাওঁ।

وَّ اَکِیۡدُ کَیۡدًا ﴿ۚۖ۱۶﴾

ওয়া আকীদুকাইদা-।

فَمَہِّلِ الۡکٰفِرِیۡنَ اَمۡہِلۡہُمۡ رُوَیۡدًا ﴿٪۱۷﴾

ফামাহহিলিল কা-ফিরীনা আমহিলহুম রুওয়াইদা-।

(আত-তরিক-১৫-১৬-১৭)

এই পবিত্র আয়াত অধিক সংখ্যায় পড়ে বার বার আক্রান্ত স্থানে ফু দিবেন আর যাদের রক্তের সাথে এলার্জি পানিতে পরে ফু দিয়ে নিয়ত করে খেতে থাকুন দেখবেন কিছুদিন এর মধ্যে ভাল হয়ে যাবেন। ইনশাল্লাহ।
শুদু এতটুকুই নয় যাদের বাসায় ছারপোকা তেলাপোকা ইঁদুর ও গাছে পোকামাকড় এর আক্রমণ রোধে অধিক সংখ্যায় পড়ে পানিতে ফু দিয়ে বার বার ছিটিয়ে দিবেন সমাধান হয়ে যাবে।ইনশাআল্লাহ।

কোন কিতাব বা কাউকে ফলো করে এই আমল দেয়া হয়নি আল্লাহ প্রদত্ত গবেষনার ফল, কোন রাকি নিজের গ্রপে পোস্ট কারে নিজের নামে চালায়া দিবেন না অনুমুতি না নিয়ে।আল্লাহুর কাছে ঠেকিয়ে রাখলাম।©

♦️আরবি দেখে পড়বেন।

আমার প্রশ্ন হচ্ছে এইটা কি সহিহ বা সঠিক? আমল করা যাবে??

আমার প্রচুর অ্যালার্জির সমস্যা আছে।

1 Answer

0 votes
by (564,330 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


প্রশ্নে উল্লেখিত আমল শরীয়তের কোথাও নেই।
তবে এটি বুযুর্গদের পরীক্ষিত আমল হতে পারে।
সুতরাং আকীদা বিশুদ্ধ রেখে মহান আল্লাহ তায়ালাকে সুস্থতার মালিক মনে করে চিকিৎসার নিয়তে এই আমল করা যাবে।

আল্লাহ তায়ালা চাইলে শেফা হবে,ইনশাআল্লাহ। 
তবে সেগুলোকে বিশেষ কোনো সংখ্যা দ্বারা আখ্যায়িত করে উক্ত সংখ্যার সাথে জরুরী মনে করা ঠিক হবে না।এমনকি বাড়াবাড়ি করলে বিদ'আত পর্যন্ত হুকুম আসবে।

রাসুল সাঃ বলেন-

وَإِيّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ، فَإِنّ كُلّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ، وَكُلّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ.

আর সকল নব উদ্ভাবিত বিষয় থেকে দূরে থাকবে। কারণ, সকল নব উদ্ভাবিত বিষয় বিদআত। আর সকল বিদআত গোমরাহী ও ভ্রষ্টতা।’ (দ্র. মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৭১৪২, ১৭১৪৫)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ
‘(দ্বীনের নামে) নবউদ্ভাবিত সকল বিষয় থেকে দূরে থাক।’

আরেক হাদীসে আছে-
مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدّ .

‘যে আমাদের এই বিষয়ে (অর্থাৎ দ্বীন ও শরীয়তে) এমন কিছু উদ্ভাবন করবে, যা তার অংশ নয়, তা প্রত্যাখাত।’ -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৭১৮; সহীহ বুখারী, হাদীস ২৬৯৭

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...