জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো টিকটিকি মারা মুস্তাহাব।
প্রথম আঘাতেই মেরে ফেলতে পারলে অধিক ছওয়াবের কথা হাদীস শরীফে এসেছে।
عن النبي ا : من قتل وزغا في أول ضربۃ کتبت لہ مائۃ حسنۃ ‘‘عن أبي ھریرۃ ص، (صحیح مسلم ، حدیث نمبر : ۲۲۴۰ ، باب استحباب قتل الوزغ ) محشی ۔
’’ عن النبي ا أنہ قال : في أول ضربۃ سبعین حسنۃ ‘‘ عن أبي ھریرۃ ص (سنن أبي داؤد ، حدیث نمبر : ۵۲۶۴ ، باب في قتل الأوزغ ، کتاب الآداب ، : صحیح مسلم ، حدیث نمبر : ۲۲۴۰ ، باب استحباب قتل الوزغ ، کتاب السلام )محشی ۔
আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) এর সানাদে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রথম আঘাতে (হত্যা করতে পারলে) সত্তরটি সাওয়াব।
حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ الْفَضْلِ أَخْبَرَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيْدِ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ شَيْبَةَ عَنْ سَعِيْدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّ أُمَّ شَرِيكٍ أَخْبَرَتْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَهَا بِقَتْلِ الأَوْزَاغِ
সা‘ঈদ ইবনু মুসাইয়্যাব (রহ.) হতে বর্ণিত যে, উম্মু শারীক (রহ.) তাঁকে খবর দিয়েছেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে গিরগিটি বা রক্তচোষা জাতীয় টিকটিকি হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন। (বুখারী ৩৩৫৯) (মুসলিম ৩৯/৩৮ হাঃ ২২৩৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৬৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০৭২)
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي، هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَتَلَ وَزَغَةً فِي أَوَّلِ ضَرْبَةٍ فَلَهُ كَذَا وَكَذَا حَسَنَةً وَمَنْ قَتَلَهَا فِي الضَّرْبَةِ الثَّانِيَةِ فَلَهُ كَذَا وَكَذَا حَسَنَةً لِدُونِ الأُولَى وَإِنْ قَتَلَهَا فِي الضَّرْبَةِ الثَّالِثَةِ فَلَهُ كَذَا وَكَذَا حَسَنَةً لِدُونِ الثَّانِيَةِ " .
ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রথম আঘাতে যে লোক কাকলাস মারবে, তার জন্য রয়েছে এত এত পরিমাণ সাওয়াব। আর যে লোক দ্বিতীয় আঘাতে তাকে হত্যা করবে, তার জন্য এত এত পরিমাণ সাওয়াব, প্রথমবারের চাইতে কম। আর যদি তৃতীয় আঘাতে হত্যা করে ফেলে, তাহলে তার জন্য এত এত পরিমাণ সাওয়াব, তবে দ্বিতীয়বারের থেকে কম। (মুসলিম শরীফ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৬৫১, ইসলামিক সেন্টার ৫৬৮১)
کان ینفخ علی إبراھیم ‘‘
صحیح البخاری ، حدیث نمبر : ۳۳۵۹ ، مسند احمد: کنز العمال ، حدیث نمبر : ۴۰۰۲۱ ۔
টিকটিকি হযরত ইবরাহীম আঃ এর আগুনের উপর ফুঁ দিয়েছিলেন,যাতে করে আগুন বেশি করে জ্বলে।
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ بِقَتْلِ الْوَزَغِ وَسَمَّاهُ فُوَيْسِقًا .
’’ أن النبي ا أمر بقتل الوزغ ، و سماہ فویسقا ‘‘ عن عامر بن سعید ، عن أبیہ ، (صحیح مسلم ، حدیث نمبر : ۲۲۳۸ ، باب استحباب قتل الوزغ ، کتاب السلام )
ইসহাক ইবনু ইবরাহীম ও আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) ..... আমির ইবনু সাঈদ (রহঃ) এর পিতা সাঈদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাকলাস হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং তাকে ছোট্ট ফাসিক ক্ষুদে দুষ্কৃতিকারী নাম দিয়েছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৬৪৯, ইসলামিক সেন্টার ৫৬৭৯)
রাসুল সাঃ টিকিটিকি মারতে আদেশ করেছেন,এবং এটাকে ফুয়াইসাক বলে সম্বোধন করেছেন,আর ফুয়াইসাক বলা হয় কষ্টকর,ক্ষতিকর প্রানীকে।
★চিকিৎসকদের ধারনা হলো টিকটিকির মাধ্যমে কুষ্ঠ,ধবল,শ্বেত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
★সাথে সাথে সকলেই এই কথার উপর একমত যে টিকটিকির ভিতর বিষাক্ত কিছু আছে।
যদি খাবার পানীয়র ভিতর টিকটিকি পড়ে,তাহলে অনেক সময় এটা ধ্বংসের কারনও হতে পারে।
তাহার সৃষ্টিগত বিষাক্ত হওয়া,এবং মানুষের সুস্থতার দিক লক্ষ্য করে রাসুলুল্লাহ সাঃ এই হুকুম দিয়েছেন।
(কিতাবুল ফাতওয়া ১/৩৪৩)