بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
শরীয়তের বিধান হলো কিবলা দিকে মুখ,পিঠ ফিরিয়ে পেশাব পায়খানা করা নাজায়েজ।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، حَدَّثَنَا
سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ، عَنْ
أَبِي أَيُّوبَ، رِوَايَةً قَالَ " إِذَا أَتَيْتُمُ الْغَائِطَ، فَلَا
تَسْتَقْبِلُوا الْقِبْلَةَ بِغَائِطٍ، وَلَا بَوْلٍ، وَلَكِنْ شَرِّقُوا أَوْ
غَرِّبُوا " . فَقَدِمْنَا الشَّامَ، فَوَجَدْنَا مَرَاحِيضَ قَدْ بُنِيَتْ
قِبَلَ الْقِبْلَةِ فَكُنَّا نَنْحَرِفُ عَنْهَا وَنَسْتَغْفِرُ اللهَ
আবূ আইয়ূব (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি
(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন,
‘‘তোমরা পায়খানায়
গিয়ে কিবলামুখী হয়ে পায়খানা-পেশাব করবে না,
বরং পূর্ব অথবা পশ্চিমমূখী
হয়ে বসবে।’’ আবূ আইয়ূব (রাঃ) বলেন,
আমরা সিরিয়ায় গিয়ে দেখতে
পেলাম, সেখানকার শৌচাগারগুলো কিবলামুখী করে বানানো। সেজন্য উক্ত স্থানে
আমরা একটু বেঁকে বসতাম এবং আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাইতাম।
বুখারী (অধ্যায়ঃ উযু, অনুঃ পায়খানার সময় ক্বিবলাহমুখী না হওয়া, হাঃ ১৪৪,আবু দাউদ ০৯)
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ
الْمَخْزُومِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ
عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا أَتَيْتُمُ الْغَائِطَ
فَلاَ تَسْتَقْبِلُوا الْقِبْلَةَ بِغَائِطٍ وَلاَ بَوْلٍ وَلاَ تَسْتَدْبِرُوهَا
وَلَكِنْ شَرِّقُوا أَوْ غَرِّبُوا " . فَقَالَ أَبُو أَيُّوبَ فَقَدِمْنَا
الشَّأْمَ فَوَجَدْنَا مَرَاحِيضَ قَدْ بُنِيَتْ مُسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةِ
فَنَنْحَرِفُ عَنْهَا وَنَسْتَغْفِرُ اللَّهَ
আবু আইয়ুব আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণিত
আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা যখন মলত্যাগ করতে যাও, তখন মলত্যাগ বা পেশাবের সময় কিবলাকে সামনে বা পেছনে রেখে বসো
না, বরং পূর্ব অথবা পশ্চিম দিকে ফিরে বস। আবু আইয়ূব (রাঃ) বলেন, আমরা সিরিয়াতে এসে দেখতে পেলাম এখানকার পায়খানাগুলো কিবলার
দিকে করে স্থাপিত। অতএব আমরা কিবলার দিক হতে ঘুরে যেতাম এবং আল্লাহ তা'আলার কাছে ক্ষমা চাইতাম। —সহীহ। ইবনু মাজাহ– (৩১৮), বুখারী ও মুসলিম,তিরমিজি ০৮)
قوله : (وَلكِنْ شَرِّقُوْا أَوْ غَرِّبُوْا) অর্থাৎ- তোমরা পূর্ব পশ্চিম
দিকে মুখ করে পেশাব-পায়খানা কর। এ আদেশটি মূলত মাদীনাবাসী এবং যাদের ক্বিবলাহ্ (কিবলাহ/কিবলা)
মাদীনাবাসীদের ক্বিবলার দিকে তাদের জন্য প্রযোজ্য।
এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো যে, দিকাভিমুখী হলে ক্বিবলাহ্ (কিবলাহ/কিবলা) সামনে বা পেছনে হয়
না সেদিকে মুখ করে স্বাভাবিক প্রয়োজন (তথা পেশাব-পায়খানা) পূরণ করা যা দেশভেদে ভিন্ন
হয়ে থাকে। (অর্থাৎ- প্রত্যেক দেশের অধিবাসীরা সেদিকে মুখ করে স্বাভাবিক প্রয়োজন পূরণ
করবে যে দিকাভিমুখী হবে (ক্বিবলাহ্ সামনে বা পেছনে হবে না)। হাদীসটি বাহ্যিকভাবে খোলা
ময়দান ও প্রাচীর বেষ্টিত টয়লেটের মাঝে কোন পার্থক্যকরণ ছাড়াই স্বাভাবিক প্রয়োজন পূরণের
সময় ক্বিবলাকে সামনে বা পিছনে করতে নিষিদ্ধের বিষয়ে সুস্পষ্ট প্রমাণ।
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছে
کرہ تحریما استقبال قبلة واستدبارہا ل أجل بول أو غائط
(درمختار) وفي ”رد المحتار“ أي جہتہا کما في الصلاة فیما یظہر ونصّ الشافعیة علی
أنہ لو استقبلہا بصدرہ وحوّل ذکرہ عنہا وبال لم یکرہ بخلاف عکسہ اھ أي فالمعتبر
الاستقبال ․․․ فلیس في الحدیث دلالة علی أن المنہيّ استقبال العین کما لا یخفی الخ
(رد المحتار علی الدر المختار ۱/۵۵۴،
فصل في الاستنجاء، ط: زکریا) وراجع ”در ترمذی“ (۱/۱۸۹)
সারমর্মঃ কিবলা দিকে মুখ,পিঠ ফিরিয়ে পেশাব পায়খানা করা মাকরুহে তাহরিমি।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কিবলার দিকে পায়খানার পাইপ থাকলে কোন
সমস্যা হবে না ইনশাআল্লাহ। কারণ, হাদীসে কিবলা দিকে মুখ, পিঠ ফিরিয়ে পেশাব পায়খানা করার ব্যাপারে নিষেধ করা হয়েছে। প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয়ে কোন নিষেধ শরীয়তে নেই।