জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
নামাজের প্রথম রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে সূরা ইখলাস বা সূরা কাওছার ইত্যাদি ছোট সূরা পড়া যাবে।
হাদীস শরীফে এ সমস্ত সূরা পড়ার দৃষ্টান্ত রয়েছেঃ-
আবু উসমান নাহদী রাহ. থেকে বর্ণিত-
أنّه صَلّى خَلْفَ ابْنِ مَسْعُوْدٍ المَغْربَ، فَقَرَأ بِـ قُلْ هُوَ اللهُ أَحَد.
তিনি হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা.-এর পিছনে মাগরিবের নামায আদায় করেছেন। তো নামাযে ইবনে মাসউদ রা. قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ (সূরা ইখলাছ) তিলাওয়াত করেছেন। (সুনানে আবু দাউদ, বর্ণনা ৮১৫; সুনানে বাইহাকী খ. ২ পৃ. ৩৯১)
আবু নাওফিল ইবনে আবু আকরাব রাহ. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. সম্পর্কে বলেন-
سَمِعتُه يَقْرَأ في المَغْرِبِ: إذَا جَاءَ نَصْرُ اللهِ وَالْفَتْحِ.
আমি তাকে মাগরিবের নামাযে
إذَا جَاءَ نَصْرُ اللهِ وَالْفَتْحِ (সূরা নাছর) তিলাওয়াত করতে শুনেছি। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ৩৬১৭)
নুসাইর ইবনে যু‘লূক রাহ. রবী ইবনে খুসাইম রাহ. সম্পর্কে বলেন-
أَنّهُ كَانَ يَقْرَأُ فِي الْمَغْرِبِ بِقِصَارِ الْمُفَصّلِ، قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ، وَ قُلْ هُوَ اللهُ أَحَد.
তিনি মাগরিবের নামাযে ‘কিসারে মুফাসসাল’, قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُوْن (সূরা কাফিরূন) ও قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ (সূরা ইখলাস) তিলাওয়াত করতেন।
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ৩৬২৬)
মুহিল ইবনে মুহরিয রাহ. বলেন-
سَمِعْتُ إِبْرَاهِيمَ يَقْرَأُ فِي الرّكْعَةِ الْأُولَى مِنَ الْمَغْرِبِ: لِإِيلَافِ قُرَيْشٍ.
আমি ইবরাহীম নাখাঈ রাহ.-কে মাগরিবের প্রথম রাকাতে لِإِيْلَافِ قُرَيْش (সূরা কুরাইশ) তিলাওয়াত করতে শুনেছি।
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ৩৬২৩)
হযরত আবদুর রহমান ইবনে আবযা রা. বলেন-
أَنّ رَسُولَ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ كَانَ يَقْرَأُ فِي الْوِتْرِ بِـ سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى، وَ قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ، وَ قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতরের নামাযে سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى (সূরা আ‘লা), قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ (সূরা কাফিরূন) এবং قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ (সূরা ইখলাছ) তিলাওয়াত করতেন। (সুনানে নাসাঈ, হাদীস ১৭৩১; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৫৩৫৪)
(০২)
প্রথম রাকাআতে যেই সূরা পড়া হবে,২য় রাকাতে ইচ্ছাকৃতভাবে তার আগের কোনো সূরা পাঠ করা মাকরুহ।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতটি ইচ্ছাকৃতভাবে হলে মাকরুহ হবে।
অনিচ্ছায় হলে সমস্যা নেই।
নামাজে ক্রমানুসারে সুরা পরার নিয়ম জানুনঃ
(০৩)
আপনার বা আপনার শাশুড়ী এর আলাদা সাড়ে ৭ ভরি স্বর্ণ হলে তার উপর যাকাত ফরজ হবে।
আপনার আর শাশুড়ীর সমষ্টিগত স্বর্ণের উপর যাকাত ফরজ হবেনা।
★উল্লেখ্য যে,
প্রশ্নে যে উল্লেখ রয়েছেঃ-
আপনার কাছে ৭ ভরি থেকে কম স্বর্ণ আছে,এক্ষেত্রে আপনার কাছে যদি সামান্য রুপা বা দৈনন্দিন আবশ্যকীয় প্রয়োজন অতিরিক্ত সামান্য টাকাও থাকে,এবং এক বছর পূর্ণ হয়,তবুও আপনার উপর যাকাত ফরজ হবে।
কেননা এক্ষেত্রে আপনার স্বর্ণ ও রুপা/টাকা সমষ্টিগত ভাবে সাড়ে বাহান্ন ভরি রুপার সমমূল্য হয়ে যায়।
তাই আপনার উপর যাকাত ফরজ হবে।
আপনার শাশুড়ীরও যদি এইভাবে তার যেই পরিমান স্বর্ণ আছে,তার পাশাপাশি তার কাছে যদি সামান্য রুপা বা দৈনন্দিন আবশ্যকীয় প্রয়োজন অতিরিক্ত সামান্য টাকাও থাকে,এবং এক বছর পূর্ণ হয়,তবুও তার উপর যাকাত ফরজ হবে।