ফজরের ১ম রাকাআতকে ২য় রাকাআত অপেক্ষা লম্বা কিরাআত পাঠ করা সুন্নাত।
অন্যান নামাজের রাকাআতে কিরাআত সমান রাখা সুন্নাত।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
আহনাফ ইবনে কায়স রাহ. বলেন-
صَلّيْتُ خَلْفَ عُمَرَ الْغَدَاةَ، فَقَرَأَ بِيُونُسَ وَهُودٍ وَنَحْوِهِمَا.
আমি হযরত উমর রা.-এর পিছনে ফজরের নামায আদায় করেছি। নামাযে তিনি সূরা ‘ইউনুস’ ও সূরা ‘হূদ’ এবং এ ধরনের সূরা তিলাওয়াত করেছেন।
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ৩৫৬৬)
যায়দ ইবনে ওয়াহব রাহ. বলেন-
صَلّى بِنَا عُمَرُ صَلَاةَ الصّبْحِ، فَقَرَأ: بَنِي إِسْرَائِيلَ وَالْكَهْفَ.
হযরত উমর রা. আমাদেরকে ফজরের নামায পড়ালেন। নামাযে তিনি সূরা ‘বানী ইসরাঈল’ ও সূরা ‘কাহ্ফ’ তিলাওয়াত করলেন।
(শারহু মা‘আনিল আছার, বর্ণনা ১০৭৯, ১০৮০)
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমের ইবনে রবী‘আ রা. বলেন-
مَا حَفِظْتُ سُورَةَ يُوسُفَ وَسُورَةَ الْحَجِّ إِلّا مِنْ عُمَرَ، مِنْ كَثْرَةِ مَا كَانَ يَقْرَؤُهُمَا فِي صَلَاةِ الْفَجْرِ، فَقَالَ: كَانَ يَقْرَؤُهُمَا قِرَاءَةً بَطِيئَةً.
আমি সূরা ‘ইউসুফ’ ও সূরা ‘হজ¦’ হযরত উমর রা. থেকে শুনে শুনেই হিফয করেছি। কারণ তিনি ফজরের নামাযে সূরা দুটি অনেক বেশি তিলাওয়াত করতেন। তিনি তিলাওয়াত করতেন ধীরে ধীরে।
(মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, বর্ণনা ২৭১৫)
আবু রাফে রাহ. বলেন-
كَانَ عُمَرُ يَقْرَأُ فِي صَلَاةِ الصّبْحِ بِمِئَةٍ مِنَ الْبَقَرَةِ، وَيُتْبِعُهَا بِسُورَةٍ مِنَ الْمَثَانِي أَوْ مِنْ صُدُورِ الْمُفَصّلِ، وَيَقْرَأُ بِمِئَةٍ مِنْ آلِ عِمْرَانَ، وَيُتْبِعُهَا بِسُورَةٍ مِنَ الْمَثَانِي أوْ مِنْ صُدُورِ الْمُفَصّلِ.
হযরত উমর রা. ফজরের (প্রথম রাকাতে) সূরা ‘বাক্বারা’ থেকে একশ আয়াত পড়তেন। তারপর (দ্বিতীয় রাকাতে) ‘মাসানী’ থেকে অথবা ‘মুফাসসালের’ শুরু অংশ থেকে পড়তেন। আবার কখনো (প্রথম রাকাতে) সূরা ‘আলে ইমরান’ থেকে একশ আয়াত পড়তেন। তারপর (দ্বিতীয় রাকাতে) ‘মাসানী’ অথবা ‘মুফাসসালের’ শুরু অংশ থেকে পড়তেন।
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ৩৫৮৩)
‘মুফাসসালের’ সূরাসমূহ ব্যতীত অন্য যেসব সূরার আয়াত সংখ্যা একশ থেকে কম, ঐ সূরাগুলোকে ‘মাসানী’ বলা হয়।
ছোট সূরা গুলোর ক্ষেত্রে মাঝে কমপক্ষে দুটি সূরা বাদ দিতে হবে,নতুবা লাগাতার সুরা তিলাওয়াত করতে হবে।