আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
221 views
in সালাত(Prayer) by (27 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তায
কন্ডিশন ১-

যদি আমি ৮/৯ ঘন্টার জার্নিতে থাকি পাবলিক বাসে তখন নামাজের ওয়াক্তে যদি গাড়ি থামানোর ব্যবস্থা না থাকে তাহলে প্রশ্ন ১.যোহর, আসর এমন ওয়াক্তে আমার করণীয় কি?
প্রশ্ন ২.ওযু করে বাসে উঠে কি বাসে সিটে বসেই নামাজ পড়তে হবে??

প্রশ্ন ৩.৮-৯ ঘন্টার জার্নিতে ওযু ছাড়া কি বাসে নামাজ হবে?? প্রশ্ন ৪.বাসে নিকাব পড়া অবস্থায় কি নামাজ হবে?

প্রশ্ন ৫.বাসে সিটে বসে যোহরের ওয়াক্ত এবং আসরের ওয়াক্তে কয় রাকাত নামাজ আদায় করতে হবে??

প্রশ্ন ৬.জার্নিতে নামাজ পড়ার পরেও কি বাসায় গিয়ে কাজা পড়ে নিতে হবে??

কন্ডিশন ২-

প্রশ্ন ১.যদি অল্প জার্নি হয় বাট নামাজের কোনো সুযোগ ই  না পাই এবং কাজা হওয়ার চান্স থাকে , তাহলে কি বাসা থেকে ওযু করে জার্নি তে ওয়াক্ত হলে গাড়িতে সিটে বসে নামাজ আদায় করতে পারব??

২.পরে কি কাজা আদায় করতে হবে???

প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর পেলে খুব কৃতজ্ঞ থাকব উস্তায, অনেক দিনের প্রশ্ন এসব আমার।

জাযাকাল্লাহ খইর

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


কন্ডিশন এক,

(০১)
নামাযে কিবলামুখী হওয়া নামায সহীহ হবার জন্য শর্ত। কিবলামুখী না হলে নামায শুদ্ধই হবে না। 

আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ     

قَدْ نَرَىٰ تَقَلُّبَ وَجْهِكَ فِي السَّمَاءِ ۖ فَلَنُوَلِّيَنَّكَ قِبْلَةً تَرْضَاهَا ۚ فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ ۚ وَحَيْثُ مَا كُنتُمْ فَوَلُّوا وُجُوهَكُمْ شَطْرَهُ ۗ وَإِنَّ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ لَيَعْلَمُونَ أَنَّهُ الْحَقُّ مِن رَّبِّهِمْ ۗ وَمَا اللَّهُ بِغَافِلٍ عَمَّا يَعْمَلُونَ [٢:١٤٤] 

নিশ্চয়ই আমি আপনাকে বার বার আকাশের দিকে তাকাতে দেখি। অতএব, অবশ্যই আমি আপনাকে সে কেবলার দিকেই ঘুরিয়ে দেব যাকে আপনি পছন্দ করেন। এখন আপনি মসজিদুল-হারামের দিকে মুখ করুন এবং তোমরা যেখানেই থাক, সেদিকে মুখ কর। যারা আহলে-কিতাব, তারা অবশ্যই জানে যে, এটাই ঠিক পালনকর্তার পক্ষ থেকে। আল্লাহ বেখবর নন, সে সমস্ত কর্ম সম্পর্কে যা তারা করে। {বাকারা-১৪৪}

https://ifatwa.info/9453/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
এখানে তিনটি বিষয় জেনে রাখার দরকারঃ
১মঃ দাঁড়িয়ে নামায পড়া ।
২য়ঃ কিবলার দিকে মুখ রাখা ।
৩য়ঃ নিয়ম মুতাবিক রুকু-সিজদা সহ নামায পড়া । অর্থাৎ, ইশারায় রুকূ সিজদা না করা । 

যদি ট্রেন বা লঞ্চে বা বাসে উল্লেখিত তিনটির কোন একটি করা সম্ভব না হয়, তাহলে সে নামায ত্রুটিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে নিবে । কিন্তু পরে দোহরানো জরুরী হবে।

গাড়ীতে লঞ্চে বা বাসে নামায পড়ার নিয়ম এই যে, প্রথমে দাঁড়িয়ে তাহরীমা বাঁধার পর পড়ে যাওয়ার ভয় থাকলে হেলান দিয়ে বা কোন কিছুকে ধরে দাঁড়াবে । মনে রাখতে হবে- হাত বাঁধা সুন্নাত । কিন্তু দাড়ানো ফরয । কাজেই প্রয়োজনের সময় সুন্নাত তরক করে ফরয আদায় করতে হবে । গাড়ী, লঞ্চ ও বাস কিবলা থেকে ঘুরতে থাকলে মুসল্লীও ঘুরবে এবং সর্বদা কিবলামুখী থাকবে । সিজদার সময় পিছনের সিটে পা ঝুলিয়ে বসে সামনের ছিটে কম করে ১ তাসবীহ পরিমাণ সময় সিজদা করবে । আর খালি জায়গা পেলে লঞ্চে, বাস বা ট্রেনের ফ্লোরে সিজদাহ করবে । আর যদি সিজদা করার মত কোন খালি জায়গা না পাওয়া যায়, তাহলে ইশারায় রুকূ-সিজদা করে নামায পড়ে নিবে । তবে এ ক্ষেত্রে গন্তব্যে স্থলে পৌঁছে নামায দুহরিয়ে পড়তে হবে । 

যানবাহনে যদি কেউ বিনা ওযরে বসে নামায পড়ে কিংবা নামায অবস্থায় কিবলা থেকে চেহারা ফিরে যায়, তাহলে নামায দুহরিয়ে নিতে হবে ।
(প্রমাণঃ আহসানুল ফাতাওয়া-৪/৮৮  ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়াহ-২ /১২০)

সফরের অবস্থায় নামায আদায়- পুরুষ-মহিলা যার যেভাবে সম্ভব সে সেভাবেই আদায় করবে।পুরুষ যেভাবে আদায় করবে,মহিলারাও ঠিক সেভাবেই আদায় করবে।

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/573


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রথমত আপনি চেষ্টা করবেন যে জোহর আওয়াল ওয়াক্তে আদায় করে বাসে উঠে গন্তব্যে পৌছে বা বাস থেকে নেমে আছর শেষ ওয়াক্তে তথা সূর্য ডুবে যাওয়ার আগে আদায় করা যায় কিনা।
যদি করা যায়,তাহলে বাসে নামাজ পড়ার প্রয়োজন নেই।

আর যদি জোহরের ওয়াক্ত আসার আগেই বাসে উঠতে হয়,বা বাসেই আসরের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যায়,সেক্ষেত্রে বাসে নামাজ আদায় করবেন।
আপনি প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উপরোক্ত পদ্ধতিতে বাসেই নামাজ আদায় করবেন।
যদি রুকু সিজদা করার মত কোন খালি জায়গা না পাওয়া যায়, তাহলে ইশারায় রুকূ-সিজদা করে নামায পড়ে নিবেন । তবে এ ক্ষেত্রে গন্তব্যে স্থলে পৌঁছে উক্ত নামায পুনরায় আদায় করবেন। 

(০২)
হ্যাঁ বাসের সীটেই উপরোক্ত নিয়ম মেনে নামাজ আদায় করবেন।

(০৩)
অযু ছাড়া নামাজ হবেনা।।
অযু না থাকলে প্রয়োজনে তায়াম্মুম করবেন।

(০৪)
হ্যাঁ নেকাব পড়েই নামাজ আদায় করবেন।
কেননা পর্দা রক্ষা করা ফরজ।

(০৫)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি শুধু ফরজ নামাজ আদায় করবেন।

(০৬)
যেহেতু রুকু সেজদাহ ইশারা করে আদায় করা হবে,তাই গন্তব্যে পৌছার পর পুনরায় উক্ত নামাজ আদায় করে নিবেন।

প্রেক্ষাপটে দুইঃ

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
হ্যাঁ পারবেন।

(০২)
ইশারা করে রুকু সেজদাহ করার কারনে পরবর্তীতে নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...