আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
289 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (32 points)
আমি বাসা  ভাড়া নিবো জন্য এডভান্স করি ১০০০ টাকা।কোন শর্ত ছিলো না যে আমি বাসা ভাড়া না নিলে এই অর্থ ভেরত দিবেন বাড়ি ওয়ালা।আমি পরবর্তীতে জানতে পারি এলাকাটা ভালো না।তাই এখন বাসা ভাড়া নিতে চাচ্ছি না।এই ক্ষেত্রে আমি কি আমার এডভান্স এর টাকাটা চাইতে পারবো??
আর উনি কি আমার টাকা দিতে বাধ্য হবেন?উনার জন্য কি এটা হালাল হবে? উনি একজন ইমাম মানুষ।

1 Answer

0 votes
by (616,950 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা(২৯)

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ " 
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/3747

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
এডভান্স নেয়ার কারণে উনি ঐ টাকার মালিক হয়ে যাবেন না , বরং ঐ টাকার মালিক আপনিই।সুতরাং আপনি ঐ টাকা নিবেন।তিনি ঐ টাকা আপনাকে দিতে বাধ্য।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (616,950 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (33 points)
reshown by
হুজুর এখন ত উনি কথা দিয়েছিলেন যে বাড়ি ভাড়া নিবে যার ফলে বাড়িওয়ালা ত বাসা ভাড়া হবে ভেবে বসে ছিল। এখন উনি যে মাসের কয়েকটা দিন নষ্ট করল যার ফলে ত বাড়িওয়ালার ক্ষতিও হয় মানে অনেক সময় দেখা যায় বাসা ভাড়া হয় না। তখন বাড়িওয়ালার কি করণীয়
by (616,950 points)
যদি  এমন হয়, তাহলে যখন কেউ বাসা বাড়া নিতে আসবে, তখন সাথে সাথেই তার সাথে চুক্তি করে নিতে হবে।এবং তাকে সতর্ক করে দিতে হবে। সুতরাং যতদিনের চুক্তি হবে, তিনি থাকুন বা নাই থাকুন, তখন কিন্তু ভাড়া কর্তন করা যাবে।বুঝে না থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন।
by (33 points)
অামি বাসা ভাড়া দেওয়ার সময় প্রতি মাসের ভাড়া অগ্রিম নিয়ে নেই। যেমন, মে মাসে অামার বাসায় ভাড়া থাকবে তাই অামি সে ভাড়া এপ্রিলে নিয়ে নেই অাবার পরে জুন মাসে থাকবে সেই ভাড়া অগ্রিম হিসাবে মে মাসে নিয়ে নেই। মানে অাগাম ভাড়া নেই। অার যদি অাগাম ভাড়া নেওয়ার সময় বলে নেই যে থাকেন বা না থাকেন ভাড়া ফেরত পাবেন না তবে কি সে টাকা ব্যাবহারে কি কোন সমস্যা অাছে 
by (616,950 points)
যদি মাসিক চুক্তি করে অগ্রিম ভাড়া নিয়ে নেন, তাহলে তিনি থাকেন বা না থাকেন, তিনি তো ভাড়া দিবেনই। তবে আপনি অন্য কাউকে ভাড়া দিতে পারবেন না, যদি তিনি না থাকেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...