ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
চাচার বাড়ি যদি নিজ পৈত্রিক বাড়িতেই হয়,তাহলে সেখানে যাওয়ার পরই আপনি মুক্বিম।আপনি তথায় পূর্ণ নামায পড়বেন।কিন্তু যদি চাচার বাড়ি আপনার পৈত্রিক বাড়ীতে না হয়,বরং চাচা অন্য কোথাও তিনি বাড়ী করে থাকেন,তাহলে হুকুম হল,চাচার বাড়ী যদি আপনার সফরের সুচনা স্থল থেকে ৭৭কিলোঃ এর বেশী হয়,এবং আপনি তথা ১৫দিনের কম সময় অবস্থানের নিয়ত করে থাকেন,তাহলে আপনি রাস্তায় এবং চাচার বাড়িতে মুসাফির হিসেবে কসর নামায পড়বেন।
যদি পনের দিনের বেশী সময় অবস্থানের নিয়ত করে নেন,তাহলে পূর্ণ নামাযই পড়বেন।জানুন-
4464
(২)
সফর অবস্থায় মানুষের উপর কসর নামাযই ওয়াজিব হয়ে থাকে।বিধায় আপনাকে কসর করতেই হবে।পূর্ণ নামায পড়লে ফরয আদায় হবে না।
(৩)
যতদূর থেকে বিনা মাইকে আযান শুনা যাবে,ততদূর বাড়ী থাকলে মসজিদে এসে নামায পড়া সুন্নতে মু'আক্কাদা বা ওয়াজিব।এর চেয়ে বেশী দূরে হলে,কেউ যদি ঘরেই জামাতে নামায আদায় করে নেয,তাহলে মসজিদে না আসার দায়ভার তার ঘাড়ে বর্তাবে না।হ্যা মসজিদের জামাত এবং ঘরের জামাতের ফযিলতে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে।বিস্তারিত জানুন-
1365
(৪)
দুুই নামাযকে একত্র করে পড়ার বিধান সম্পর্কে উলামাদের মতবিরোধ রয়েছে।একদল বলেন,হজ্ব ব্যতীত দুই নামাযকে একত্র করে পড়া যাবে।অন্য একদল বলেন,হজ্বে আরাফাহ ও মুযদালিফা ব্যতীত অন্যকোথাও দুই নামাযকে একত্র করে পড়া যাবে না।তবে এভাবে পড়া যাবে যে,একটি নামাযকে একোবারে তার শেষ ওয়াক্তে এবং পরবর্তী নামাযকে তার প্রথম ওয়াক্তে পড়া যাবে।তখন বাহ্যিক ভাবে জমা দেখা গেলেও মূলত প্রত্যেক নামাযকে তার ওয়াক্তেই পড়া হয়েছে।জানুন-
827
(৫)
৪র্থ নং জবাবের আলোকে যদি আপনি দুই নামাযকে একত্র করতে চান,তবে সেটা পারবেন।নতু্বা পারবেন না।তখন আপনি ট্রেনেই নামায পড়বেন।যেভাবে আপনার জন্য সম্ভব হয়।সর্বশেষ ইশারার মাধ্যমে নামায পড়বেন।এবং ট্রেন থেকে নেমে সম্ভব হলে উক্ত নামাযকে দোহড়ায়ে নিবেন।
সফর শুরু করার পর নিজ এলাকা অতিক্রমের পর সফরের বিধান প্রযোজ্য হবে।শহর হলে সিটি এলাকা অতিক্রম করার পর এবং গ্রাম হলে নিজ ওয়ার্ডের সীমানা অতিক্রমের পর কসর করা যাবে।