ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি
ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
বিড়াল পোষা
বৈধ এবং বিড়াল একটি পবিত্র প্রাণী।
হাদিস শরিফে
আছে, আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, জনৈক
মহিলাকে একটি বিড়ালের কারণে আজাব দেওয়া হয়। সে বিড়ালটিকে বন্দি করে রাখে, এ অবস্থায়
সেটি মারা যায়। সে এটিকে বন্দি করে রেখে পানাহার করায়নি এবং তাকে ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে
(নিজে) জমিনের পোকা-মাকড় খেতে পারে। (সহিহ বুখারি, হাদিস :
৩৪৮২)
হযরত ইবনে
উমর থেকে বর্ণিত,
عن ابن عمر رضي الله عنهما قال :
قال النبي صلى الله عليه وسلم : ( دخلتِ امرأةٌ النارَ في هِرَّة حبَسَتْها، لا هي
أطعَمَتْها ولا هي ترَكَتْها تأكُلُ مِن خَشَاش الأرض حتى ماتَتْ )
নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এক নারী
একটি বিড়ালের কারণে জাহান্নামে গিয়েছিল, সে তাকে
বেঁধে রেখেছিল। সে তাকে খাবারও দেয়নি, ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে
যমীনের পোকা মাকড় খেতে পারত। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রেও নাবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে। (সহীহ বোখারী-৩৩১৮,সহীহ
মুসলিম-২২৪২)
হাফেজ ইবনে
হাজার (রহ.) বলেন, কুরতুবি (রহ.) বলেছেন, এ হাদিস
থেকে বিড়াল পালা ও বিড়ালকে বেধে রাখা জায়েজ বলে প্রমাণিত হয়, যদি তাকে
খানাপিনা দেওয়ার ব্যাপারে ত্রুটি না করা হয়। (ফাতহুল বারি : ৬/৪১২)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
না, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে কোনো
সমস্যা নেই। তবে বিড়ালের কারণে সিজদা দিতে সমস্যা হলে এক হাত ব্যবহার করে বিড়ালকে
সড়িয়েও দিতে পারবেন।
উল্লেখ্য যে, যদি জায়নামাজে বিড়ালের গায়ে লেগে থাকা নাপাকীর কোন অংশ লেগে থাকে এবং তা
জায়নামাজে লেগে যায় তাহলে জায়নামাজ নাপাক হয়ে যাবে অন্যথায় জায়নামায নাপাক হবে না।
কারণ, বিড়াল একটি পবিত্র প্রাণী। সুতরাং বিড়ালের
শরীরে প্রকাশ্য কোন নাপাকী লেগে থাকলে তা নাপাক, অন্যথায় নাপাক নয়।