আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
166 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
১)আসসালামু আলাইকুম শায়েখ...আমার বিয়ে হয়েছে ১বছরের বেশি। শাশুড়ী ও স্বামীর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে, আমার দ্বীন পালনে কোনো সহযোগিতা না পাওয়ায় স্বামীকে তালাকের নোটিশ পাঠাই...কিন্তু সে কোনোভাবেই বিয়ে ভাঙতে রাজি না,, তাও আমার পক্ষ থেকে নোটিশ পাঠানো হয়..আমার প্রশ্ন হল দেশের আইনে তো ৩মাস হলেই তালাক হয়ে যাবে।। কিন্তু যেহেতু স্বামী তালাক দিতে চাচ্ছে না তাহলে কি ইসলামি আইনে তালাক হবে?
২)স্বামী আবার সব সমস্যা সমাধান করে দিবে বলেছে, এদিকে আমার ফ্যামিলি আমার দুরবস্থার কথা দেখে আমাকে আর ফেরত পাঠাতে রাজি না, আমি পড়েছি উভয় সংকটে। স্বামী বার বার রিকুয়েষ্ট করার পর ও তাকে রিজেক্ট করার জন্য কি আমার উপর তার অভিশাপ পড়বে? আবার এদিকে আব্বু আম্মুর কথা না শুনে স্বামীর কাছে ফেরত গেলে তারা কষ্ট পাবে, তখন কি আমার সুখ হবে, এই চিন্তায় আমি কোনোভাবেই শান্তি পাচ্ছিনা,, এই অবস্থায় আমার কি করণীয় হবে যদি বলতেন শায়েখ

1 Answer

+1 vote
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-


(১)
তালাক প্রদান করা সম্পূর্ণ স্বামীর অধীকার।হ্যা শরীয়ত কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্ত্রীকে নিজের উপর তালাক প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে।যেমন,স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক প্রদানের অনুমতি প্রদান করলে,স্ত্রী নিজেকে তালাক দিতে পারবে।তাছাড়া স্বামী খোরপোষ না দিলে,স্ত্রী কাযী সাহেবের নিকট অভিযোগ দায়ের করতে পারবে।কিংবা স্বামী নিখোঁজ হলে বা ধ্বজভঙ্গ হলে কোর্ট বিবাহ ভঙ্গের রায় দিতে পারবে।

স্বামীর খোঁজখবর না থাকলে স্ত্রী চার বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।চার বছর অপেক্ষার পরও যদি স্বামীর কোনো খোঁজখবর না মিলে,কোর্ট স্বামীর পক্ষ্য থেকে বিবাহ ভঙ্গ করে দিবে।স্ত্রী তালাক দিতে পারবে না।তালাক দেয়ার অধীকার স্ত্রীর নেই।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/4506

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্ত্রী তালাকের অধিকার প্রাপ্ত না হলে, এভাবে তালাকের নোটিশ প্রদাণের দ্বারা তালাক হবে না।বরং স্বামীকেই তালাক প্রদাণ করতে হবে। তবেই তালাক হবে।

(২)
আপনি স্বামীর কথা শুনবেন। এতেকরে মাতাপিতা কষ্ট পেলেও কোনো গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...