ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
وَلَوْ أَسْلَمَ أَحَدُ الزَّوْجَيْنِ عُرِضَ الْإِسْلَامُ عَلَى الْآخَرِ فَإِنْ أَسْلَمَ وَإِلَّا فُرِّقَ بَيْنَهُمَا كَذَا فِي الْكَنْزِ. وَإِنْ سَكَتَ وَلَمْ يَقُلْ شَيْئًا فَالْقَاضِي يَعْرِضُ الْإِسْلَامَ عَلَيْهِ مَرَّةً بَعْدَ أُخْرَى حَتَّى يُتِمَّ الثَّلَاثَ احْتِيَاطًا كَذَا فِي الذَّخِيرَةِ.
যদি স্বামী-স্ত্রীর মধ্য থেকে কেউ একজন ইসলাম গ্রহণ করে, তাহলে অন্যজনকে মুসলমান হতে বলা হবে।যদি সে ইসলাম গ্রহণ করে নেয়, তাহলে তো ভালো।নতুবা তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটানো হবে।যদি অন্যজন নিশ্চুপ থাকে, কোনো কথাই না বলে, তাহলে কাযী সাহেব, তার সামনে সর্বমোট তিনবার ইসলামকে পেশ করবেন।ইসলাম গ্রহণ করে নিলে বিবাহ বহাল থাকবে, নতুবা বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাবে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৩৮)
(২)
আপনার যদি কোনো ইনকাম না, এবং আপনি যদি কুরবানির নেসাব পরিমাণ মালের মালিক না থাকেন, তাহলে তো আপনার উপর কুরবানি ওয়াজিব হবে না।সুতরাং বাবা ভাইয়ের নিকট থেকে টাকা নিয়ে এসে কুরবানি করার কোনো যৌক্তিকতা নাই। হ্যা, নফল হিসেবে করতে পারবেন। তবে আপনার বাবা ভাইয়ের টাকায় যেহেতু সন্দেহ রয়েছে, তাই তাদের টাকা থেকে কিছুই গ্রহণ করতে পারবেন না।
(৩)
চাচা,মামা,অন্য আত্মীয়স্বজন, বা কেউ দাওয়াত দিলে তাদের ইনকাম যদি হারাম হয় বা হারাম মিশ্রিত থাকে, তাহলে যথাসম্ভব বেঁচে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করবেন। যদি বেঁচে থাকা সম্ভবপর না হয়, তাহলে আপনি ঐ পরিমাণ টাকা সদকাহ করে নিবেন।