আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
219 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
১। মেয়েদের যে স্বাভাবিক সাদা বা পানির মতো তরল স্রাব বের হয়, তা কখন বের হচ্ছে তা তো বোঝা যায় না।এক্ষেত্রে কি প্রতি বার নামাযের আগে চেক করে দেখতে হবে এবং নিজেকে পরিষ্কার করে নিতে হবে,কাপড় কি নাপাক হয়ে যাবে? ওযুর পর যদি মনে হয় বের হচ্চে তাহলে কি আবার ওযু করতে হবে?

২। মেয়েদের ক্ষেত্রে ঘুম  থেকে উঠার পর যদি স্বপ্ন মনে না থাকে বা বাজে কিছু দেকার কথা মনে না থাকে এবং কাপড়েও কোন চিন্হ না থাকে, কিন্তু  লজ্জাস্থানের ভেতরে যদি হাত দিয়ে চেক করলে সাদা স্রাবের মতো বা সাদা তরল হাতে আসে,এমন  যদি  প্রায় প্রতিদিন হয়,ফরজ গোসল করতে হবে?

৩।মেয়েরা কি হিজাব পড়ে ছাদে কাপড় তুলতে বা প্রকৃতি দেখতে যেতে পারবে? বারান্দায় যেতে পারবে( বিশেষ করে যখন অন্ধকার থাকে)? বাইরে হাটতে যেতে পারবে?

৪।কোন মেয়ে যদি আত্নীয় বা পরিচিতর ( মামা,চাচা,খালার বাসায়) বাসায় ননমাহরামের চোখের আড়ালে  তার হিজাব খুলে তাতে কি গুনাহ হয়?  কোথায় শুনেছিলাম নিজ গৃহ ব্যতিত অন্য কোথাও হিজাব বা পর্দা খুললে গুনাহ হয়।

৫। আমি যদি নতুন করে নির্দিষ্ট কোন শেইখকে অনুসরন করি তাহলে কি আমি আগে যেসব ফতোয়া অন্য জায়গা থেকে জেনেছি ওগুলো আবার তার কাছ থেকে জেনে নিতে হবে?না জেনে নিলে কি আমার গুনাহ হবে?

৬।মুরগির কোন অংশ কি এমন রয়েছে যা খাওয়া হারাম?

৭। সুদি ব্যাংকে চাকরি কারি আত্নীয়ের দেয়া উপহারের মুল্য দান করলে কি তা ব্যবহার করা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

(১)

https://www.ifatwa.info/50নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,

লিকুরিয়া রোগ যা মহিলাদের জরায়ুতে হয়।

যার অর্থ হল জরায়ু থেকে সাদাস্রাব নির্গত হওয়া।

সাদাস্রাব নাপাক।যা নির্গত হলে অজু চলে যায়।কাপড়ের যে অংশে লাগবে সেটুকু ধৌত করতে হবে।তা নাজাসতে গলিজা।এক দিরহামের বেশী হলে নামায হবে না।


এই সাদাস্রাব নির্গত হওয়া দুই প্রকার।

ক/

সাদাস্রাব মাঝেমধ্যে নির্গত হয়।অর্থাৎ হঠাৎ জরায়ুতে চলে আসে।

এমতাবস্থায় যদি হঠাৎ নামাযের মধ্যে বা নামাযের পূর্বে নির্গত হয়, তখন কাপড় পাল্টিয়ে লজ্জাস্থান ধৌত করা পূর্বক নতুন করে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে।তারপর পূনরায় নামায পড়তে হবে।


খ/

যদি কোনো এক নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত ধারাবাহিক সাদাস্রাব নির্গত হতে থাকে।যেমন মাগরিবের নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত তথা ১ঘন্টা৩০মিনিট ধারাবাহিক সাদাস্রাব নির্গত হতে থাকে। তাহলে এমতাবস্থায় উনাকে মা'যুর গণ্য করে মা'যুরের হুকুম উনার উপর আরোপ করা হবে।


মা'যুরের হুকুম হল,

মা'যুর ব্যক্তি এক ওয়াক্তের জন্য এক অজু করবেন।

তারপর উক্ত অজু দ্বারা উক্ত ওয়াক্তের ভিতর যতসম্ভব উনি ফরয নফল ইত্যাদি ইবাদত করতে পারবেন।যখন ওয়াক্ত চলে যাবে তখন অজুও শেষ হয়ে যাবে।পূনরায় ভিন্ন ওয়াক্তের জন্য ভিন্ন অজু করতে হবে।ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-৫/২২৩/২২৪


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

জ্বী, প্রত্যেক ওয়াক্তে চেক করে কাপড় পাল্টিয়ে অজু করে নিবেন।প্রতি ওয়াক্তের জন্য একটি অজুই যথেষ্ট।হ্যা, অজু ভঙ্গকারী অন্য কোনো কিছু না হলে, আর অজু করা লাগবে না।


(২)

গোসল ফরয হবে না।


(৩)

মেয়েরা হিজাব পড়ে ছাদে কাপড় তুলতে বা প্রকৃতি দেখতে যেতে পারবে।বারান্দায় যেতে পারবে( বিশেষ করে যখন অন্ধকার থাকে)।বাইরে হাটতে যেতে পারবে।


(৪)

কোন মেয়ে যদি আত্নীয় বা পরিচিতর ( মামা,চাচা,খালার বাসায়) বাসায় ননমাহরামের চোখের আড়ালে  তার হিজাব খুলে তাতে গুনাহ হবে না। নিজ গৃহ ব্যতিত অন্য কোথাও হিজাব বা পর্দা খুলার অর্থ হল, গায়রে মাহরামের সামনে খুলা।


(৫)

নতুনকরে কাউকে ফলো করার প্রয়োজন নাই।আপনি পূর্বেরজনকেই ফলো করবেন।


(৬)

মোরগ জবাই করার পর নাড়িভুঁড়ি বের না করে যদি গরম পানিতে ফেলে দেয়া হয়,এবং পানি বেশ গরম থাকে,ও বেশ কিছুক্ষণ গরম পানিতে রাখা হয়,তাহলে তখন নাড়িভুঁড়ির নাজাসত গোস্তে প্রবেশ করে নেয়,তাই তখন সমস্ত মোরগই নাপাক হয়ে যাবে।সুতরাং তখন আরো ঐ মোরগকে খাওয়া যাবে না।(কিতাবুন নাওয়াযিল-১৪/৪১৭)

গলার রগের ভিতরের অংশ মাকরুহ।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/2495


মোরগের বর,এবং গলার রগের ভিতরের অংশ ব্যতিত সবকিছুই হালাল।


(৭)

সুদি ব্যাংকে চাকরি কারি আত্নীয়ের দেয়া উপহারের মুল্য দান করলে, তা ব্যবহার করা যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (13 points)
আসসালামু আলাইকুম 
৫। আগে নির্দিষ্ট কাউকে অনুসরণ করি নি,বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন ভাবে ফতোয়া  জানতে পেরেছি, তাই এখন কি আবার নতুন করে একজনের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে?
by (583,410 points)
নির্দিষ্ট কাউকে বলতে নির্দিষ্ট একটি মাযহাবকে মেনে নিলেই হবে।
by (13 points)
আসসালামু আলাইকুম,
৩) হিজাব পড়ে কি পার্ক বা প্রাকৃতিক দৃশ্যের জায়গা, রেস্টুরেন্টে, বাইরে খাওয়ার জন্য, আত্নীয় বা বান্ধবীর বাসায় ইত্যাদি  যেতে পারবে?
by (583,410 points)
না, যেহেতু এমন স্থানে বিশেষ কোনো জরুরত নাই।তাই যেতে পারবে না।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...