আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
223 views
in পবিত্রতা (Purity) by (13 points)
reopened by
আসসালামু আ'লাইকুম ওয়া রহমাতুল্ল-হ।

১.জুনের ১০ তারিখ থেকে এক অথবা দুইদিন রক্ত দেখা যায়।পরবর্তীতে জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে এক অথবা দুইদিন রক্ত দেখা যায়।

তারপর জুলাইয়ের ১৮ তারিখ থেকে এক অথবা দুইদিন রক্ত দেখা দেয়।

এক্ষেত্রে আমি অজ্ঞতাবশত এই দিনগুলোতে সালাত আদায় করিনি।ভেবেছি,হায়েজ ছিল।

এক্ষেত্রে উক্তদিনগুলোতে আমি কি ইস্তেহাযাগ্রস্থ ছিলাম?এবং আমাকে কি ঐ দিনগুলোর সালাতের কাযা আদায় করতে হবে?

২.একটি ওয়াক্তের প্রথম থেকে অবিরামভাবে সাদাস্রাব নির্গত হচ্ছে।এক্ষেত্রে ঐ ওয়াক্তে ফরয সালাত আদায় (ফজরের ২ রাকআত/যোহরের ৪ রাকআত ফরয সালাত/... ) পরিমাণ সময় সাদাস্রাব বন্ধ হয় কিনা,এই ভেবে কি পুরো ওয়াক্ত অপেক্ষা করবো? এবং যদি দেখি,ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পথে;ফরয সালাত আদায় করার জন্য আর ১০-১৫ মিনিট সময় বাকি আছে।

আমি কি এভাবে পুরো ওয়াক্ত সাদাস্রাব বন্ধ হওয়ার অপেক্ষা করে একদম শেষ সময়ে এসে শুধু ফরয সালাত আদায় করবো?সুন্নাতে মুয়াক্কাদার সালাত গুলো কি সময়ের অভাবে ছেড়ে দিবো?


৩.এরকম রোগাক্রান্ত অবস্থা নিয়ে যদি সফরে বের হতে হয়(সফরে একটি ওয়াক্তের পুরো সময় সাদাস্রাবগ্রস্থ থাকতেও পারি এবং না-ও থাকতে পারি),তাহলে সফরে বাসে থাকা অবস্থায় সালাত আদায়ের জন্য পবিত্রতার হুকুম কিরূপ হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
হায়েয তিনদিন পর্যন্ত স্থায়ী না হলে সেটা ইস্তেহাযা। সুতরাং আপনি ঐ নামাযগুলোকে কাযা করে নিবেন।

(২)
https://www.ifatwa.info/50নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
লিকুরিয়া রোগ যা মহিলাদের জরায়ুতে হয়।
যার অর্থ হল জরায়ু থেকে সাদাস্রাব নির্গত হওয়া।
সাদাস্রাব নাপাক।যা নির্গত হলে অজু চলে যায়।কাপড়ের যে অংশে লাগবে সেটুকু ধৌত করতে হবে।তা নাজাসতে গলিজা।এক দিরহামের বেশী হলে নামায হবে না।

এই সাদাস্রাব নির্গত হওয়া দুই প্রকার।
ক/
সাদাস্রাব মাঝেমধ্যে নির্গত হয়।অর্থাৎ হঠাৎ জরায়ুতে চলে আসে।
এমতাবস্থায় যদি হঠাৎ নামাযের মধ্যে বা নামাযের পূর্বে নির্গত হয়, তখন কাপড় পাল্টিয়ে লজ্জাস্থান ধৌত করা পূর্বক নতুন করে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে।তারপর পূনরায় নামায পড়তে হবে।

খ/
যদি কোনো এক নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত ধারাবাহিক সাদাস্রাব নির্গত হতে থাকে।যেমন মাগরিবের নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত তথা ১ঘন্টা৩০মিনিট ধারাবাহিক সাদাস্রাব নির্গত হতে থাকে। তাহলে এমতাবস্থায় উনাকে মা'যুর গণ্য করে মা'যুরের হুকুম উনার উপর আরোপ করা হবে।

মা'যুরের হুকুম হল,
মা'যুর ব্যক্তি এক ওয়াক্তের জন্য এক অজু করবেন।
তারপর উক্ত অজু দ্বারা উক্ত ওয়াক্তের ভিতর যতসম্ভব উনি ফরয নফল ইত্যাদি ইবাদত করতে পারবেন।যখন ওয়াক্ত চলে যাবে তখন অজুও শেষ হয়ে যাবে।পূনরায় ভিন্ন ওয়াক্তের জন্য ভিন্ন অজু করতে হবে।ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-৫/২২৩/২২৪

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রথম দিন সাদাস্রাবের দরুণ পরীক্ষা করতে যেয়ে ওয়াক্তের শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তখন সুন্নত বাদ দিয়ে শুধুমাত্র ফরয পড়ার চেষ্টা করা হবে।তারপর থেকে মা'যুর হিসেবে প্রতি ওয়াক্তের জন্য অজু করে সুন্নত ফরয সবকিছুই পড়া হবে।

(৩)
তায়াম্মুম করে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...