জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো কোনো মসজিদের যদি মুয়াজ্জিন,খাদেম,বা মসজিদের পক্ষ থেকে কাউকে এসব ফ্যান লাইট বন্ধ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়ে থাকে,তাহলে তার উপরেই এসব অপ্রয়োজনীয় ভাবে জ্বলতে থাকা লাইট, অপ্রয়োজনীয়ভাবে চলতে থাকা ফ্যান বন্ধ করা ওয়াজিব।
তারা যদি বেখিয়ালে থাকে,তাহলে মুছল্লির উপর কর্তব্য হলো তাদেরকে তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে স্বরন করে দেওয়া।
,
যদি তাদের উপর দায়িত্ব থাকার পরেও সকলের জন্যই এসব ফ্যান লাইট বন্ধ করার অনুমতি থাকে,তাহলে তার উপর ওয়াজিব না হলেও সর্বশেষ যে ওখান থেকে উঠবে,সে উক্ত উক্ত ফ্যান লাইট বন্ধ করে দিবে।
,
আর যদি মসজিদের মুয়াজ্জিন, খাদেম ইত্যাদি না থাকে,বা এসব দায়িত্ব কাউকেই না দেওয়া থাকে,এবং সকলের এই কাজ করার পূর্ণ দায়িত্বশীল হয়,তাহলে যে সর্বশেষ উঠবে,তার উপরেই এই ফ্যান লাইট বন্ধ করা আবশ্যক।
,
অপ্রয়োজনীয় এসব ফ্যান লাইট চালানো অপচয়।
কুরআনে কারীমে অপচয়কারীকে বলা হয়েছে শয়তানের ভাই। দেখুন-
وَ اٰتِ ذَا الْقُرْبٰی حَقَّهٗ وَ الْمِسْكِیْنَ وَ ابْنَ السَّبِیْلِ وَ لَا تُبَذِّرْ تَبْذِیْرًا. اِنَّ الْمُبَذِّرِیْنَ كَانُوْۤا اِخْوَانَ الشَّیٰطِیْنِ، وَ كَانَ الشَّیْطٰنُ لِرَبِّهٖ كَفُوْرًا.
আত্মীয়কে তার প্রাপ্য দিয়ে দাও এবং মিসকিন ও মুসাফিরকেও; তবে কিছুতেই অপব্যয় করো না। সন্দেহ নেই, যারা অপব্যয় করে তারা শয়তানের ভাই, আর শয়তান তার প্রভুর প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ! -সূরা বনী ইসরাঈল (১৭) : ২৬-২৭
হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
إِنّ اللهَ كَرِهَ لَكُمْ ثَلاَثًا قِيلَ وَقَالَ وَإِضَاعَةَ الْمَالِ وَكَثْرَةَ السّؤَالِ.
আল্লাহ তোমাদের জন্যে তিনটি বিষয়কে অপছন্দ করেন- ১. অপ্রয়োজনীয় প্রসঙ্গে আলোচনা করা/না জেনে আন্দাজে কথা বলা, ২. সম্পদ নষ্ট করা, ৩. অধিক প্রশ্ন করা। -সহীহ বুখারী, হাদীস ১৪৭৭
وَ الَّذِیْنَ اِذَاۤ اَنْفَقُوْا لَمْ یُسْرِفُوْا وَ لَمْ یَقْتُرُوْا وَ كَانَ بَیْنَ ذٰلِكَ قَوَامًا.
যখন তারা ব্যয় করে তখন অপব্যয় করে না, কার্পণ্যও করে না, বরং তারা আছে এতদুভয়ের মাঝে মধ্যম পন্থায়। -সূরা ফুরকান (২৫) : ৬৭
وَلَوْ وَقَفَ عَلَى دُهْنِ السِّرَاجِ لِلْمَسْجِدِ لَا يَجُوزُ وَضْعُهُ جَمِيعَ اللَّيْلِ بَلْ بِقَدْرِ حَاجَةِ الْمُصَلِّينَ وَيَجُوزُ إلَى ثُلُثِ اللَّيْلِ أَوْ نِصْفِهِ إذَا اُحْتِيجَ إلَيْهِ لِلصَّلَاةِ فِيهِ، كَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ وَلَا يَجُوزُ أَنْ يُتْرَكَ فِيهِ كُلَّ اللَّيْلِ إلَّا فِي مَوْضِعٍ جَرَتْ الْعَادَةُ فِيهِ بِذَلِكَ كَمَسْجِدِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ وَمَسْجِدِ النَّبِيِّ – صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ – وَالْمَسْجِدِ الْحَرَامِ، أَوْ شَرَطَ الْوَاقِفُ تَرْكَهُ فِيهِ كُلَّ اللَّيْلِ كَمَا جَرَتْ الْعَادَةُ بِهِ فِي زَمَانِنَا، كَذَا فِي الْبَحْرِ الرَّائِقِ. (الفتاوى الهندية، كتاب الوقف، الفصل الاول من الباب الحادى عشر فى المسجد-2/459، مطبوعة مصر، وكذا فى البحر الرائق، كتاب الوقف، فصل احكام المسجد-5/250، خانية على هامش الهندية، كتاب الوقف، باب الرجل يجعل داره مسجدا-3/299
যার সারমর্ম হলো মসজিদের আলো,তৈল ইত্যাদি মুছল্লিদের প্রয়োজন মাফিক খরচ করতে হবে।
ইহার থেকে অতিরিক্ত কিছুই করা যাবেনা।