আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
225 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (56 points)
edited by
১.স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের মজলিসে বলে যদি পড়াশোনা করো তাহলে আমার ঘর থেকে চলে যাবা এটা কি শর্তযুক্ত তালাক হবে??নিয়ত না থাকলেও

২.স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের মজলিসে বলে যদি পড়াশোনা করো তাহলে আমার সাথে থাকা যাবে না এটা কি শর্তযুক্ত তালাক হবে??নিয়ত না থাকলেও

৩.স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের মজলিসে বলে যদি পড়াশোনা করো তাহলে আমার ঘরে/সংসারে থাকা যাবে না এটার কোনোটা কি শর্তযুক্ত তালাক হবে??নিয়ত না থাকলেও

৪.স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের মজলিসে বলে যদি পড়াশোনা করো তাহলে আমার ঘরে/ সংসারে থাকবা না এটা কি শর্তযুক্ত তালাক হবে??নিয়ত না থাকলেও

৫.স্বামী যদি তালাকের মজলিসে বলে আমি তোমার থেকে দূরে চলে যাচ্ছি, আমাকে ছাড়া ভালো থাকবা,আমাকে ছাড়া তোমার শাশুড়ির(স্বামীর মা) সাথে ভালো থাকবা, তাহলে এর বাক্যগুলোর কোনো একটা বাক্য বলাতে কি সরাসরি ই তালাক পতিত হবে নিয়ত ছাড়াই??

৬.স্বামী ও তার মায়ের সাথে স্ত্রীকে নিয়ে ঝগড়া হচ্ছিল।তারা(মা ও ছেলে) তখন আলাদা আলাদা রুমে থেকে ঝগড়া করছিলো।স্ত্রী স্বামীর কাছে চুপচাপ বসে ছিলো আর তাকে থামানোর চেষ্টা করছিলো যাতে ছেলে মায়ের ঝগড়া থামে।তখন স্বামী স্বামীর মাকে এভাবে কিছুরা বলে এতো সমস্যা যখন ওকে নিয়ে কাল ডিভোর্স দেয়াবা।যদিও মা ছেলে ঝগড়ার সময় আলাদা ঘরেই ছিলো কিন্তু কাঠের ঘর হওয়ায় ছেলের কথা মায়ের ঘরে শোনা যাচ্ছিলো আর মায়ের কথা ছেলের ঘর থেকে শোনা যাচ্ছিলো। কাল ডিভোর্স দেয়াবা এটা বলার পর স্বামী স্বামীর মায়ের ঘরে যায় মা ছেলে কিছুক্ষণ ঝগড়া করে তারপর আবার নিজের রুমে স্ত্রীর কাছে এসে তাকে কতক্ষণ ধমকায়।মায়ের ঘর আর স্বামীর ঘরের মাঝে একটা কাঠের বেড়া।দরজা থেকে বের হয়ে ৪/৫ পা হেটে তার মায়ের দারজা।এখন প্রশ্ন হলো কাল ডিভোর্স দেয়াবা এটা বলার পর স্বামী রুমে যেয়ে স্ত্রীকে ধমকানোর সময় কোনো কেনায়া বাক্য বললে কি সরাসরিই তালাক হবে??তখনও কি সেটা তালাকের মজলিস হিসেবেই ধরা হবে ঐ কথাটা বলার কারনে??

৭.স্বামী যদি কোনো মজলিসে বলে তুমি একটা কাজ করো আমাকে তোমার লাইফ থেকে বাদ দেওয়ার চিন্তা করো তাহলে সেই মজলিস কি তালাকের মজলিস বলে গন্য হবে??এটা কি কেনায়া শব্দ??

৮.স্বামী যদি তালাকের নিয়ত ব্যতীত  স্ত্রীকে একাধিকবার বলে তুমি মুক্ত বা তুমি স্বাধীন তাহলে কি তালাক হবে?? আসলে স্ত্রী তার অনুমতি না নিয়ে কোথাও যাওযায় ও সন্ধ্যা হওয়ায় এটা বলেছে
৭.স্বামী যদি তালাকের নিয়তে স্ত্রীকে বলে যদি তুমি দ্বীন না মানে বেদ্বীন হয়ে যাও,নামাজ না আদায় করো,শরীয়তের কোনো বিধান লঙ্গন করো তাহলে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।

ক. এখানে কি শর্তযুক্ত তালাক পতিত হবে??

খ.এবং সবগুলো শর্ত কি একত্রে পাওয়া লাগবে নাকি যে কোনো একটা শর্ত পাওয়া গেলেই তালাক পতিত হবে??

গ.এখানে কি স্বামীর নিয়ত ধর্তব্য হবে যে তার তখন কোন নিয়ত ছিলো সব গুলো করলে তালাক হবে নাকি যে কোনো একটা করলে তালাক হবে সে??নাকি নিয়ত দরকার নেই কারণ সে সবগুলোই একসাথে এক বৈঠকেই বলেছে??

ঘ.স্বামী এ ঘটনার ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞেস করতে নিষেধ করছে কসম কাটিয়েছে যাতে তাকে জিজ্ঞেস না করে স্ত্রী। এখন স্ত্রীর কি তাকে জিজ্ঞেস করা ঠিক হবে যে সব শর্তগুলো একত্রে পূরণ করলে তালাক হবে নাকি যে কোনো একটা শর্ত পূরণ করলে তালাক হবে এরকম কোনটা ভেবে সে উক্ত শর্তগুলো উল্লেখ করেছে??

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


তালাক খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

★তালাক স্পষ্ট বাক্য দ্বারাও হতে পারে,আবার কেনায়া শব্দ,ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারাও হতে পারে।
কেনায়া তালাক বলা হয় স্পষ্ট তালাক শব্দ না বলে বরং তালাকের ইঙ্গিতসূচক শব্দ বলে তালাক দেওয়া। 

★★শরিয়তের পরিভাষায় ইঙ্গিত সূচক শব্দে তালাক দেয়াটাকে বলা হয় ‘কেনায়া তালাক’ বা ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারা তালাক। আর কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে নিয়ত তথা তালাকের ইচ্ছা থাকা অত্যাবশ্যক। আর কেনায়া তালাক দ্বারা এক তালাকে বায়েন পতিত হয় ৷

সুতরাং যদি কেউ স্ত্রীকে এরূপ কথা বলে এবং তালাকের নিয়ত করে, তবে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। আর যদি তালাকের নিয়ত না করে তাহলে তালাক হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/৩৭৫)

আরো জানুনঃ  


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
(০১)
স্বামী এখানে ঘর হতে চলে যাওয়া দ্বারা বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন তথা তালাক উদ্দেশ্য নিলে শর্তযুক্ত তালাক হবে।

তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তালাক হবেনা।

(০২)
এটা শর্তযুক্ত তালাক হবেনা।

(০৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে শর্তযুক্ত তালাক হবেনা।

(০৪)
প্রশ্নের বিবরণ মতে শর্তযুক্ত তালাক হবেনা।

(০৫)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তালাক হবেনা।

(০৬)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এটি আলাদা মজলিস হবে।

(০৭)
এটি তালাকের মজলিস।
তবে এটি কেনায়া বাক্য নয়।

(০৮)
তালাকের নিয়ত ছাড়া বলাতে তালাক হবেনা।

(০৭)
ক,
এখানে শর্তযুক্ত তালাক পতিত হবে।

খ. সবগুলো শর্ত একত্রে পাওয়া লাগবে।
তবে সবগুলো একইই ধরনের শর্ত হওয়ায় একটা পাওয়া গেলে সবই পাওয়া গিয়েছে বলে ধর্তব্য হবে।

গ.এখানে স্বামীর নিয়ত দরকার নেই।
সবগুলো শর্ত একত্রে পাওয়া লাগবে।

তবে এখানে একটি শর্ত পাওয়া গেলেই সবগুলো শর্তই পাওয়া যাবে।
কেননা সবই একই।
সবগুলো একই ধরনের।

ঘ,
স্ত্রী স্বামীকে জিজ্ঞাসা করবেনা।

স্ত্রী বেদ্বীন হলেই তালাক হয়ে যাবে।
নিয়মিত নামাজ ত্যাগ করলেও বেদ্বীন বলা হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (56 points)
শায়খ এখানে ৭ নং এ শরীয়তের যে কোনো একটা বিধানও যদি লংঘন করে তবুও কি তালাক হবে??শরীয়তের খুটি নাটি সব বিধান তো আমরা সব সময় মানতে পারিনা।দয়া করে বলবেন

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...