আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
158 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
১।বুখারি শরিফ এ আছে যে, আল্লাহ তায়ালা ঠিক তেমন যেমনটা তার বান্দা মনে করে। এর অর্থ কি এই যে কোন মুসলিম যদি বিশ্বাস করে যে   যদি বড় গুনাহ থেকে বেচে  থাকে তাহলে গুনাহ সত্ত্বেও আল্লাহ তায়ালা তাকে ক্ষমা করে দিবেন কারন আল্লাহ মহান ও তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে ক্ষমা করে দিতে পারেন। এ বিশ্বাস কি বিদআতি বা গুনাহ হবে?

২। আল্লাহ তায়ালা যাকে ইচ্ছা তাকে ক্ষমা করেন কিন্তু নেশায় আসক্ত  ব্যক্তি যার নেশা করা বন্ধের কোন চিন্তা নেই তাকে ক্ষমা করেন না।এখানে নেশা বলতে কি শুধু  মাদকের বা এজাতীয় নেশা বোঝানো হয়েছে?

৩।মেয়েরা কি হাতঘড়ি পরতে পারবে? যদি তা জামার হাতার উপর পরা হয়( হাত দেখা যাবেনা) বা যদি  তা জামা দ্বারা আবৃত থাকে?

৪।আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির জন্য ফিজিকেল ফিটনেসের জন্য সার্টিফিকেট দরকার হয়। পরিচিত একজন ডাক্তার থাকায় তিনি সহজেই তা পাইয়ে দেন।কিন্তু যখন নাক কান গলার ডাক্তার আমাকে পরীক্ষা করেন তিনি বলেন যে আমার নাকের হাড় বাকা( এটা সাধারণত আমাদের দেশে কমন সমস্যা, পরিচিত অনেকের এসমস্যা আছে)।একথায়, পরিচিত ডাক্তার টি বলেন যে এটা আমারও আছে, এমনভাবে ব্যাপারটা এরিয়ে যান ও আমাকে ফিট হিসেবে সার্টিফিকেট দিয়ে দেন। আমি এটা চাই নি।   এখন, আমি বুঝতে পারছি না যে এই সমস্যার কারণে আমি ফিজিকালি আনফিট কিনা। আমি কি জালিয়াতি করলাম?ডাক্তারি পরে এমন বোনকে জিজ্ঞেস করলে সে বলে যে যতক্ষণ পর্যন্ত আমি শ্বাস নিতে অসুবিধায় পরব না ততক্ষণ পর্যন্ত আমি ঠিক আছি ,এটা তেমন কিছু না। আমি কি জালিয়াতি করলাম?  আমার কি এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া নাজায়েজ হয়ে যাবে?

৫। ইংরেজি  আমেরিকানদের মতো করে বললে কি গুনাহ হবে?

৬।  মানুষ, প্রানীর ছবি ছাড়া  প্রাকৃতিক দৃশ্য আকলে গুনাহ হবে? মাথা ছাড়া প্রজাপতি  ( ডানা ও এন্টেনা) আকলে কি গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى: أَنَا عِنْدَ ظَنِّ عَبْدِي بِي وَأَنَا مَعَهُ إِذَا ذَكَرَنِي فَإِنْ ذَكَرَنِي فِي نَفْسِهِ ذَكَرْتُهُ فِي نَفْسِي وَإِنْ ذَكَرَنِي فِي مَلَأٍ ذَكَرْتُهُ فِي مَلَأٍ خير مِنْهُم

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা বলেন, আমি আমার বান্দার নিকট সেরূপ, যেরূপ সে আমাকে স্মরণ করে। আমি তার সাথে থাকি, যখন সে আমাকে স্মরণ করে। যদি সে আমাকে স্মরণ করে তার মনে, আমি তাকে স্মরণ করি আমার মনে। আর সে যদি স্মরণ করে আমাকে মানুষের দলে, আমি তাকে (অনুরূপ) স্মরণ করি তাদের চেয়েও সর্বোত্তম দলে।
(সহীহ : বুখারী ৭৪০৫, মুসলিম ২৬৭৬, তিরমিযী ৩৬০৩, ইবনু মাজাহ ৩৮২২, আহমাদ ৯৩৫১, শু‘আবূল ঈমান ৫৪৬, সহীহ আত্ তারগীব ১৪৮৭।)

এই হাদীসের ব্যাখ্যা: (أَنَا عِنْدَ ظَنِّ عَبْدِي) ‘আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেন, (ظن) হলো সন্দেহ ও ইয়াক্বীনের মধ্যবর্তী বিষয়। তবে (ظن) তথা ধারণা মাঝে মাঝে ইয়াক্বীন তথা দৃঢ়বিশ্বাসের ফায়দা দেয়। অর্থাৎ- (ظن) তথা ধারণা সঠিক হওয়ার আলামত বা নিদর্শন যদি পরিস্ফূটিত হয়ে যায় তখন তার অর্থ হয় ইয়াক্বীন যেমনঃ মহান আল্লাহ বলেন,

الَّذِيْنَ يَظُنُّوْنَ أَنَّهُمْ مُلَاقُوْ رَبِّهِمْ

অর্থাৎ- ‘‘মু’মিনরা ধারণা তথা বিশ্বাস রাখে যে, তারা তাদের রবের সাথে সাক্ষাত করবে।’’ (সূরা আল বাকারাহ্ ২ : ৪৬)

অপরদিকে যদি (ظن) তথা ধারণার সঠিক হওয়ার আলামতগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে তাহলে তা شك তথা সন্দেহের অর্থ বহন করে থাকে। যেমনঃ মহান আল্লাহ বলেন, وَظَنُّوْا أَنَّهُمْ إِلَيْنَا لَا يُرْجَعُوْنَ

অর্থাৎ- ‘‘কাফিররা ধারণা তথা সন্দেহ করে যে, তারা আল্লাহর নিকট প্রত্যাবর্তন করবে না, অর্থাৎ- তারা আল্লাহর নিকট প্রত্যাবর্তন করবে কিনা এ ব্যাপারে সন্দীহান।’’ (সূরা আল কাসাস ২৮ : ৩৯)

‘আল্লামা কুরতুবী (রহঃ) বলেছেনঃ (ظَنِّ عَبْدِي) এর অর্থ হলো দু‘আ করার সময় এ ধারণা পোষণ করা যে, আল্লাহ আমার দু‘আ কবূল করবেন। যেহেতু তিনি ওয়া‘দা দিয়েছেন যে, বান্দার দু‘আ তিনি কবূল করবেন আর তিনি তো ওয়াদা খেলাফ করেন না। অতএব তিনি আমার দু‘আও কবূল করবেন। এরূপ বিশ্বাস রাখা।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত বিশ্বাস কেউ স্থাপন করলে করা যাবে।
আল্লাহ তায়ালা চাইলে ক্ষমা করবেন,তবে বান্দার কাজ হলো তওবা করা,পাশাপাশি আল্লাহর ক্ষমার উপর আশা রাখা।

(০২)
এমন কথা হাদীসে পাইনি।

আল্লাহ তায়াল শুধু শিরক কারীকে ক্ষমা করেননা।

(০৩)
যদি তাহা জামা দ্বারা আবৃত থাকে,তাহলে কোনো সমস্যা নেই।

(০৪)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এটি জালিয়াতি নয়।
আপনার এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া নাজায়েজ হয়ে যাবেনা।

জায়েজই থাকবে।
সমস্যা নেই।

(০৫)
না,গুনাহ হবেনা।

(০৬)
না,এতে গুনাহ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (13 points)
আসসালামু আলাইকুম 
০৩। জামার হাতার  উপরে পড়লে কি গুনাহ হবে?
by (13 points)
আসসালামু আলাইকুম 
০৩। জামার হাতার  উপরে পড়লে কি গুনাহ হবে? মানে ঘড়িটা যদি বাইরে থাকে, দেখা যায় তাহলে  সুবিধা হয়।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...