ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
সূরা ক্বরিয়াহর ৪ নং ইয়াওমা ইয়াকুনুন নাসু না পড়ে ইয়াওমা ইয়াকুমুন নাসু পড়েছি নুন এর জায়গায় মীম দিয়ে পড়ার কারণে অর্থে মারাত্বক কোনো পরিবর্তন হয়নি,তাই স্বলাত ফাসিদ হবে না।
ক্বরিয়াহর ৭ নং আয়াতে শেষের শব্দ রদ্বিয়াহ তে আমি রদ্বিফাহ পড়ার কারণে এমন অর্থে পরিবর্তন হয়েছে,যাতেকরে বিপরীত অর্থেরও সম্ভাবনা রয়েছে, তাই নামায ফাসিদ হয়েছে, নিশ্চিতভাবে বলা না গেলেও নামাযকে দোহড়িয়ে নেয়া উচিৎ।
হুমাযাহর ৭ নং আয়াতে আফইদাহ তে আলিফ দিয়ে না পড়ে আইন দিয়ে পড়া হয়েছে,এতে করে বিপরীত অর্থের কোনো সম্ভাবনা নাই, তাই স্বলাত বাতিল হবে না।
(২)
কফের দরুণ খাকানি দিলে নামায ফাসিদ হবে না।
(৩)
সন্দেহের বিত্তিতে শরীয়তের কেনো বিধান কার্যকর হয় না, সুতরাং আপনার অতীতের রোযা গুলো ফাসিদ হবে না।
(৪)
পর্দার ভিতরে থেকে মেয়েরা দাওয়াত দিতে পারবে।
(৫)
ঘরে বাবা না থাকায় ( চাকরির কারনে বিদেশে থাকায়)এবং মা সবসময় অসুস্থ থাকার কারণে মেয়েরা বাজার করতে পারবে।তবে অবশ্যই পর্দার সাথে ঘরের বাহিরে যেতে হবে।
(৬)
গোনাহ না হলেও আপনার জন্য জরুরী ছিল উক্ত ক্লাসে জয়েন হওয়া।
(৭)
না, যাবে না।
(৮)
তালিমের বক্তারা স্বত্বসংরক্ষিত বই দেখে পড়ালে, নিশ্চয় লিখকের অনুমতি রয়েছে বলেই তারা পড়াচ্ছেন।
(৯)
কারো যদি গীবত শুনার একদম ইচ্ছা না থাকে কিন্তু হাঠাৎ গীবত এসে পড়ে,তাহলে এজন্য তার গুনাহ হবে না।
(১০)
কাযা আদায়ের জন্য তাকে সর্বোচ্ছ চেষ্টা করতে হবে।কষ্টকর হলেও মাফ নাই।বরং তাকে কাযা আদায় করতেই হবে।প্রতি ফরয ওয়াক্তের সাথে একটিকরে অতীতের উক্ত ওয়াক্তের কাযা করে নিলেই বিষয়টা সহজ হিসেবে বিবেচিত হবে।
(১১)
টাকা দিতে হবে।টাকা বর্তমানে না থাকলে, ভবিষ্যতে দিতে হবে।