কোন NGO থেকে চিকিৎসার জন্য দেয়া সাহায্য গ্রহণ করা যাবে কিনা?

Question

আসসালামুআলাইকুম।

একটি NGO থেকে আমার বাবার চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য দিতে চাচ্ছে। এক্ষেত্রে তাদের কাছে বাবার কিছু কাগজপত্র দিতে হবে। এই সাহায্য নেয়াটা কি হালাল হবে? কেননা আমার জানা মতে, এসব NGO সূদের কারবারে জড়িত থাকে। তবে এক্ষেত্রে অনেকেই বলছেন, তুমি তো সূদে টাকা নিচ্ছো না। সাহায্য নেয়াটা সূদ হবে না, কারন এর পরিবর্তে কোন প্রকার অর্থ পরবর্তিতে পরিশোধ করতে হবে না। এ ব্যাপারে ইসলাম কি বলে বিস্তারিত জানতে চাই।


জাজাকাল্লাহ খায়ের

Answer 1

জবাব

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 

بسم الله الرحمن الرحيم 

সুদকে আল্লাহতায়ালা হারাম করেছেন। ইসলামে এটি একটি নিষিদ্ধ বিষয়। 

আল্লাহ তায়ালা বলেন 

يا ايها الذين امنوا لا تاكلوا الربا اضعافا مضاعفه واتقوا الله لعلكم تفلحون 

 ‘হে মুমিনগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেও না। আল্লাহকে ভয় করো। তাহলে তোমরা সফল হতে পারবে। ’ -সূরা আল ইমরান: ১৩০

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,

এনজিও সাধারণত  সুদভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হয়।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার বাবা যদি গরিব হয়,সাহেবে নেসাব যদি না হয় তথা আপনার বাবার উপর যদি যাকাত ফরজ না হয়ে থাকে,তাহলে শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে যেহেতু আপনার বাবা গরিব,তাই উক্ত এনজিও সূদী টাকা দিয়ে সাহায্য করলেও আপনার বাবার জন্য সেই সাহায্য নেয়া জায়েজ হবে।

আর যদি আপনার বাবা ধনী হয়,তিনি যদি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক হোন,তথা তার উপর যদি যাকাত ফরজ হয়,সেক্ষেত্রে এনজিও থেকে ভালোভাবে শুনে নিতে হবে যে যেই খাত হতে তারা তাকে চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য দিতে চাচ্ছে,এই খাত কি সূদের খাত,নাকি হালাল খাত।

যদি হালাল খাত হয়,তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার বাবার আর্থিক সাহায্য নিতে পারবে,আর যদি সূদী খাত হয়,তাহলে আপনার বাবা আর্থিক সাহায্য নিতে পারবেনা।