জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
বিধর্মীদের ধর্মীয় প্রতীক ব্যাবহারের প্রতি হাদীসের মাঝে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারিত হয়েছে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- « مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রা. থেকে বর্ণিত। রাসূল সা. ইরশাদ করেছেন-যে ব্যক্তি যার সাদৃশ্য গ্রহণ করে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে।
(আবু দাউদ শরীফ, হাদিস নং-৪০৩৩, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদিস নং-২৯৬৬, মুসনাদে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস নং-২০৯০৮৬)
যে কাপড়ে অমুসলিমদের কোন ধর্মীয় প্রতীক (যেমন ক্রুশ, শঙ্খ প্রভৃতি) থাকে, সে কাপড় (ও অলঙ্কার) ব্যবহার বৈধ নয়।
.
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত ড্রেস পরিধান করা জায়েজ নেই।
তবে এতে ঐসকল কলেজের ছাত্ররা কাফের হয়ে যাবেনা।
কবিরা গুনাহ হবে।
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بَيْنَ الْعَبْدِ وَبَيْنَ الْكُفْرِ ترك الصَّلَاة» . رَوَاهُ مُسلم
জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মু’মিন) বান্দা ও কুফরীর মধ্যে পার্থক্য হলো সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) পরিত্যাগ করা।
সহীহ : মুসলিম ৮২, আবূ দাঊদ ৪৬৭৮, নাসায়ী ৪৬৪, তিরমিযী ২৬২০, ইবনু মাজাহ্ ১০৭৮।
ব্যখ্যাঃ-
উপরোক্ত হাদীসটি দৃঢ়তার সাথে প্রমাণ করে যে, সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) বর্জন কুফরীকে অনিবার্য করে দেয়। সকল মুসলিম মনীষীর ঐকমত্যে, বিশ্বাস সহকারে কেউ সালাত বর্জন করলে সে কাফির হয়ে যাবে। তবে সালাত আদায় ওয়াজিব মনে করে ও অলসতাবশত কেউ সালাত বর্জন করলে তার কুফরীর ব্যাপারে দ্বিমত রয়েছে।
ইমাম আবু শাফেয়ী রহঃ প্রমুখ ইসলামী স্কলারদের মতে ঐ ব্যাক্তি কাফের হয়ে যাবে।
তবে ইমাম আবু হানিফা রহঃ সহ আরো অনেক ইসলামী স্কলারদের মতে যদিও ব্যাক্তি কাফের হয়ে যাবেনা।
তবে তাদের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতে মারাত্মক শাস্তি রয়েছে।