আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
181 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (41 points)
edited by
১।স্ত্রী স্বামীর মেসেজের রিপ্লাই দিতে দেরী হওয়ায় স্বামী রেগে যায়,কল ও দিয়েছিল স্বামী।স্বামী বলে যে বেশি চিন্তা করি তাই মাথার উপর উঠছ যে।বউ ছাড়াও আমি চলতে পারি।এত মরিয়া হয় নি।গুরুত্ব দেওয়া শেখ এরপর গুরুত্ব আশা করিও।স্ত্রীর বলে এখন কি আমাকে লাগতেছে না যে নে?বারবার বলি এমন কথা না বলতে।তারপর স্বামী বলে করস কেন এরকম বলি মত?।স্ত্রী স্বামীকে বলে না লাগলে বলে দাও।স্বামী বলে কাকে গরম দেখাচ্ছ যে? স্ত্রী বলে আমি গরম দেখানোর কে? মরি না যে সেটাই দুঃখ।স্বামী বলে ফালতু মেয়ে।তুর সাথে কথা বলতেছি যে এটাই অনেক।এরপর ব্লক করে দেয় স্বামী।সব কথা মেসেজে হয়েছে।ব্লক করার ২ মিনিট পর আবার খুলে বলে স্ত্রীকে তুমরা কি বাড়ি পৌছাইছ? স্ত্রী বলে মরছি।স্বামী বলে যা বলছি তা বল।স্ত্রী বলে হ্যা।তারপর স্বামী বলে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে নাও। ওই মেয়েটাকে স্বামী তালাকের পাওয়ার দিছে।স্বামী স্ত্রীর রাগারাগি করে এহেন কথা দ্বারা কি তালাক হবে?

২।এরপর আবার কিছুক্কন পর  বলতেছে স্বামী তার স্ত্রীকে তুর ফ্যামিলির কোন কথা আমাকে কোনদিন বলবে না।তুমার কোন কথাও বলবা না।তুমার যেমন ইচ্ছা তেমন চল,মা বাবা যেরকম বলে।যখন আমার বাসায় আসবা তখন আমি যেমন বলব তেমন চলিও।শুধু আমার আমানতের খেয়ানত করিও না।শুধু এটাই চাওয়া আমার।আমার কোন বিষয়ে তুমি বলবা না।তুমার কোন বিষয়েও আমি বলব না।এরকম বলেছে।মানে স্বামী বুঝাতে চেয়েছে যতদিন স্বামীর বাসায় আনে নি ততদিন আর কি।এরপর স্ত্রী বলে আমাকে কি আপনি নিয়ে যাবেন আপনার বাসায়?আমাকে শুধু এইটা বলেন।স্বামী বলে থাপ্পর দিব।তুমি আমার বিয়ে করা বউ,যেমন মুখ দিয়ে আসে তেমন কথা বলবা না।তারপর স্ত্রী বলে তহ এইসব কথা কেন বললেন (মানে উপরে লেখা কথাগুলো মানে তুমার যেমন ইচ্ছা তেমন করিও এসব কথা)?আপনাকে না বলছি আমাকে মারেন তবুও আমাকে ছেড়ে দেওয়ার নিয়তে কিছু বলিয়েন না।আমার ভয় লাগে।এরপর স্বামী বলে কথা আর বাড়াবা নাকি শেষ করবা? স্ত্রী বলে ঠিক আছে আর বলব না কিছু।তারপর স্ত্রী বলে আপনাকে একটা কথা জিগ্যেস করি? স্বামী বলে পরে কথা বলব আমার মেজাস ভাল নাই।এর কয়েক ঘন্টা পর স্বামী মেসেজ দেয়।তখন স্ত্রী বলে আপনি কি আমাকে ভালবাসেন? স্বামী বলে হ্যা।এরপর স্ত্রী আবার বলে তহ আমার সাথে সারাজীবন থাকতে চান? স্বামী বলে হ্যা। তহ উপরের কথা অনুযায়ী কোন তালাক হবে কিনা? স্বামীকে কি আর জিগ্যেস করার প্রয়োজন আছে? একটু বলবেন কারন স্বামী হয়ত রেগেও যেতে পারে এসব বিষয়ে বার বার প্রশ্ন করলে।কারন এসব ঘটনার আগে আরেকবার বলেছিল এসব মানে তালাকের বিষয়ে কোন প্রশ্ন না করতে।

৩।স্বামীকে কি এই বিষয়ে কোন প্রশ্ন করা আর উচিত হবে মানে উপরে যে ২টা বিষয় বলেছি এগুলো নিয়ে? স্বামী একটু রাগী।রেগে হয়ত খারাপ কিছু বলতে পারে।স্ত্রীর তাই ভয় হয়।

৪।।একজন মেয়েকে তার স্বামী তালাকের অধিকার দিছে।তারা চুরি করে বিয়ে করেছিল কিন্তুু মেয়েটা এখনো বাবার বাসায় থাকে।বাবা মা এখনো মেনে নেয় নি বিয়ে। বাবা মা কেউ মানে নেই নি আর মেয়েটা এখনো ধরেন বাবার বাড়ি থাকে।একদিন মেয়েটা কেনায়া শব্দে তালাক হয় এটা শুনে ভয়,পেয়ে যায়।কারন তার স্বামী বলত,পরে সে নিয়ত জিগ্যেস করলে স্বামী বলে না না মানে খারাপ নিয়তে বলে নি।সে তখন বলে মাকে বিয়ের কথা।কি করবে সে বুঝতেছিল না।মানে সে তখন এত বেশি জানত না তহ মানে মেয়েটা, সে ভাবতেছিল বিয়েটা ওদের হালাল আছে কিনা,কোন সমস্যা হয়নি তহ  ওদের বৈবাহিক সম্পর্কে এসব নিয়ে।কিন্তুু মাকে বলে নি এসব। শুধু বলেছে মাকে বিয়ে করেছি এখন আপনারা যা বলবেন তাই করব। তার মা যদি বলে এতটুকুতে চুপ থাক, চলে আয় এতটুকুতে।মেয়েটি যদি নিজেকে তালাক না দিয়ে শুধু মায়ের কথার উত্তরে ঠিক আছে বলে তাহলে কি তালাক হয়ে যাবে? ঠিক আছে বললে কি তালাক হয়ে যায়?মেয়েটি চায়,স্বামীর সাথে থাকতে।তখন তার মনে তালাকের কথা চিন্তায় আসলেও সে না না করত।কারন সে বুঝতেছিল না কি করবে।সে ভাবতে লাগল বাবা কি বলে দেখি এর পর যা করার করব।কিন্তুু সে নিজেকে তালাক দেয় নি।পরে সে বাবাকে বলে সে বিয়েটা ভান্গতে চায় না,থাকতে চায় স্বামীর সাথে।তখন মায়ের কথায় ঠিক আছে বললে কি তালাক হয়ে যাবে?

৩।৩-৪ টা ব্যপারে স্ত্রীর মনে সন্দেহ আসে কোন এসব নিয়ে স্বামী শর্ত যুক্ত তালাকের কথা বলেছিল কিনা ভেবে সন্দেহ আসে।মনে নেই স্ত্রীর। স্বামীর ও মনে থাকে না কোন কথা তেমন।ভুলে যায় বেশি।এই বিষয়ে কি স্বামীকে জিগ্যেস করা উচিত হবে? ওনার কথা তেমন মনে থাকে না।না বলেও যদি হ্যা বলে দেয় আন্দাজে সেটা ভেবে ভয় হয় স্ত্রীর। স্বামীকে কি প্রশ্ন করা উচিত হবে এই বিষয়ে?

1 Answer

0 votes
by (559,260 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


তালাক খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

★তালাক স্পষ্ট বাক্য দ্বারাও হতে পারে,আবার কেনায়া শব্দ,ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারাও হতে পারে।
কেনায়া তালাক বলা হয় স্পষ্ট তালাক শব্দ না বলে বরং তালাকের ইঙ্গিতসূচক শব্দ বলে তালাক দেওয়া। 

★★শরিয়তের পরিভাষায় ইঙ্গিত সূচক শব্দে তালাক দেয়াটাকে বলা হয় ‘কেনায়া তালাক’ বা ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারা তালাক। আর কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে নিয়ত তথা তালাকের ইচ্ছা থাকা অত্যাবশ্যক। আর কেনায়া তালাক দ্বারা এক তালাকে বায়েন পতিত হয় ৷

সুতরাং যদি কেউ স্ত্রীকে এরূপ কথা বলে এবং তালাকের নিয়ত করে, তবে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। আর যদি তালাকের নিয়ত না করে তাহলে তালাক হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/৩৭৫)

আরো জানুনঃ  


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
(০১)
প্রশ্নের জবাব মতে তালাক হবেনা।

(০২)
উপরের কথা অনুযায়ী কোন তালাক হবেনা।
স্বামীকে আর কিছু জিজ্ঞাসা করার প্রয়োজন নেই।

(০৩)
স্বামীকে আর কোনো কিছু প্রশ্ন না করাই উচিত হবে।

(০৪)
মেয়েটি যদি নিজেকে তালাক না দিয়ে শুধু মায়ের কথার উত্তরে ঠিক আছে বলে তাহলে তালাক হয়ে যাবেনা।
ঠিক আছে বললে তালাক হয়ে যায়না।

তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক আগের মতোই বহাল রয়েছে। 

(০৫)
স্বামীকে আর কোনো কিছু প্রশ্ন না করাই উচিত হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...