আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
189 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
কোন হ্যাকার ফ্রান্সের বিরুদ্ধে সাইবার অ্যাটাকে অংশ নিলে কি মুজাহিদ হতে পারবে?

1 Answer

0 votes
by (567,240 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

বিষয়টি ব্যখ্যাসাপেক্ষ তাই জিহাদ এর প্রকার সম্পর্কে জানুনঃ     

জিহাদ কত প্রকার?

জিহাদ অনেক প্রকারের হতে পারে। যেমন-

১-কিতাল ফি সাবিলিল্লাহ। তথা আল্লাহ রাহে কাফেরদের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে শরীক হওয়া। {আল কুরআন}

২-অধিক পছন্দনীয় জিহাদ জালিম বাদশার সামনে হক কথা বলা। {মুসনাদে আহমাদ, সুনানে বায়হাকী কুবরা, আল মুজামুল কাবীর}

৩-উত্তম জিহাদ হলো নফসের বিরুদ্ধে জিহাদ। {দায়লামী, ইবনে নাজ্জার}

৪-মুখ দিয়ে, জান দিয়ে ও মাল দিয়েও জিহাদ করা যায়। {আবু দাউদ, আহমাদ, সহীহ ইবনে হিব্বান}

৫-জিহাদরত মুজাহিদদের পরিবারকে দেখাশোনা করাও জিহাদের অন্তর্ভূক্ত। {সহীহ মুসলিম, আবু দাউদ}

৬-জলভাগে জিহাদ করা স্থলভাগে জিহাদের তুলনায় ১০গুন সওয়াব।

৭-মুজাহিদদের সহযোগিতা করাও জিহাদ। {বুখারী, মুসলিম, আহমাদ, নাসায়ী}

৮-মুজাহিদ সেই ব্যক্তি যে আল্লাহর জন্য নফসের বিরুদ্ধে জিহাদ করে। {তিরমিজী, ইবনে হিব্বান}

(দ্রষ্টব্য-সহীহ কুনুজুস সুন্নাতিন নাবাবিয়্যাহ, জিহাদের প্রকার ও ফজীলত অধ্যায়।)

উত্তম জিহাদ কি?

এর উত্তরটি বুঝতে হলে প্রথমে একটি কথা জানতে হবে। সেটা হল-রাসূল সাঃ ব্যক্তি , কাল ও স্থানের পার্থক্যের কারণে এক আমলকে অন্য আমলের উপর শ্রেষ্টত্ব দিয়েছেন। যেমন-রাসূল সাঃ উত্তম আমল কি? এমন প্রশ্নের জবাব একেক সময়, ও একেক ব্যক্তিকে ভিন্ন ভিন্ন কথা বলেছেন। যেমন-
১-
عن أم فروة قالت سئل رسول الله -صلى الله عليه وسلم- أى الأعمال أفضل قال « الصلاة فى أول وقتها

অনুবাদ-উম্মে ফারওয়া রাঃ রাসূল সাঃ কে জিজ্ঞাসা করেন যে, কোন আমল উত্তম? তিনি বললেন-প্রথম ওয়াক্তে নামায পড়া। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪২৬}

২-
عن عبد الله بن حبشى الخثعمى : أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- سئل أى الأعمال أفضل قال : « طول القيام ».

অনুবাদ-আব্দুল্লাহ বিন হুবশী আল কাছআমী রাঃ বলেন। রাসূল সাঃ কে জিজ্ঞাসা করা হল-কোন আমল উত্তম? তিনি বললেন-দীর্ঘ সময় নামাযে দাঁড়িয়ে থাকা। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-১৩২৭}

৩-
عن أبي بكر الصديق أن رسول الله صلى الله عليه و سلم سئل أي الأعمال أفضل ؟ 
 : قال ( العج والثج 


অনুবাদ-হযরত আবু বকর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ কে জিজ্ঞাসা করা হল কোন আমল উত্তম? তিনি বললেন-তালবিয়া পড়া ও হাদী ও কুরবানীর পশু জবাই করা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২৯২৪}
৪-
عن ابي هريرة قال : سئل رسول الله صلى الله عليه و سلم أي الأعمال أفضل وأي الأعمال خير ؟ قال إيمان بالله ورسوله

অনুবাদ-হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ কে জিজ্ঞাসা করা হল কোন আমল উত্তম? তিনি বললেন-আল্লাহ ও তার রাসূলের উপর ঈমান আনা। {সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১৬৫৮}

৫-
عن عبد الله بن بسر المازني قال جاء أعرابي إلى النبي صلى الله عليه و سلم فقال : يا رسول الله ___أي الأعمال أفضل قال أن تفارق الدنيا ولسانك رطب من ذكر الله عز و جل 

অনুবাদ-হযরত আব্দুল্লাহ বিন বুসর আল মাজিনী রাঃ বলেন। একজন গ্রাম্য ব্যক্তি এসে রাসূল সাঃ কে জিজ্ঞাসা করল-কোন আমল উত্তম? তিনি বললেন-ব্যক্তি দুনিয়া থেকে বিদায় নেয় এমতাবস্থায় যে, তার জিহবা আল্লাহর জিকিরে সিক্ত। {মুসনাদে ইবনুল জীদ, হাদীস নং-৩৪৩১}

৬-
عن زرارة بن أبي أوفى : ان النبي صلى الله عليه و سلم سئل أي العمل أفضل قال الحال المرتحل قيل وما الحال المرتحل قال صاحب القرآن يضرب من أول القرآن إلى آخره ومن آخره إلى أوله كلما حل ارتحل 

অনুবাদ-হযরত জারারা বিন আবী আওফা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ কে জিজ্ঞাসা করা হল কোন আমল উত্তম? তিনি বললেন-কুরআনে কারীমের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ও শেষ থেকে শুরু পর্যন্ত পড়া। {মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৩৪৭৬, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-২৯৪৮}
৭-
عن أبي هريرة قال : سئل رسول الله صلى الله عليه و سلم أي الأعمال أفضل ؟ 
 قال : أن تدخل على أخيك المسلم سرورا أو تقضي عنه دينا أو تطعمه خبزا

অনুবাদ-হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ কে জিজ্ঞাসা করা হল যে, কোন আমল উত্তম? তিনি বললেন-তোমার ভাইয়ের হাসি মুখে সাক্ষাৎ করা, বা তার ঋণ আদায় করা, বা তাকে রুটি (খাদ্য) খাওয়ানো। {শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৭২৭৩}
৮-
عن جابر بن عبد الله قال : قيل يا رسول الله أي الأعمال أفضل ؟ قال : الصبر و السماحة 

অনুবাদ-হযরত জাবের বিন আব্দুল্লাহ রাঃ বলেন। রাসূল সাঃ কে জিজ্ঞাসা করা হল যে, কোন আমল উত্তম? তিনি জবাব দিলেন-ধৈর্য ধারণ ও উদারতা। {শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৯৭১০}

৯-
عن أبي سعيد الخدري : أن رجلا أتى النبي صلى الله عليه و سلم فقال : يا رسول الله أي الأعمال أفضل ؟ فقال : ( رجل جاهد في سبيل الله بماله ونفسه )

অনুবাদ-হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ এর কাছে এক ব্যক্তি এসে জিজ্ঞাসা করল কোন আমল উত্তম? রাসূল সাঃ জবাব দিলেন-আল্লাহর রাস্তায় জান মাল খরচ করা উত্তম জিহাদ। {সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৬০৬}

এবার লক্ষ্য করুনঃ

উল্লেখিত বর্ণনাগুলো থেকে দু’টি কথা বুঝা গেল। তথা-১-জিহাদ শব্দটি একাধিক বিষয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়।

২-স্থান-কাল ও পাত্র ভেদে একেকটি বিষয়ের গুরুত্ব বুঝাতে বিভিন্ন সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিভিন্ন বিষয় বলেছেন। যেমনটি আমরা রাসূল সাঃ কে করা একটি প্রশ্নের জবাবে একাধিক বিষয়ের গুরুত্বের বর্ণনাগুলোর দ্বারা দেখতে পাচ্ছি।
সুতরাং জিহাদও যেহেতু ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত, তাই সেটাও একেক সময় একেক অর্থে উত্তম জিহাদ বলে সাব্যস্ত হবে।   

★★এই দৃষ্টিকোন থেকে প্রশ্নে উল্লেখিত কোন হ্যাকার ফ্রান্সের বিরুদ্ধে সাইবার অ্যাটাকে অংশ নিলে,
বা মিছিল মিটিং করে আন্দোলন কারীদেরকে মুজাহিদ বলা যাবে।
,
★তবে অভিজ্ঞ কিছু উলামায়ে কেরামগন বলেছেন যে জিহাদের এসব প্রকার আভিধানিক অর্থ দিক লক্ষ্য করে করা হয়েছে,পারিভাষিক অর্থের দিক লক্ষ্য করলে বুঝা যায় যে জিহাদ শুধু সশস্ত্র সংগ্রাম বা তার প্রস্তুতি কেই বুঝায়।         

আল্লমা কাসানি হানাফি রহ. বলেন,
وفي عرف الشرع يستعمل في بذل الوسع والطاقة بالقتال في سبيل الله عز وجل بالنفس والمال واللسان أو غير ذلك
শরিয়তের পরিভাষায় জিহাদ; জান, মাল, জবান অথবা অন্যান্য মাধ্যমে চেষ্টা ও শক্তি ব্যয় করে আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করা। (বাদায়ে’ ৭/৯৭)

 ইবনু আরাফা মালেকি রহ. বলেন, قتال مسلم كافراً غير ذي عهد لإعلاء كلمة الله تعالى যে কাফেরের সঙ্গে সন্ধিচুক্তি নেই, তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার নাম জিহাদ। (আলফাওয়াকিহুদদাওয়ানি ২/ ৮৭৯)

ইবনু হাজার আসকালানি শাফিঈ রহ. বলেন,  شرعاً بذل الجهد في قتال الكفار শরিয়তের পরিভাষায় জিহাদ; কাফেরদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রচেষ্টা ব্যয় করা। (ফাতহুল বারী ৬/ ৩)

আল্লামা বাহুতি হাম্বলি রহ. বলেন, وشرعاً قتال الكفار خاصة শরিয়তের পরিভাষায় জিহাদ; বিশেষত কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা। (দাকায়েকু উলিননুহা ১/৭১৬)
,
সেই হিসেবে প্রশ্নে উল্লেখিত কোন হ্যাকার ফ্রান্সের বিরুদ্ধে সাইবার অ্যাটাকে অংশ নিলে তাকে জিহাদের আভিধানিক অর্থে  মুজাহিদ বলা যেতে পারে।
তবে পারিভাষিক অর্থে কোনোভাবেই মুজাহিদ বলা যাবেনা।
সুতরাং প্রকৃত অর্থে তারা বা মিছিল মিটিং করে আন্দোলন কারী কেউই মুজাহিদ নয়।  
,
তবে সর্ব ছুরতেই এটা অনেক অনেক মহান কাজ, আল্লাহ তায়ালা তাদের জাযায়ে খায়ের দান করুন।
আমিন।
নুন্যতম ঈমানের জায়গা থেকে আমরা এই কাজ অবশ্যই করতে পারি।   

হাদীস শরীফে এসেছেঃ   
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ رَجَاءٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، ح وَعَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ أَخْرَجَ مَرْوَانُ الْمِنْبَرَ فِي يَوْمِ عِيدٍ فَبَدَأَ بِالْخُطْبَةِ قَبْلَ الصَّلَاةِ فَقَامَ رَجُلٌ فَقَالَ يَا مَرْوَانُ خَالَفْتَ السُّنَّةَ أَخْرَجْتَ الْمِنْبَرَ فِي يَوْمِ عِيدٍ وَلَمْ يَكُنْ يُخْرَجُ فِيهِ وَبَدَأْتَ بِالْخُطْبَةِ قَبْلَ الصَّلَاةِ . فَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ مَنْ هَذَا قَالُوا فُلَانُ بْنُ فُلَانٍ . فَقَالَ أَمَّا هَذَا فَقَدْ قَضَى مَا عَلَيْهِ سَمِعْتُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ رَأَى مُنْكَرًا فَاسْتَطَاعَ أَنْ يُغَيِّرَهُ بِيَدِهِ فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ وَذَلِكَ أَضْعَفُ الإِيمَانِ "
.
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা ‘ঈদের দিন মারওয়ান ঈদের মাঠে মিম্বার স্থাপন করে সলাতের পূর্বেই খুত্ববাহ শুরু করায় জনৈক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলেন, হে মারওয়ান! তুমি সুন্নাত বিরোধী কাজ করলে। তুমি ‘ঈদের দিন বাইরে মিম্বার এনেছো এবং সলাতের পূর্বেই খুত্ববাহ শুরু করেছো। অথচ ইতিপূর্বে (নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও খুলাফায়ি রাশিদীনের যুগে) কখনো এমনটি করা হয়নি। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, লোকটি কে? লোকজন বললো, অমুকের পুত্র অমুক। তিনি বললেন, সে তার দায়িত্ব পুরোপুরি পালন করেছে। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ কেউ কোন গর্হিত (শারী‘আত বিরোধী) কাজ সংঘটিত হতে দেখলে তাকে হাত দিয়ে প্রতিরোধ করবে। এরূপ করতে অক্ষম হলে তা কথার দ্বারা প্রতিহত করবে। যদি এতেও অক্ষম হয় তাহলে সে তা অন্তরে ঘৃণা করবে (বা তা দূর করার উপায় অন্বেষনে চিন্তা-ভাবনা করবে)। তবে এটি হচ্ছে দুর্বলতম ঈমানের পরিচায়ক।
(মুসলিম , ইবনু মাজাহ  হাঃ ১২৭৫,  হাঃ ৪০১৩), আহমাদ (৩/১০)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...