নামাজ ত্যাগ করা গুনাহে কবীরা। হাদীসে নামাজ ত্যাগকারীর প্রতি কঠিন হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করা হয়েছে।
হজরত জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) ইরশাদ করেন, মুমিন বান্দা ও কুফরীর মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে নামাজ ত্যাগ করা। (বোখারী)
অন্য হাদীসে আছে, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি নামাজ আদায় করে না, দীন ইসলামে তার কোনো অংশ নেই। (বোখারী ও মুসলিম)
বেনামাজি ব্যক্তি কিয়ামতের দিন চরমভাবে লাঞ্ছিত ও অপদস্থ হবে। এ সম্বন্ধে পবিত্র কুরআন মজীদে ইরশাদ রয়েছে, স্মরণ কর, সেই চরম সংকটের দিনের কথা, যেদিন তাদেরকে আহবান করা হবে সিজদা করার জন্য; কিন্তু তারা তা করতে সক্ষম হবে না। তাদের সৃষ্টি অবনত, হীনতা তাদেরকে আচ্ছন্ন করবে। অথচ যখন তারা নিরাপদ ছিল তখন তো তাদেরকে আহবান করা হয়েছিল সিজদা করতে। (সূরা কালাম, ৬৮ : ৪২-৪৩)
আলোচ্য আয়াতের সারমর্ম হলো, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা'আলা লোকদিগকে সিজদা করতে বলবেন, যারা দুনিয়াতে সিজদা করেছিলো,কেবলমাত্র তারাই লেকদিগকে সিজদা করতে পারবে।যারা দুনিয়াতে সিজদা করে নাই।তারা সিজদা করতে পারবে না।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি নামাযের পাবন্দী করে না, সে কেয়ামতের দিন মুক্তি এবং মুক্তির সার্টিফিকেট কোনটিই পাবে না। তার কাছে কোন আলোও থাকবে না। এ অবস্থাতেই সে কারুণ, হামান, ফেরাউন, অথবা উবাই ইবনে খালফ এর সাথে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। (মুসনাদে আহমদ)
এছাড়া মুহাদ্দিসগণ ও ফকিহগণ তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে অারো অনেক প্রকার শাস্তির আলোচনা করেন।তবে এগুলো কুরআন হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়।