আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
362 views
in সালাত(Prayer) by (37 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।
উস্তাদ,
বেনামাজীর দুনিয়ায় পাওয়া কষ্টগুলো এবং আখিরাতে শাস্তির বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাই। সেই সাথে যারা অলসতা করে দেরিতে নামাজ পরে তাদের পরিণতি কি?  বিস্তারিত জানালে ভাল হয়।জাজাক আল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
নামাজ ত্যাগ করা গুনাহে কবীরা। হাদীসে নামাজ ত্যাগকারীর প্রতি কঠিন হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করা হয়েছে। 

হজরত জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) ইরশাদ করেন, মুমিন বান্দা ও কুফরীর মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে নামাজ ত্যাগ করা। (বোখারী)
অন্য হাদীসে আছে, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি নামাজ আদায় করে না, দীন ইসলামে তার কোনো অংশ নেই। (বোখারী ও মুসলিম)

বেনামাজি ব্যক্তি কিয়ামতের দিন চরমভাবে লাঞ্ছিত ও অপদস্থ হবে। এ সম্বন্ধে পবিত্র কুরআন মজীদে ইরশাদ রয়েছে, স্মরণ কর, সেই চরম সংকটের দিনের কথা, যেদিন তাদেরকে আহবান করা হবে সিজদা করার জন্য; কিন্তু তারা তা করতে সক্ষম হবে না। তাদের সৃষ্টি অবনত, হীনতা তাদেরকে আচ্ছন্ন করবে। অথচ যখন তারা নিরাপদ ছিল তখন তো তাদেরকে আহবান করা হয়েছিল সিজদা করতে। (সূরা কালাম, ৬৮ : ৪২-৪৩)

আলোচ্য আয়াতের সারমর্ম হলো, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা'আলা লোকদিগকে সিজদা করতে বলবেন, যারা দুনিয়াতে সিজদা করেছিলো,কেবলমাত্র তারাই লেকদিগকে সিজদা করতে পারবে।যারা দুনিয়াতে সিজদা করে নাই।তারা সিজদা করতে পারবে না।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি নামাযের পাবন্দী করে না, সে কেয়ামতের দিন মুক্তি এবং মুক্তির সার্টিফিকেট কোনটিই পাবে না। তার কাছে কোন আলোও থাকবে না। এ অবস্থাতেই সে কারুণ, হামান, ফেরাউন, অথবা উবাই ইবনে খালফ এর সাথে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। (মুসনাদে আহমদ)


এছাড়া মুহাদ্দিসগণ ও ফকিহগণ তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে অারো অনেক প্রকার শাস্তির আলোচনা করেন।তবে এগুলো কুরআন হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়।



(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...