আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
134 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (33 points)
edited by

কেউ যদি তালাকের নিয়ত ছাড়া পরপর দুই বা তার অধিক কেনায়া বাক্য বলে তবে কি তালাক হয়ে যায়

হুজুর বর্তমানে যে যুগ কেউ যদি অামার সামনে কেনায়া বাক্য বলে অামি যদি বলতে যাই যে এতে সমস্যা হয় তবে ৯৫ ভাগ মানুষ ই তা নিবে না অার অামাকে অপমান করবে বলে মনে হয় এর জন্য যদি অামি অামার সামনে এমন ঘটনা ঘটলেও চুপ থাকি তবে কি তাদের গুণার ভার অামাকেও নিতে হবে ।সমাজ ব্যাবস্থা কেমন তা ত অাপনারা ভাল করেই জানেন। অাপনাদের অন্যান হুজুর ও পরিবার সাপোর্ট দিলেও অামরা ত প্রায় একা ।পরিবার সমাজ সবাই অামারদের বিপরীত

৩ হুজুর কোনটা কেনায়া বাক্য কোনটা না তা ত অামি ঠিকভাবে জানি না। এর ফলে কেউ যদি এমন কোন কথা বলে যা অামার কাছে মনে হয় কেনায়া বাক্য কিন্তু অামি নিশ্চিত নয় অপমান ও বিশৃঙ্খলার ভয়ে চুপ থাকি তবে কি অামার গুণাহ হবে

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
কেউ যদি তালাকের নিয়ত ছাড়া পরপর দুই বা তার অধিক কেনায়া বাক্য বলে, তাহহলে তালাক পতিত হবে না।

(২)
কেনায়া তালাক হয়েছে কি না? সেটা তো স্বামীর নিয়তের উপর নির্ভরশীল। সুতরাং আপনার কোনো গোনাহ হবে না। বরং স্বামীরই গোনাহ হবে।

(৩)
যেহেতু স্বামীর নিয়তের উপর নির্ভরশীল। তাই তালাক হয়েছে কি না? সেটা স্বামীই ভালো জানে। সুতরাং এক্ষেত্রে আপনার কোনো গোনাহ হবে না।


আমাদের মনে রাখতে হবে,
পরকালে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ আ'মলের হিসাব নিকাশ দিতে হবে।কারো পাপের বোঝাকে অন্য কেহ বহন করবে না।

আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺰِﺭُ ﻭَﺍﺯِﺭَﺓٌ ﻭِﺯْﺭَ ﺃُﺧْﺮَﻯ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺪْﻉُ ﻣُﺜْﻘَﻠَﺔٌ ﺇِﻟَﻰ ﺣِﻤْﻠِﻬَﺎ ﻟَﺎ ﻳُﺤْﻤَﻞْ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْﺀٌ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻥَ ﺫَﺍ ﻗُﺮْﺑَﻰ الخ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়। 
(সূরা ফাতির-১৮)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...