আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
127 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (101 points)
আসসালামুআলাইকুম,

১)আমার এক আত্মীয় আমার জন্য কিছু খাবার রান্না করে পাঠিয়েছে কিন্তু আমার জানামতে ঐ আত্মীয় মোটা টাকা ব্যাংকে রেখে সুদ নেয় এবং তা দিয়ে সংসার চালায় ।মানে সুদ ছাড়া তাদের আর কোনো আয় নেয়।এখন আমার করণীয় কি?আমার মায়ের পক্ষের আত্মীয় তারা।তাই মা সে খাবার খাওয়াতে চায় কিন্তু আমি একটু চাপা স্বভাবের,তাই প্রতিবাদ ও করতে পারি না ঠিকমতো।ঐ খাবার একটু খেয়ে তার সমপরিমাণ বা বেশি মূল্য তাদের পক্ষ থেকে সাদকাহ করে দিলে হবে?

২) কুরবানির জবেহ করার সময় দেখা যায় যে,হুজুর বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার বলে কেবল খাদ্যনালিটি কেটে দেন এবং বাকি রগগুলো পরে কসাই ছুরি দিয়ে কেটে দেয়।এক্ষেত্রে দেখা যায় যে কসাই বিসমিল্লাহ বলে না।তাহলে কুরবানি ও জবেহ সহীহ হয় কি?সে গোস্ত খাওয়া কি জায়েজ হয়?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
আপনি এই খাবারই গ্রহণ করবেন না। মোটেই গ্রহণ করবেন না।
কেননা হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।নতুবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
 من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)


যদি কখনো পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে গ্রহণ করে নেন, তাহলে সেই খাবারের পরিমাণ টাকা সদকাহ করে দিতে হবে।


(২)
الذكاة نوعان: اختيارية واضطرارية، أما الاختيارية فركنها الذبح فيما يذبح من الشاة والبقر، والنحر فيما ينحر وهو الإبل عند القدرة على الذبح والنحر، ولا يحل بدون الذبح أوالنحر، والذبح هو فري الأوداج ومحله ما بين اللبة واللحيين، والنحر فري الأوداج ومحله آخر الحلق، 
যবেহ দুই প্রকার।(১) এখতিয়ারী যবেহ।(২) ইযতেরারি যবেহ। এখতিয়ারি যবেহের রুকুন হল, হয়তো যবেহ হতে হবে কিংবা নহর হতে হবে। কোনো প্রাণীই যবেহ বা নহর ব্যতিত হালাল হবে না। যবেহ বলা হয়, কন্ঠনালী এবং চোপালের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত রগকে কর্তন করার নামই হল যবেহ। আর কন্ঠনালীর শেষ সীমানায় বুকের পাশের রগ কর্তনকে নহর বলা হয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/২৮৫)

খাদ্যনালী, শ্বাসনালী, এবং দুই পাশের দুইটি রগ কেটে গেলেই পশু জবাই হয়ে যায়।(কিতাবুল ফাতাওয়া-৪/১৯৭)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
হুজুরের খাদ্যনালী এবং তার আশপাশের রগ কর্তন দ্বারা প্রাণীটি হালাল হয়ে যায়। পায়ের রগ কর্তন করার নাম যবেহ নয় বা সে গুলো যবেহের কোনো অংশও নয়।
সুতরাং এভাবে হালাল হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...