ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর জামানায় কানে ছিদ্র করা তথা পিয়ার্সিং এর প্রথা ছিল।আরবদের রীতিনীতির এর মধ্যে এটাও ছিলো যে, তাদের মহিলাগণ কানে ছিদ্র করে তারা তথায় গহনা পরিধান করত।এখনপর্যন্তও এ রীতি আরবদের মধ্যে অবশিষ্ট আছে। রাসূলুল্লাহ সাঃ এ সব দেখে কোনো প্রকার অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেন নি।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/3446
নাভী, নাকের ছিদ্র এবং কানের ছিদ্রতে পানি না পৌছালে গোসল শুদ্ধ হবে না।এবং এই গোসলের দ্বারা যত নামায পড়া হবে,সবগুলোকেই দোহরাতে হবে।
وَجَبَ تَحْرِيكُ الْقُرْطِ وَالْخَاتَمِ الضَّيِّقَيْنِ وَلَوْ لَمْ يَكُنْ قُرْطٌ فَدَخَلَ الْمَاءُ الثَّقْبَ عِنْدَ مُرُورِهِ أَجْزَأَهُ وَإِلَّا أَدْخَلَهُ وَلَا يَتَكَلَّفُ فِي إدْخَالِ شَيْءٍ سِوَى الْمَاءِ مِنْ خَشَبٍ وَنَحْوِهِ. كَذَا فِي الْبَحْرِ الرَّائِقِ.
আটালো নাকফুল এবং আংটিকে নাড়ানো ওয়াজিব। যদি নাকে কোনো নাকফুল না থাকে, বরং শুধুমাত্র নাকের ছিদ্র থাকে, এবং নাকের ঐ ছিদ্রে কোনো ভাবে পানি পৌছে যায়, তাহলে তা ফরয গোসল এবং অজুর জন্য যথেষ্ট। পানি ব্যতিত অন্যকোনো জিনিষ যেমন শলা ইত্যাদি নাকের ছিদ্রে প্রবেশ করিয়ে পানি পৌছানো জরুরী নয়। (বাহরুর রায়েক)(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৪)(রদ্দুল মুহতার-১/২৮৯, জাদীদ ফেকহি মাসাঈল-৮৯,জাদীদ মাসাঈল-৯৭)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
নাকফুল পরিধান করেন বা খুলে রাখেন, নাকের ছিদ্রে আপনাকে পানি পৌছাতেই হবে।সেজন্য হাতে কিছু পানি নিয়ে নাকের ছিদ্রে পানি পৌছানোর জন্য নাকফু্লকে নাড়াবেন।তিনবার পানি পৌছানোর চেষ্টা করবেন,তাহলে ছিদ্রে অবশ্যই পানি পৌছাবে। মারপর মনের মধ্যে কোনো ওয়াসওয়াসা আসলে তা দূর করে দিবেন।