ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/48394 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
(দীর্ঘ একটি হাদীসের শেষাংশে রাসূলুল্লাহ সাঃ একজন দাসীকে তার ঈমান ইসলাম সম্পর্কে পরীক্ষা করতে যেয়ে প্রশ্ন করেছিলেন)...................
তিনি তাকে (দাসীকে) জিজ্ঞেস করলেনঃ (বলো তো) আল্লাহ কোথায়? সে বলল-আকাশে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, (বলো তো) আমি কে? সে বললঃ আপনি আল্লাহর রসূল। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ তুমি তাকে মুক্ত করে দাও, সে একজন মু’মিনাহ নারী।
(সহীহ মুসলিম-৫৩৭)
আমাদের মনে রাখতে হবে,
পরকালে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ আ'মলের হিসাব নিকাশ দিতে হবে।কারো পাপের বোঝাকে অন্য কেহ বহন করবে না।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺰِﺭُ ﻭَﺍﺯِﺭَﺓٌ ﻭِﺯْﺭَ ﺃُﺧْﺮَﻯ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺪْﻉُ ﻣُﺜْﻘَﻠَﺔٌ ﺇِﻟَﻰ ﺣِﻤْﻠِﻬَﺎ ﻟَﺎ ﻳُﺤْﻤَﻞْ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْﺀٌ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻥَ ﺫَﺍ ﻗُﺮْﺑَﻰ الخ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়।
(সূরা ফাতির-১৮)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
পরকালের নাজাতের জন্য বাদশা আকবরের দ্বীনে এলাহী সম্পর্কে আপনাকে জিজ্ঞাসা করা হবে না। বরং আপনাকে, আমাকে, আমাদের সবাইকে নিজ নিজ আমলের হিসাব দিতে হবে। দ্বীনে এলাহী সম্পর্কে কবরে জিজ্ঞাসা করা হবে না।সুতরাং এ সম্পর্কে চিন্তাগবেষণা না করাই উচিৎ।
হ্যা, আপনি যা বলেছেন,
"যদি এই দ্বীন এ ইলাহি এর লোকজন তওবা করে থাকে তাহলে কাফের না, আর যদি না করে থাকে,স্বেচ্ছায় এ ধর্মের উপর থাকে তাহলে তারা কাফের।"
এমন আকিদা বিশ্বাস রাখতে পারেন।