আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
477 views
in পবিত্রতা (Purity) by (23 points)
আসসালামু আলাইকুম সম্মানিত শাইখ,
এক বোনের সব সময় হলুদ স্রাব যায়। (ইস্তেহাজার রোগী) তো কখনই সাদা যায় না। মাঝে মাঝে কালচে যায়(তবে সেটি হঠাৎ কোন মাসে)। মাসালা জানি, এক হায়েজ থেকে ১৫দিন পবিত্রতার পরে সাদা ছাড়া যা যায় তাই ই হায়েজ হিসেবে গন্য। এখন, অই বোনের যেহেতু সাদাই যায় না, সারা মাস ই হলুদ, এই অবস্থায় পিরিয়ড এর আগ করে কালচে স্রাব যায়, এর ২-৩দিন পরেই ব্লাড আসে। তাহলে যখন কালচে যায় তখন থেকেই কি  হায়েজ ধরবে?কারন,অইরকম হলুদ কে হায়েজ ধরলে অই হলুদ যাবার ৪-৫দিন পর কালচে, এরপর কয়েকদিন পর ব্লাড। এরকম হলে তো (হলুদ কে হায়েজ ধরলে তাড়াতাড়ি ১০দিন ১০রাত শেষ হবে কিন্ত ব্লাড আসবে আরো অনেক পরে)
আশা করি বুঝাতে পেরেছি। খুব দ্রুত উত্তর পেলে উপকার পাবো।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়,বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।    

হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান আয়েশা [রা]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]
     
لما قال الحصکفیؒ: واقل الطہر بین الحیضتین او النفاس والحیض خمسۃ عشر یومًا ولیالیھا اجماعًا۔ (الدرالمختارعلی صدر ردّالمحتار:ج؍۱،ص؍۲۸۵، باب الحیض)
সারমর্মঃ দুই হায়েজ বা নিফাস ও হায়েজের মধ্যে   
পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা সর্বসম্মতিক্রমে পনেরো দিন পনেরো রাত।

আরো জানুনঃ

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত বোনের জন্য করনীয় হলো হলুদকে হায়েজ ধরে ১০ দিন হায়েজ ধরবে।
১১ তম দিন থেকে ১৫ দিন ইস্তেহাজা ধরবে।

১৬ তম দিন হতে আবারো ১০ দিন হায়েজ ধরবে।
এর পর ১৫ দিন আবারো ইস্তেহাজা ধরবে।
এভাবেই হিসেব করবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (23 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ, সম্মানিত শাইখ!এখন যদি, ১৫দিন পর সামান্য১,২ফোটা যায়,যা বুঝার উপায় নেই দেখে (রঙ কি) (যদিও উক্ত ব্যক্তি জানে তার এটি গেলে হলুদ ই যাবে),সেটাকে কি হায়েজ ধরে নামায অফ করে দিবে?প্লিজ অনুগ্রহ করে জানাবেন। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...