আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
140 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (7 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
আমরা যখন কোনো কথা বলি উদাহরণ স্বরূপ যেমন, এই রাস্তা ঠিক হয়ে গেলে আর যানজট থাকবেনা, খাবারটা ফ্রিজে না রাখলে নষ্ট হয়ে যাবে, কালকে কাজে গেলে টাকা পাবে, জামাটা গায়ে না দিলে ঠান্ডা লাগবে, আকাশে মেঘ দেখলে বলে আজকে বৃষ্টি হবে, পানি খেলে খাবারটা হজম হবে, অমুক ব্যাক্তি নির্বাচনে জিতলে উন্নয়ন হবে, যদিও কথাগুলোর শুধু সম্ভাবনাই আছে। আমরা তা সিওর জানিনা, তবুও সবাই এভাবেই বলি। এধরণের বিভিন্ন কথা আমরা বলে থাকি প্রতিনিয়ত।  প্রশ্ন হচ্ছে, এধরণের কথাগুলো কি শিরক হবে? কারণ এটা একধরনের ভবিষ্যতবানী, আর একমাত্র আল্লাহ তায়ালা ই তো গায়েব জানেন। আর যদি শিরক না হয় তাহলে কেনো হবেনা? আর কোন ধরনের ভবিষ্যতবানী গুলো শিরক বলে গন্য হয়? জানালে ভাল হয়।
জাযাকাল্লাহ খাইরান

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/29553/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
গায়েবের খবর একমাত্র মহান আল্লাহ তায়ালাই জানেন,অন্য কেউ তাহা জানেননা।

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ

قُلْ لَا يَعْلَمُ مَنْ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ الْغَيْبَ إِلَّا اللَّهُ وَمَا يَشْعُرُونَ أَيَّانَ يُبْعَثُونَ

অর্থ: (হে নবী) আপনি বলুন! আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া আসমান-যমীনে অন্য কেউ অদৃশ্যের জ্ঞান রাখেনা। এবং তারা জানে না কখন তারা উত্থিত হবে। (সূরা নামল, আয়াত-৬৫)

قُلْ لَا أَقُولُ لَكُمْ عِنْدِي خَزَائِنُ اللَّهِ وَلَا أَعْلَمُ الْغَيْبَ وَلَا أَقُولُ لَكُمْ إِنِّي مَلَكٌ إِنْ أَتَّبِعُ إِلَّا مَا يُوحَى إِلَيَّ

অর্থ: (হে নবী) আপনি বলুন! আমি তোমাদেরকে বলি না যে, আমার নিকট আল্লাহর ধন-ভান্ডার রয়েছে। এবং আমি গায়েব জানি না, এবং আমি তোমাদের এটাও বলিনা যে, আমি একজন ফেরেশতা। আমার নিকট যা প্রত্যাদেশ হয় আমি কেবল তারই অনুসরন করি। (সুরা আন‘আম, আয়াত- ৫০)

إِنَّ اللَّهَ عِنْدَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ وَيُنَزِّلُ الْغَيْثَ وَيَعْلَمُ مَا فِي الْأَرْحَامِ وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ مَاذَا تَكْسِبُ غَدًا وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ بِأَيِّ أَرْضٍ تَمُوتُ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ خَبِيرٌ

অর্থ: কিয়ামতের জ্ঞান কেবল আল্লাহরই রয়েছে। তিনি বারি বর্ষণ করেন, এবং তিনি জানেন জরায়ুতে কী রয়েছে। কেউ জানে না আগামীকাল সে কী অর্জন করবে। এবং কেউ জানে না কোন স্থানে তার মৃত্যু ঘটবে। নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে অবগত । (সুরা আন‘আম, আয়াত- ৩৪)

এমনকি রাসুলুল্লাহ সাঃ ও তাহা জানেননা।  
হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

عن عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: «وَمَنْ حَدَّثَكَ أَنَّهُ يَعْلَمُ الغَيْبَ، فَقَدْ كَذَبَ، وَهُوَ يَقُولُ: لاَ يَعْلَمُ الغَيْبَ إِلَّا اللَّهُ»

অর্থ: হযরত আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, যে ব্যক্তি তোমাকে বলে নবীজি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গায়েব জানেন, সে মিথ্যাবাদী। কারণ নবীজি (স.) নিজেই বলতেন, আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া অন্য কেউ গায়েব জানে না। (সহীহ বুখারী-৭৩৮০)

এক হাদিসে এসেছে, 'যে ব্যক্তি কোনো গণক বা জ্যোতিষীর কাছে গেল এবং সে যা বলল, তাই বিশ্বাস করল, তাহলে সে মুহাম্মদের ওপর নাজিলকৃত শরিয়তের সঙ্গে কুফরি করল'- (আবু দাউদ : ৩৯০৪, ইবনে মাজাহ : ১৩৫)
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত কাহারো সার্বিক পরিস্থিতি,তাদের বর্তমান পরিস্থিতি,নির্ভরযোগ্য কিছু বিষয় ইত্যাদি অনুপাতে বলা যেতে পারে যে এমনটি হলে এমনটি হবে।
এমনটি না হলে এমনটি হবেনা।
এটি যেহেতু সার্বিক পরিস্থিতি, নির্ভরযোগ্য কিছু বিষয়  ইত্যাদি অনুপাতেই বলা হয়েছে,
আর এগুলো সবই সম্ভাবনার উপর ভিত্তি রেখেই বলা হয়েছে,১০০% এমন হবেই,এমন দাবী করা হয়নি,তাই ভবিষ্যত বানী হবেনা।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত কোনো বাক্যই কুফরী হবেনা।

তবে যদি এমনিতেই আগামীতে কি হবে,এমন সংবাদ বলে দেয়,শতভাগ শিওরের সাথেই বলে,তাহলে তাহা ভবিষ্যতবানী বলে গন্য হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...