আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
167 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম। মুহতারাম, আমার প্রশ্নগুলো হল:

১. আমার মা বোরকা বিরতি রেখে রেখে পড়েন। অর্থ: নিয়মিত নন। বয়স: ৫০ এর উপরে কিছুটা। মহল্লায় আমরা পরিচিত। তাই দেখা যায়, অনেক আন্টি ও তাদের হাসবেন্ডের সাথে আমার মা-বাবার ভালো সম্পর্ক। কিন্তু এইসব আন্টিদের হাসবেন্ড আমার মায়ের জন্য গায়রে-মাহরাম। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, একসাথে উঠা-বসা আছে। যদিও সম্পর্ক ভাই-বোনের মতই দেখতে। তারা বিশ্বাসযোগ্য লোক। এখানে অন্য কিছু ভাবার প্রশ্নই উঠে না। তারপরও আমার মায়ের তো গুণাহ হচ্ছে। আমার বাবাও এই ব্যাপারে বাঁধা দেন না মাকে। কারণ ওইযে মহল্লার সবাই সবার পরিচিত। এইরকম ব্যাপারটা। তার ছেলে সন্তান হিসেবে আমি বুঝাতে গেলেই, আমাকে উলটো বুঝিয়ে দেন আমার মা। আমার বাবা আছেন, তারপরও আমি তার সন্তান হিসেবে এই কাজে বাঁধা না দিলে কি আমি গুণাহগার কিংবা দাইয়ুস হব?

২. আমার বাসায় যেহেতু মাহরাম, গায়রে মাহরাম বিষয়গুলো ঠিকমত মেনে চলা হয় না, আমার বাবা-মা বিষয়গুলোর তোয়াক্কাই করেন না, সেইক্ষেত্রে আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে কিভাবে এই বাসায় থাকতে পারি? আমার স্ত্রী পর্দা করেন মাশাআল্লাহ।

৩. মেয়েরা বাইরে গেলে মুখ ঢেকে পর্দা করে থাকেন কিন্তু বাসায় কোন পারিবারিক প্রোগ্রামে গাইরে মাহরামদের সামনে পর্দা করার নিয়ম কি? বাসায় কিভাবে তাদের সামনে মুখ ঢেকে চলবে মেয়েরা? ইসলামী বিধান কি?

৪. আত্বীয়ের বাসায় দাওয়াত রক্ষায় যেতে চাই, কিন্তু ওইখানে আমার স্ত্রীর জন্য পর্দার পরিবেশ নাই, সেক্ষেত্রে কি করব?

৫. যেহেতু নতুন বিয়ে হয়েছে, তাই দেখা যায়, অনেক গায়রে-মাহরাম আত্বীয় আছেন, যাদের সাথে কথা বলতেই হয় নতুন বিয়ে করার পর সম্পর্ক রক্ষার্থে। সেটা আমার ক্ষেত্রে ও আমার স্ত্রীর ক্ষেত্রেও। এইসব ক্ষেত্রে করণীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (585,180 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
আপনি বাঁধা দেয়ার চেষ্টা না করলে আপনিও দায়ুস হবেন। তবে এখানে যেহেতু আপনার বাবা উপস্থিত আছেন, তাই আপনার উপর গোনাহের ভাগটা কমই পড়বে। 

(২)
আপনি বাসায় থাকতে পারবেন।তবে মা বাবাকে হেকমতের সাথে বুঝাতে থাকবেন, যতদিন না তারা সঠিক পথে আসছে।

(৩)
পারিবারিকভাবে কোনো অনুষ্টান হলে,তাতে মেয়েরা বাইরের মত পর্দা করবে। বাইরে পর্দা করার চেয়ে ঘরের ভিতর পর্দার গুরুত্ব অনেক বেশী।

(৪)
যেখানে পর্দা রক্ষার কোনো পরিবেশ নাই সেখানে আপনি যেতেই পারবেন না।

(৫)
যথাসম্ভব এরকম পরিস্থিতি থেকে এড়িয়ে চলতে হবে।কখনো গায়রে মাহরামের সাথে কথা বলা জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...