ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
জ্বী, জান্নাত জাহান্নাম কিভাবে রয়েছে, কোন পদ্ধতিতে জান্নাতে লোকদেরকে রাখা হবে, এবং কোন কোন পদ্ধতিতে জাহান্নামে আজাব দেয়া হবে, এই সব জ্ঞান গাইবের অন্তর্ভুক্ত। আর গাইবের সংবাদ আল্লাহ ব্যতিত অন্য কেউ জানেনা।
যেমন, জান্নাত সম্পর্কে হাদীসে এসেছে,
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ( يَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى : أَعْدَدْتُ لِعِبَادِي الصَّالِحِينَ مَا لَا عَيْنٌ رَأَتْ وَلَا أُذُنٌ سَمِعَتْ وَلَا خَطَرَ عَلَى قَلْبِ بَشَرٍ ذُخْرًا بَلْهَ مَا أُطْلِعْتُمْ عَلَيْهِ ) ، ثُمَّ قَرَأَ ( فَلَا تَعْلَمُ نَفْسٌ مَا أُخْفِيَ لَهُمْ مِنْ قُرَّةِ أَعْيُنٍ جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ )
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ্ তা’আলা বলেন, আমি আমার নেক বান্দাদের জন্য এমন সব বস্তুরাজি তৈরি করে রেখেছি, যা কোন চোখ দেখেনি, কোন কান শোনেনি এবং কোন ব্যক্তির মন কল্পনা করেনি। এসব ছাড়া যা কিছুই তোমরা দেখছ, তার কোন মূল্যই নেই। তারপর এ আয়াত পাঠ করলেন, কেউ জানে না তাদের জন্য নয়ন তৃপ্তিকর কী লুক্কায়িত রাখা হয়েছে, তাদের কৃতকর্মের পারিতোষিক হিসেবে। আবূ মুয়াবিয়াহ আ’মাশ হতে তিনি আবূ সালিহ হতে বর্ণনা করেন, আবূ হুরাইরাহ قُرَّةِ أَعْيُنٍএর স্থলে قُرَّاتِ أَعْيُنٍ পড়তেন।(সহীহ বোখারী-৪৭৮০-শামেলা)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেহেতু জান্নাত জাহান্নাম মানুষের কল্পনার বাইরের জিনিষ,তাই এটাকে কোনো কিছু দ্বারা কল্পনাও করা যাবে না। সুতরাং এটার কোনো ছবি বা ভিডিও কল্পিত আকারে নির্ধারণও করা যাবে না।