আল্লাহ তায়ালা বলেন,
مَنْ كَانَ يُرِيدُ حَرْثَ الْآخِرَةِ نَزِدْ لَهُ فِي حَرْثِهِ وَمَنْ كَانَ يُرِيدُ حَرْثَ الدُّنْيَا نُؤْتِهِ مِنْهَا وَمَا لَهُ فِي الْآخِرَةِ مِنْ نَصِيبٍ
‘যে কেউ পরকালের ফসল কামনা করে, আমরা তার ফসল বাড়িয়ে দেই। আর যে ব্যক্তি ইহকালের ফসল কামনা করে, আমরা তাকে সেখান থেকে কিছু দিয়ে থাকি। কিন্তু পরকালে তার কোনই অংশ থাকবে না’ (শূরা ৪২/২০)।
মালের লোভ ও দুনিয়াবী স্বার্থ মানুষের দ্বীনকে ধ্বংস করে। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,
بَادِرُوا بِالأَعْمَالِ فِتَنًا كَقِطَعِ اللَّيْلِ الْمُظْلِمِ يُصْبِحُ الرَّجُلُ مُؤْمِنًا وَيُمْسِى كَافِرًا أَوْ يُمْسِى مُؤْمِنًا وَيُصْبِحُ كَافِرًا يَبِيعُ دِينَهُ بِعَرَضٍ مِنَ الدُّنْيَا
তোমরা গাঢ় অন্ধকার রাত্রির অংশ সদৃশ ফিৎনাসমূহে পতিত হওয়ার পূর্বেই দ্রুত সৎকর্মসমূহের দিকে ধাবিত হও। যখন ব্যক্তি সকালে ঘুম থেকে উঠবে মুমিন অবস্থায় ও সন্ধ্যা করবে কাফির অবস্থায়। আর সন্ধ্যা করবে মুমিন অবস্থায় ও সকালে উঠবে কাফির অবস্থায়। সে দুনিয়ার বিনিময়ে তার দ্বীনকে বিক্রি করবে’।
(মুসলিম হা/১১৮; মিশকাত হা/৫৩৮৩ ‘ফিৎনাসমূহ’ অধ্যায়।)
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,
مَنْ تَعَلَّمَ عِلْمًا مِمَّا يُبْتَغَى بِهِ وَجْهُ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ لاَ يَتَعَلَّمُهُ إِلاَّ لِيُصِيبَ بِهِ عَرَضًا مِنَ الدُّنْيَا لَمْ يَجِدْ عَرْفَ الْجَنَّةِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
‘যে ব্যক্তি ইলম শিক্ষা করল যার মাধ্যমে আল্লাহর চেহারা অন্বেষণ করা হয়, অথচ সে তা শিক্ষা করে দুনিয়াবী সম্পদ অর্জন করার জন্য, সে ক্বিয়ামতের দিন জান্নাতের সুগন্ধিও পাবে না’।
(আবুদাঊদ হা/৩৬৬৪; ইবনু মাজাহ হা/২৫২; মিশকাত হা/২২৭।)