।।আসসালামু আলাইকুম ।।
• কয়েকদিন আগে রসূল (সঃ) এবং আয়েশা (রাঃ) কে নিয়ে কটুক্তি করায় সারা দেশ ব্যাপি আলাদা-আলাদাভাবে সভা-মিছিল হয়। তো আমিও সেই মিছিল এ অংশগ্রহন করি। কিন্তু আব্বুকে না জানিয়ে,, কারন, আমার আব্বু ইসলামের কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপত্তি জানায় (অস্বীকার করে কি না জানি না, কিন্তু পালনে বাধা দেয়)। তো আমার আশংকা ছিল যে সে বাধা দিবে। তাই তাকে না জানিয়ে গেছিলাম। কিন্তু, আম্মুকে বলেছিলাম।
পরদিন সে যখন শুনল যে আমি গেছিলাম, তখন বল-"যে কেন না জানিয়ে গেছি, এবং তার কিছুদিন পর আমার পরীক্ষা ছিল যদি আমার কিছু হত(পুলিশে ধরা বা ইত্যাদি)"
তো তখন আমি আব্বুর সাথে তর্ক করি ও একটু জোরে কথা বলি, আমি ভেবেছিলাম হয়ত আমার এইভাবে প্রতিবাদ করা ঠিক হবে। কিন্তু আমি জানতাম এমন পরিস্থিতিতেও না আমার আল্লাহ এর চেয়ে চমৎকার বিধান দিয়েছেন, সদাচারন করার। তো এইজন্য আসলে ভুল টা হয়ে যায় এবং আমি পরে জানতে পারি যে আমার ভুল হয়েছে।
তো তারপর থেকে আমি ক্ষমা চাইতেই পারছি, প্রচুর লজ্জাবোধ হচ্ছে। পাশাপাশি, আমার এমন বুঝার ভুল ও আব্বুর কিছু ভুল থাকার জন্য আমার সাথে আব্বুর সম্পর্কে কিছুটা ফাটল ধরে যায়। কিছুটা মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়।
কারন-(সত্য কথা) আব্বুর বেশ আচরনগত ত্রুটি আছে যা আমি যেকোনো কারো ক্ষেত্রে মোটেও মানতে পারি না এবং জানি না কেন আব্বু আমাকে কিছু কিছু সময় অবিশ্বাস করে(দ্বীনি বুঝ আসার আগে হয়ত মিথ্যা বলেছি অনেক, কিন্তু অবিশ্বাস হয় এমন কাজ কখনো করেছি আমার মনে পড়ে না, তাও অবিশ্বাস!)। আবার, দ্বীনি বুঝ আসার আগে বহু ভুল বুঝি আমি, এইটাও দুজনের দুরত্ব সৃষ্টির কারন।।। আমি ছোটবেলায় আব্বু-আম্মুর সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করতাম না, খুব কমই করতাম(হায় আফসোস!)। তারপর দ্বীনি বুঝ আসার পর আলহামদুলিল্লাহ বেশ কমে যায় কিন্তু আমার তখনো বুঝে আসিনি যে ঠিক ক্যামন ব্যবহার তাদের সাথে করা উচিত।যাইহোক,আলহামদুলিল্লাহ পরে কিছু বুঝ আসে এবং তাদের কাছে মাফ চেয়ে নি।কিন্তু তাও কিছু বুঝ বাকি থেকে যায় যার দরুন আমি কয়েকদিন আগে (প্রথমে উক্ত) তর্ক ও জোরে কথা বলি।
তো আলহামদুলিল্লাহ, যে এই ঘটনার পর এখন বুঝেছি, মহান রব বুঝ দিয়েছেন যে কেমন হওয়া উচিত তাদের সাথে আমার আচরন। আলহামদুলিল্লাহ, আমি এখন চেষ্টা করি এবং আরো করব ইনশাআল্লাহ তাদের সাথে মধুর সম্পর্ক গড়ার। যতো যাই হোক -ধৈর্য ধরার এবং আলহামদুলিল্লাহ, আমি আলাহর কাছে তাওবা করি(কিন্তু আব্বুর কাছে ক্ষমা চাইনি, কারন নিচে প্রশ্নে আছে) এবং আল্লাহ তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করার তাওফিক দেয়।
কিন্তু একটা যায়গায় আবার পেচাল হয়ে যায়, কয়েকদিন আগে আমি আব্বুর ব্যবসায়ি বিষয়ে একটা ভুল করি তাই সে আমাকে রাগ করেছে কিছু কথা বলেছে, তারপরো আল্লাহ আমাকে ধৈর্য ধারন এর সুযোভ দেয় আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু, একপর্যায়ে সে তার ব্যবসায়ী পার্টনার কে আমার কথা বলে যে আমি ওমক ভুল করেছি(অথচ আগের ভুলটা আমি করেছি কিন্তু এখানে সম্পুর্ন নির্দোষ ছিলাম) অর্থাৎ সে আমাকে দোষ দেয়[এইটা ছিল হয়ত সেই অবিশ্বাস ]_এইটা আমার নিজ কানে শোনা, জানিনা ভুল শুনেছিলাম কিনা। তা তখন আব্বু ফোনে কথা বলতেছিল, তাই আমি জোরে একটু রাগান্বিত হয়ে বলেছিলাম যে আমি ভুল টা করি নি। এবং, পরে দুঃখ ও রাগে একটু জোরে আবার বলে ঊঠি আমার দোষ দিতে পারলেই সবার ভালো লাগে বা এই টাইপের কিছু।।
তো প্রশ্ন আমার দুইটা-
- একেবারে লাস্টে যে আরেকটা ভুলের কথা বলেছি, এতে কি আমার গুনাহ হবে?
- ভুল দুইটা বা একটা যাইহোক, আমি আব্বুর কাছে ক্ষমা চাইতেই পারছি না,,প্রচুর লজ্জাবোধ হচ্ছে এবং ওইযে সেই দুরত্ব কিছুটা থেকে গিয়েছে তাই।(যদিও আমি এখন চেষ্টায় আছি আলহামদুলিল্লাহ, তাদের সাথে মধুর সম্পর্ক গড়ার যা আমার আল্লাহ আদেশ দিয়েছে, কিন্তু জানি না তাও কিছু মনোমালিন্য স্থায়ী থাকবে কি না কারন আব্বু আর আমি দুই আদর্শের, সে একটা খারাপ কাজ করলে আমি বার বার নাসিহাত[যেমন ধৈর্য ও ভালোব্যবহার, হাসিমুখ দিয়ে করা দরকার ইনশাল্লহ তেমন ই করব] করলে হয়ত কিছুটা মনোমালিন্য থেকে যাবে, আল্লাহ হেদায়েত নাসিব করুক)৷ তো এহেন পরস্থিতিতে আমি কি শুধু আল্লাহর কাছে তাওবা ও ইস্তেগফার করলে পরিত্রান পাব? তা না হলে কি করয়া উচিত আমার? পুরা ঘটণার উপর পরামর্শ দিবেন।
।।জাঝাকাল্লাহ খইরান।।