আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
143 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (31 points)

।।আসসালামু আলাইকুম ।। 

• কয়েকদিন আগে রসূল (সঃ) এবং আয়েশা (রাঃ) কে নিয়ে কটুক্তি করায় সারা দেশ ব্যাপি আলাদা-আলাদাভাবে সভা-মিছিল হয়। তো আমিও সেই মিছিল এ অংশগ্রহন করি। কিন্তু আব্বুকে না জানিয়ে,, কারন, আমার আব্বু ইসলামের কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপত্তি জানায় (অস্বীকার করে কি না জানি না, কিন্তু পালনে বাধা দেয়)। তো আমার আশংকা ছিল যে সে বাধা দিবে। তাই তাকে না জানিয়ে গেছিলাম। কিন্তু, আম্মুকে বলেছিলাম। 
 
পরদিন সে যখন শুনল যে আমি গেছিলাম, তখন বল-"যে কেন না জানিয়ে গেছি, এবং তার কিছুদিন পর আমার পরীক্ষা ছিল যদি আমার কিছু হত(পুলিশে ধরা বা ইত্যাদি)"
তো তখন আমি আব্বুর সাথে তর্ক করি ও একটু জোরে কথা বলি, আমি ভেবেছিলাম হয়ত আমার এইভাবে প্রতিবাদ করা ঠিক হবে। কিন্তু আমি জানতাম এমন পরিস্থিতিতেও না আমার আল্লাহ এর চেয়ে চমৎকার বিধান দিয়েছেন, সদাচারন করার। তো এইজন্য আসলে ভুল টা হয়ে যায় এবং আমি পরে জানতে পারি যে আমার ভুল হয়েছে।
তো তারপর থেকে আমি ক্ষমা চাইতেই পারছি, প্রচুর লজ্জাবোধ হচ্ছে। পাশাপাশি, আমার এমন বুঝার ভুল ও আব্বুর কিছু ভুল থাকার জন্য আমার সাথে আব্বুর সম্পর্কে কিছুটা ফাটল ধরে যায়। কিছুটা মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। 
 
কারন-(সত্য কথা) আব্বুর বেশ আচরনগত ত্রুটি আছে যা আমি যেকোনো কারো ক্ষেত্রে মোটেও মানতে পারি না  এবং জানি না কেন আব্বু আমাকে কিছু কিছু সময় অবিশ্বাস করে(দ্বীনি বুঝ আসার আগে হয়ত মিথ্যা বলেছি অনেক, কিন্তু অবিশ্বাস হয় এমন কাজ কখনো করেছি আমার মনে পড়ে না, তাও অবিশ্বাস!)। আবার, দ্বীনি বুঝ আসার আগে বহু ভুল বুঝি আমি, এইটাও দুজনের দুরত্ব সৃষ্টির কারন।।। আমি ছোটবেলায় আব্বু-আম্মুর সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করতাম না, খুব কমই করতাম(হায় আফসোস!)। তারপর দ্বীনি বুঝ আসার পর আলহামদুলিল্লাহ বেশ কমে যায় কিন্তু আমার তখনো বুঝে আসিনি যে ঠিক ক্যামন ব্যবহার তাদের সাথে করা উচিত।যাইহোক,আলহামদুলিল্লাহ পরে কিছু বুঝ আসে এবং তাদের কাছে মাফ চেয়ে নি।কিন্তু তাও কিছু বুঝ বাকি থেকে যায় যার দরুন আমি কয়েকদিন আগে (প্রথমে উক্ত) তর্ক ও জোরে কথা বলি।
তো আলহামদুলিল্লাহ,  যে এই ঘটনার পর এখন বুঝেছি, মহান রব বুঝ দিয়েছেন যে কেমন হওয়া উচিত তাদের সাথে আমার আচরন। আলহামদুলিল্লাহ, আমি এখন চেষ্টা করি এবং আরো করব ইনশাআল্লাহ তাদের সাথে মধুর সম্পর্ক গড়ার। যতো যাই হোক -ধৈর্য ধরার এবং আলহামদুলিল্লাহ, আমি আলাহর কাছে তাওবা করি(কিন্তু আব্বুর কাছে ক্ষমা চাইনি, কারন নিচে প্রশ্নে আছে) এবং আল্লাহ তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করার তাওফিক দেয়।
 
কিন্তু একটা যায়গায় আবার পেচাল হয়ে যায়, কয়েকদিন আগে আমি আব্বুর ব্যবসায়ি বিষয়ে একটা ভুল করি তাই সে আমাকে রাগ করেছে কিছু কথা বলেছে, তারপরো আল্লাহ আমাকে ধৈর্য ধারন এর সুযোভ দেয় আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু, একপর্যায়ে সে তার ব্যবসায়ী পার্টনার কে আমার কথা বলে যে আমি ওমক ভুল করেছি(অথচ আগের ভুলটা আমি করেছি কিন্তু এখানে সম্পুর্ন নির্দোষ ছিলাম) অর্থাৎ সে আমাকে দোষ দেয়[এইটা ছিল হয়ত সেই অবিশ্বাস ]_এইটা আমার নিজ কানে শোনা, জানিনা ভুল শুনেছিলাম কিনা। তা তখন আব্বু ফোনে কথা বলতেছিল, তাই আমি জোরে একটু রাগান্বিত হয়ে বলেছিলাম যে আমি ভুল টা করি নি। এবং, পরে দুঃখ ও রাগে একটু জোরে আবার বলে ঊঠি আমার দোষ দিতে পারলেই সবার ভালো লাগে বা এই টাইপের কিছু।।
 
তো প্রশ্ন আমার দুইটা-
  • একেবারে লাস্টে যে আরেকটা ভুলের কথা বলেছি, এতে কি আমার গুনাহ হবে?
  • ভুল দুইটা বা একটা যাইহোক,  আমি আব্বুর কাছে ক্ষমা চাইতেই পারছি না,,প্রচুর লজ্জাবোধ হচ্ছে এবং ওইযে সেই দুরত্ব কিছুটা থেকে গিয়েছে তাই।(যদিও আমি এখন চেষ্টায় আছি আলহামদুলিল্লাহ, তাদের সাথে মধুর সম্পর্ক গড়ার যা আমার আল্লাহ আদেশ দিয়েছে, কিন্তু জানি না তাও কিছু মনোমালিন্য স্থায়ী থাকবে কি না কারন আব্বু আর আমি দুই আদর্শের, সে একটা খারাপ কাজ করলে আমি বার বার নাসিহাত[যেমন ধৈর্য ও ভালোব্যবহার, হাসিমুখ দিয়ে করা দরকার ইনশাল্লহ তেমন ই করব] করলে হয়ত কিছুটা মনোমালিন্য থেকে যাবে, আল্লাহ হেদায়েত নাসিব করুক)৷ তো এহেন পরস্থিতিতে আমি কি শুধু আল্লাহর কাছে তাওবা ও ইস্তেগফার করলে পরিত্রান পাব? তা না হলে কি করয়া উচিত আমার? পুরা ঘটণার উপর পরামর্শ দিবেন।

।।জাঝাকাল্লাহ খইরান।।

 

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
وَقَضَىٰ رَبُّكَ أَلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا ۚ إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلَاهُمَا فَلَا تَقُل لَّهُمَا أُفٍّ وَلَا تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوْلًا كَرِيمًا
তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা।

وَاخْفِضْ لَهُمَا جَنَاحَ الذُّلِّ مِنَ الرَّحْمَةِ وَقُل رَّبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا
তাদের সামনে ভালবাসার সাথে, নম্রভাবে মাথা নত করে দাও এবং বলঃ হে পালনকর্তা, তাদের উভয়ের প্রতি রহম কর, যেমন তারা আমাকে শৈশবকালে লালন-পালন করেছেন।

رَّبُّكُمْ أَعْلَمُ بِمَا فِي نُفُوسِكُمْ ۚ إِن تَكُونُوا صَالِحِينَ فَإِنَّهُ كَانَ لِلْأَوَّابِينَ غَفُورًا
তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের মনে যা আছে তা ভালই জানেন। যদি তোমরা সৎ হও, তবে তিনি তওবাকারীদের জন্যে ক্ষমাশীল।( সূরা বনি ইসরাঈল-২৩-২৪-২৫)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি আপনার বাবার কাছেও ক্ষমা চাইবেন এবং আল্লাহর কাছেও ক্ষমা চাইবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...