আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
380 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (25 points)
edited by

১) আল্লাহর কোন সৃষ্টিকে বিকৃত করা, কাউকে নিয়ে মজা করা, গালি দেওয়া কি কোনোভাবে আল্লাহকে অবমাননার পর্যায়ে পড়ে? এসব করার সময় শুধু এই চিন্তা টা আসে, কিন্তু আল্লাহকে অবমাননার উদ্দেশ্য ছাড়া যদি আমি এসব কাজ করি, তাহলে কি কুফর হবে?

|(তখন আমার মনে আল্লাহকে অবমাননার ওয়াসওয়াসা আসে, কিন্তু আমি দৃড় চিত্ত থাকি যে আমি পাপ করছি, কিন্তু আল্লাহকে অবমাননার নিয়তে নাহ, এই নিয়তে  এসব কাজ করলে কি কুফর হবে???) 

সুরা ত্বীনের  ৪ নং আয়াতের আলোকে উত্তরটা কি হবে?

২)

সূরা ত্বীন আয়াত ৪ঃ

অবশ্যই আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি সর্বোত্তম গঠনে।

কাউকে যদি বলি তুই খাটো, তোর চুল গুলা ভাল না এই সেই, সূরা ত্বীনের ৪ নং আয়াতের ভিত্তিতে এসব বলা কি কুফর হবে?আল্লাহর সৃষ্টিকে অবমাননা করা হবে?

২) কারো কোনো কাজ নিয়ে উপহাস করতে গেলে মনে প্রশ্ন আসে যে এতে কি তার আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার কোন ইচ্ছা ছিল অথবা অন্য কোন শরয়ী প্রয়োজন ছিল?

 আমি তাদের কাজের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানি না। কিন্তু মাঝে মাঝেই আমি কাউকে নিয়ে উপহাস করে ফেলি, নিজেকে আটকাতে পারিনা, কখনো সংগদোষে এমন হয়। 

এমতাবস্থায় আমি যেহেতু জানি না তাদের উদ্দেশ্য, তাহলে কি তাদেরকে নিয়ে উপহাস করলে কুফরি হবে?


***) যদি তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানার পথ থাকে তবুও তাদেরকে  জিজ্ঞাসা না করেই তাদেরকে নিয়ে উপহাস করি, তাহলে কি কুফর হবে?

৩) বিয়ে করা কাদের জন্য ফরজ,সুন্নত, হারাম?

৪) আমাদের ফ্রেন্ড দের মাঝে কখনো কখনো বিয়ে করা নিয়ে কথা উঠে।  একবার আমি হাসতে হাসতে বলেছিলাম" যাহ, বিয়া করার ইচ্ছা নাই"

তখন আমার মনে বিয়ে কে অবজ্ঞা করার ওয়াসওয়াসা এসেছিল। কিন্তু আমি এই নিয়তে তা বলিনি। তা কি কুফর হয়েছে?

i)) কেউ বিয়ে করতে চাইলে যদি তাকে হাসতে হাসতে বলি" বাহ বিয়ে করার খুব শখ",  বিয়ে কে তাচ্ছিল্য করার নিয়তে না, সেই মানুষ যাতে একটু লজ্জায় লাল হয়ে মুচকি হাসি দেয়, এজন্য যদি বলি, তাহলে কি কুফর হবে? ( বিয়েকে অবজ্ঞা করার ওয়াসওয়াসা এসেছিল, কিন্তু নিয়ত ছিল না এটা)

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
প্রথমেই কিছু হাদীস লক্ষ্য করিঃ
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত।
তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন, আমাকে আদম সন্তান কষ্ট দেয়। কারণ তারা সময়কে গালি দেয়। পক্ষান্তরে আমিই দাহর বা কাল। কেননা আমার হাতেই সকল বিষয়। আমিই রাত ও দিনের বিবর্তন ঘটাই।
[বুখারী শরীফ ৪৮২৬] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৯৭৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯৮৩)


قَال أَبُو هُرَيْرَةَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ يَسُبُّ ابْنُ آدَمَ الدَّهْرَ وَأَنَا الدَّهْرُ بِيَدِيَ اللَّيْلُ وَالنَّهَارُ.

আবূ হোরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: মহামহিম আল্লাহ্ বলেন, আদম সন্তান সময়কে গালি দেয়। অথচ আমিই সময় এবং কাল, রাত-দিন আমারই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
টীকা: “আমিই সময়”-এর অর্থ এ নয় যে, আল্লাহ্ তা’আলা হচ্ছেন বিশ্বের সময় জ্ঞাপক শক্তি। বরং এর অর্থ হচ্ছে রাত-দিনের আগমন-নির্গমন, রাতের পেছনে দিন ও দিনের পেছনের রাতের আগমন, ঋতুর পরিবর্তন, সবকিছুই আল্লাহ্ তা’আলার নিয়ন্ত্রণাধীন। তিনিই সময়কের নিয়ন্ত্রণ করেন। এসব কিছুই তাঁর হুকুমের অধীন।
[বুখারী শরীফ হাদীস নং- ৫৬৯৭ (বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার)]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ يُؤْذِينِي ابْنُ آدَمَ يَسُبُّ الدَّهْرَ وَأَنَا الدَّهْرُ أُقَلِّبُ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ.

আবূ হোরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: মহান আল্লাহ্ বলেন, আদম সন্তান যুগ এবং সময়কে গালি দিয়ে আমাকে কষ্ট দেয়। সময় তো আমারই নিয়ন্ত্রণে। রাত-দিনের পরিবর্তন আমিই করে থাকি।
[বুখারী শরীফ হাদীস নং- ৫৬৯৮ (বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার)]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ يُؤْذِينِي ابْنُ آدَمَ يَقُولُ يَا خَيْبَةَ الدَّهْرِ فَلَا يَقُولَنَّ أَحَدُكُمْ يَا خَيْبَةَ الدَّهْرِ فَإِنِّي أَنَا الدَّهْرُ أُقَلِّبُ لَيْلَهُ وَنَهَارَهُ فَإِذَا شِئْتُ قَبَضْتُهُمَا.

আবূ হোরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: মহান আল্লাহ্ তা’আলা বলেন, আদম সন্তান “হে হতভাগা সময়” বলে আমাকে কষ্ট দেয়। অতএব, তোমাদের কেউ যেন “হে সময়! তোমার জন্য দুঃখ হয়” না বলে। কেননা, আমিই সময়। রাত-দিনের আবর্তন-পরিবর্তন আমিই করে থাকি। আমি যখন ইচ্ছে করব, দু’টোই বিলুপ্ত করে দেব।
[বুখারী শরীফ হাদীস নং- ৫৬৯৯ (বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার)]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا يَقُولَنَّ أَحَدُكُمْ يَا خَيْبَةَ الدَّهْرِ فَإِنَّ اللَّهَ هُوَ الدَّهْرُ.

আবূ হোরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: তোমাদের কেউ যেন “হে সময়-কাল! তোমার জন্য আফসোস” –এরূপ না বলে। কেননা, আল্লাহ্ তা’আলাই সময় অর্থাৎ, সময় তাঁরই নিয়ন্ত্রণে।
[বুখারী শরীফ হাদীস নং- ৫৭০০ (বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার)]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এ সব হাদীসের আলোকে বুঝা যায় যে আল্লাহর কোন সৃষ্টিকে বিকৃত করা, কাহারো চেহারা,শারীরিক গঠন নিয়ে মজা করা, কাহারো চেহারা/শারীরিক গঠনগত কারনে গালি দেওয়া আল্লাহকে অবমাননার পর্যায়ে পড়ে।

(০২)
না,এতে কুফরি হবেনা।

(০৩)
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ-

(০৪)
প্রশ্নের বিবরণ মতে  কুফরি হবেনা।

★কাউকে " বাহ বিয়ে করার খুব শখ" বলার কারনে ঈমান চলে যাবেনা।
এতে কুফরি হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (42 points)

2) numb likhe 2 ta questions kore felchi. Tai bujhte partasi na kuntar uttor e kuri Hobe na bolchen

Ar 1 er jonno) 
tahole evabe kauke Gali DEWA, Karo sharirik gothon niye hasahashi kora ki kufor Hobe?

Ar somoy ke Gali dewao ki kufor? 
by
২) কারো কোনো কাজ নিয়ে উপহাস করতে গেলে মনে প্রশ্ন আসে যে এতে কি তার আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার কোন ইচ্ছা ছিল অথবা অন্য কোন শরয়ী প্রয়োজন ছিল?

 আমি তাদের কাজের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানি না। কিন্তু মাঝে মাঝেই আমি কাউকে নিয়ে উপহাস করে ফেলি, নিজেকে আটকাতে পারিনা, কখনো সংগদোষে এমন হয়। 

❝এমতাবস্থায় আমি যেহেতু জানি না তাদের উদ্দেশ্য, তাহলে কি তাদেরকে নিয়ে উপহাস করলে কুফরি হবে?❞


***) যদি তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানার পথ থাকে তবুও তাদেরকে জিজ্ঞাসা না করেই তাদেরকে নিয়ে উপহাস করি, তাহলে কি কুফর হবে?

Etar uttor ta ki? 
by (559,140 points)
(০২)
এতে সূরা ত্বীনের ৪ নং আয়াতের ভিত্তিতে এসব বলা  কুফর হবেনা।আল্লাহর সৃষ্টিকে অবমাননা করা হবে।
by (559,140 points)
(০১)
না,কাহারো শারিরীক গঠন নিয়ে গালি দিলে কুফরি হবেনা
by (559,140 points)
সব শেষে কমেন্টে আপনি যে ২য় নং প্রশ্ন করেছেন,তার জবাবঃ-

না,প্রশ্নের বিবরণ মতে কুফরি হবেনা। 
by
Accha tahole ETA sob miliye proshno korchi
Je je proshno gula korlam kono tar karone kufri Hobe na???
by
Ok  tahole ETA sob miliye proshno korchi
Je je proshno gula korlam kono tar karone kufri Hobe na????
by
Dukkhito nickname e marattok vul hoyeche( asol nam 12345)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...