আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
169 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (56 points)
edited by
কোনো স্বামী তার স্ত্রীর অনেক বেশি প্রশংসা করছিলো তখন স্ত্রী মনে করছে যে তার স্বামী তাকে পাম দিচ্ছে।তাই স্ত্রী বলে ছাড়ে না ছাড়ে না এখন একদম বেশি ছাড়িতেছে বা বেশি ছাইড়া দিছে অর্থাৎ বেশি প্রশংসা করতেছে। তখন স্বামী কিছুটা অভিমান করে বলছে আমি বেশি ছাড়ি বা বলছে আমি ছাইড়া দিছি তা যাও এটা বলে সে কোলের কাছ থেকে স্ত্রীকে সরায় দেয়।পাম দিচ্ছে এটা বললে সে মাঝে মধ্যে এমন করে বলে সরায় দেয়।আসলে এখানে সাংসারিক কোনো বিষয়ে কথা হচ্ছিল না আর ছাড়াছাড়ির ব্যাপারে তো না ই।স্ত্রীর কথার পিঠে সে এটা বলছে।তোমাকে ছেড়ে দিলাম বা তোমাকে ছেড়ে দিছি এরকমটা বলেনি।এরকম কোনো কারনও তাদের মধ্যে হয়নি।স্ত্রীও তালাক বোঝায়নি তার কথা দ্বারা।

১.এখানে স্বামীর কথায় কি কোনো তালাক হবে??

২.এখানে স্বামী যে বলছে আমি বেশি ছাড়ি বা আমি ছাইড়া দিছি তা যাও কোনো একটা কথায় কি তালাক হতে পারে??যদি ছাড়ার উদ্দেশ্যে না বলে অন্য কোনো উদ্দেশ্যে বলে।

৩.আমি ছাইড়া দিছি এটা নিয়ে স্ত্রীর সন্দেহ হচ্ছে যে স্বামী এটা বলছে কিনা।আবার জিজ্ঞেস করতেও ভয় পাচ্ছে যে স্বামী রেগে উল্টাপাল্টা কিছু বলে কিনা কারন আগেও তালাক নিয়ে তাদের মধ্যে অনেক ঝামেলা হয়েছে।এখন সন্দেহের বশে জিজ্ঞেস করা কি ঠিক হবে??আর জিজ্ঞেস না করলে কি স্ত্রীর গুনাহ হবে

৪.যাও কথাটা বলার দ্বারা কি তালাক হবে?? ও আমি বেশি ছাড়ি এটা বলাতে কি তালাক হবে??

৫.কোনো মহিলা যদি মনে মনে বলে বিয়ের চেয়ে প্রেম করা ভালো তাহলে কি তার ইমান চলে যাবে??

৬.স্ত্রী স্বামী কে বলে কত কিছু বা কত ছুতা ধরেন ছাইড়া দেন নাই/নাকি।তখন স্বামী বলে কতকিছু/কত (এখানে কি বলছে নাকি বলেইনি স্ত্রীর মনে নেই) ছাইড়া দিছি দু একটা ধরি।এখানে দোষ বা ছুতা ধরা ও ছাড়ার কথা হচ্ছিল।তবে স্ত্রীর ছাইড়া দেন নাই/নাকি এটা বলার পর তালাকের কথা মাথায় আসে তবে কিভাবে আসছে তা মনে নেই। ঘটনার বিবরণ মতে স্বামীর কথায় কি তালাক হবে??

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


তালাক খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

★তালাক স্পষ্ট বাক্য দ্বারাও হতে পারে,আবার কেনায়া শব্দ,ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারাও হতে পারে।
কেনায়া তালাক বলা হয় স্পষ্ট তালাক শব্দ না বলে বরং তালাকের ইঙ্গিতসূচক শব্দ বলে তালাক দেওয়া। 

★★শরিয়তের পরিভাষায় ইঙ্গিত সূচক শব্দে তালাক দেয়াটাকে বলা হয় ‘কেনায়া তালাক’ বা ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারা তালাক। আর কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে নিয়ত তথা তালাকের ইচ্ছা থাকা অত্যাবশ্যক। আর কেনায়া তালাক দ্বারা এক তালাকে বায়েন পতিত হয় ৷

সুতরাং যদি কেউ স্ত্রীকে এরূপ কথা বলে এবং তালাকের নিয়ত করে, তবে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। আর যদি তালাকের নিয়ত না করে তাহলে তালাক হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/৩৭৫)

আরো জানুনঃ  

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
(০১)
না,তালাক হবেনা।

(০২)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তালাক হবেনা।

(০৩)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সন্দেহের বশে জিজ্ঞেস করা  ঠিক হবেনা।

উল্লেখিত ছুরিতে জিজ্ঞেস না করলে স্ত্রীর গুনাহ হবেনা।

(০৪)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।

(০৫)
এতে তার ঈমান চলে যাবেনা। 

(০৬)
ঘটনার বিবরণ মতে স্বামীর কথায় তালাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...