জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
কেউ যদি গুনাহ করার সময় সেটা হারাম মনে থাকার পরও নিজের নফসকে অনুসরণ করে ওই হারাম কাজ লিপ্ত হয় তাহলে সে নিজের নফসকে অনুসরণ করায় ও শয়তানের হুকুম/ওয়াসওয়াসায মেনে নেয়ায় শিরক করলোনা।
তাকে মুশরিক বলা যাবেনা।
★নফসের আনুগত্য কি শিরক? এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
আর যদি সে এমন আচরণ করছে যে তার নিজের শরীরের মালিক সে তাতেও তার শিরক হবেনা।
কেউ যদি ভালোবাসার ক্ষেত্রে বা কোন বিষয়ের ক্ষেত্রে আল্লাহ চেয়ে অন্য কোন কিছুকে প্রাধান্য দেয় তাহলে সেটা শিরক হবেনা।
তবে এই বিষয়ে ব্যাখ্যা রয়েছে।
ইবাদত বা অন্য যেকোনো ক্ষেত্রে আল্লাহর সাথে কাউকে সমকক্ষ বললে শিরক হবে।
আরো জানুনঃ-
★যে আল্লাহকে সবার চেয়ে বেশি ভালোবাসবে না, সে জান্নাতে যেতে পারবে না। এমন কোন হাদিস খুজে পাইনি।
তবে তার ঈমান পূর্ণ হবেনা।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
قُلۡ اِنۡ کَانَ اٰبَآؤُکُمۡ وَ اَبۡنَآؤُکُمۡ وَ اِخۡوَانُکُمۡ وَ اَزۡوَاجُکُمۡ وَ عَشِیۡرَتُکُمۡ وَ اَمۡوَالُۨ اقۡتَرَفۡتُمُوۡہَا وَ تِجَارَۃٌ تَخۡشَوۡنَ کَسَادَہَا وَ مَسٰکِنُ تَرۡضَوۡنَہَاۤ اَحَبَّ اِلَیۡکُمۡ مِّنَ اللّٰہِ وَ رَسُوۡلِہٖ وَ جِہَادٍ فِیۡ سَبِیۡلِہٖ فَتَرَبَّصُوۡا حَتّٰی یَاۡتِیَ اللّٰہُ بِاَمۡرِہٖ ؕ وَ اللّٰہُ لَا یَہۡدِی الۡقَوۡمَ الۡفٰسِقِیۡنَ ﴿۲۴﴾
বলুন, 'তোমাদের কাছে যদি আল্লাহ, তাঁর রাসুল এবং আল্লাহর পথে জিহাদ করার চেয়ে অধিক প্রিয় হয়ে ওঠে তোমাদের পিতা, তোমাদের সন্তান, ভাই, স্ত্রী, পরিবার-পরিজন, তোমাদের অর্জিত ধন-সম্পদ, তোমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য, যার মন্দায় পড়ার আশঙ্কা করো এবং তোমাদের বাড়িঘর, যা তোমরা পছন্দ করো, তাহলে অপেক্ষা করো আল্লাহর নির্দেশ (যুদ্ধের আদেশ) আসা পর্যন্ত। আল্লাহ পাপাচারী সম্প্রদায়কে সঠিক পথের দিশা দেন না।' (সুরা তাওবা, আয়াত : ২৪)
আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত অন্য এক হাদীসে আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি কারো সাথে বন্ধুত্ব রেখেছে শুধু আল্লাহর জন্য, শক্রতা রেখেছে শুধু আল্লাহর জন্য, অর্থ ব্যয় করে আল্লাহর জন্য এবং অর্থ ব্যয় থেকে বিরত রয়েছে আল্লাহর জন্য, সে নিজের ঈমানকে পরিপূর্ণ করেছে। [আবু দাউদ: ৪৬৮১; অনুরূপ তিরমিযী: ২৫২১]
হাদীসের এ বর্ণনা থেকে বুঝা যায় যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভালবাসাকে অপরাপর ভালবাসার উর্ধ্বে স্থান দেয়া এবং শক্ৰতা ও মিত্রতায় আল্লাহ ও তার রাসূলের হুকুমের অনুগত থাকা পূর্ণতর ঈমান লাভের পূর্বশর্ত।