বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
তালাক খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .
কাসীর ইবন উবায়দ .......... ইবন উমার (রাঃ) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন যে, আল্লাহ্ তা‘আলার নিকট নিকৃষ্টতম হালাল বস্তু হল তালাক। (আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।)
তালাক প্রদান করা সম্পূর্ণ স্বামীর অধীকার। হ্যা শরীয়ত কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্ত্রীকে নিজের উপর তালাক প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে।যেমন,স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক প্রদানের অনুমতি প্রদান করলে,স্ত্রী নিজেকে তালাক দিতে পারবে।তাছাড়া স্বামী খোরপোষ না দিলে,স্ত্রী কাযী সাহেবের নিকট অভিযোগ দায়ের করতে পারবে। কিংবা স্বামী নিখোঁজ হলে বা ধ্বজভঙ্গ হলে কোর্ট বিবাহ ভঙ্গের রায় দিতে পারবে।
স্বামীর খোঁজখবর না থাকলে স্ত্রী চার বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।চার বছর অপেক্ষার পরও যদি স্বামীর কোনো খোঁজখবর না মিলে,কোর্ট স্বামীর পক্ষ্য থেকে বিবাহ ভঙ্গ করে দিবে।স্ত্রী তালাক দিতে পারবে না।তালাক দেয়ার অধীকার স্ত্রীর নেই।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১, স্বামী যদি 18 নং কলামের শর্ত ভঙ্গ না করেন তাহলে স্ত্রী কাবিনের 18 নং কলামের ক্ষমতাবলে তালাকের নোটিশ পাঠালে, তালাক হবে না।
উল্লেখ্য যে, তিন মাসে তিন তালাক দেওয়া সুন্নাহ৷ তবে এক সাথে তিন তালাক দিলেও তা কার্যকর হয়ে যাবে৷
২, হ্যাঁ, স্ত্রীকে না জানিয়ে তালাক দিলেও তালাক হয়ে যাবে৷
৩, স্বামী স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পর স্ত্রীর কাছে তালাকের নোটিশ পাঠানো জরুরী নয়৷ তবে তালাক হয়ে গিয়েছে এই কথাটা কারোর মাধ্যমে স্ত্রীকে জানিয়ে দেওয়া ভালো৷ যাতে করে সে ইদ্দত পালন করতে পারে৷
৪, দেনমোহর একান্ত স্ত্রীর হোক৷ তাই এই বিষয়ে কারোর মাধ্যমে স্ত্রীর সাথে সমঝোতা করে নিবে যে, স্বামী কখন দিবে৷