জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
যেহেতু মহান আল্লাহ প্রতিটি নামাজকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ফরজ করেছেন। তাই সেই নির্দিষ্ট সময় হলেই তা আদায় করতে হবে।
কোনো নামাজকে তার ওয়াক্ত আসার আগেই আদায় করা জায়েজ নেই।
ওয়াক্তের পূর্বে নামাজ যদি কেহ আদায় করেও,তাহলে সেই নামাজ আবার আদায় করতে হবে।
(নাজমুল ফাতওয়া ২/১২২)
لمافی قولہ تعالیٰ (النساء:۱۰۳): إِنَّ الصَّلاةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتَابًا مَّوْقُوتًا۔
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই নামাজ মুসলমানদের ওপর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফরজ।’ (সুরা নিসা : ১০৩)।
عَنْ بِلَالٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَهُ: «لَا تُؤَذِّنْ حَتَّى يَسْتَبِينَ لَكَ الْفَجْرُ هَكَذَا» وَمَدَّ يَدَيْهِ عَرْضًا، (سنن ابى داود، رقم الحديث-1171)
হযরত বিলাল রাঃ থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাঃ তাকে বলেছেন যে ফজর স্পষ্ট হওয়ার আগ পর্যন্ত তুমি আযান দিওনা,,,,
আবু আমর শায়বানী (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি ‘আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)-এর বাড়ির দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, এ বাড়ির মালিক আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন, ‘আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, কোন আমল আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়?
তিনি বললেন, ‘যথাসময়ে সালাত আদায় করা। ইবনে মাসউদ (রা.) পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, অতঃপর কোনটি?
তিনি বলেন, অতঃপর পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার। ইবনে মাসউদ (রা.) আবার জিজ্ঞেস করলেন, অতঃপর কোনটি? আল্লাহর রাসুল (সা.) বললেন, অতঃপর আল্লাহর পথে জিহাদ করা। ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, এগুলো তো আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাকে বলেছেনই, যদি আমি আরো অধিক জানতে চাইতাম, তাহলে তিনি আরো বলতেন। (বুখারি, হাদিস : ৫২৭)
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছে
لمافی ردالمحتار علی الدر المختار(۳۷۰/۱):یشترط لصحۃ الصلاۃ دخول الوقت واعتماد دخولہ کمافی نور الایضاح وغیرہ، فلو شک فی دخول وقت العبادۃ فاتی بھا فبان انہ فعلھا فی الوقت لم یجزہ۔
নামাজ ছহীহ হওয়ার জন্য শর্ত হলো ওয়াক্ত দাখিল হওয়া,,,,,,,,,,,,,
,
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত ""কেউ যদি সময় নিয়ে জ্ঞান না থাকার কারনে ফযরের সালাত রাত ২ ৪০ এর দিকে আদায় করে ফেলে তাহলে তার সালাত শুদ্ধ হবেনা।
পুনরায় আদায় করতে হবে।