জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
উলামায়ে কেরামগন বলেন, ইংরেজি ক্যালেন্ডার ব্যবহার করা মাকরুহ নয়।
কারন শরীয়তের বিধান হলো যে সমস্ত বিষয় ইহুদী খৃষ্টানদের কালচার ও ধর্মীয় বিষয় হিসেবে বিবেচ্য ও প্রসিদ্ধ। তা ব্যবহার করা জায়েজ নয়।
যেহেতু ইংরেজি ক্যালেন্ডার ইহুদী খৃষ্টানদের ধর্মীয় কোনো বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত নয়। বরং এটি এখন মুসলমানরাও ব্যাপকহারে ব্যবহার করে থাকে, তাই এটা ব্যবহার করা হারাম নয়।
,
আগের জামানায় এটাকে অনেকে ইহুদি খ্রীষ্টনদের সাথে সাদৃশ্য রাখে বলে এই ক্যালেন্ডার ব্যবহার করতেননা।
عَنْ عَبْدِ اللهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ:: ” الْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ
হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঈদ রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, ব্যক্তি [কিয়ামতের দিন] তার সাতে থাকবে যাকে সে মোহাব্বত করে। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৩৭১৮, বুখারী, হাদীস নং-৬১৬৮, ৫৮১৬}
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
হযরত ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি যার সাদৃশ্য গ্রহণ করে, সে তাদেরই অন্তর্ভূক্ত। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪০৩১}
,
★★তবে এটি এখন আর ইহুদি খ্রষ্টানদের সাথে খাছ নেই,এটি ইন্টারন্যাশনাল ক্যালেন্ডার।
এটি সব ধর্মের অনুসারীরাই ব্যবহার করে,তাই এটি ব্যবহার করা কোনো ভাবেই নাজায়েজ নয়।
তবে মুসলমানদের অবশ্যই আরবী ক্যালেন্ডার কে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া উচিত।