ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)বাচ্চা না থাকলে তোমাকে আমি ছেড়ে দিতাম এভাবে তালাক হবে না।
(২)ডাক্তারি করতে চাইলে আমার সংসার করা লাগবে না.. এভাবেও তালাক হবে না।
৩. এভাবে চলতে থাকলে এক সময় আমি তোমাকে ছেড়ে দিবো - এভাবেও তালাক হবে না।
মোটকথা উপরের কথা দ্বারা তালাক হবে না।
(৪)
চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ 'আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায়' রয়েছে,
" ﻃﺎﻋﺔ ﺍﻟﻤﺨﻠﻮﻗﻴﻦ - ﻣﻤّﻦ ﺗﺠﺐ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ – ﻛﺎﻟﻮﺍﻟﺪﻳﻦ ، ﻭﺍﻟﺰّﻭﺝ ، ﻭﻭﻻﺓ ﺍﻷﻣﺮ : ﻓﺈﻥّ ﻭﺟﻮﺏ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ ﻣﻘﻴّﺪ ﺑﺄﻥ ﻻ ﻳﻜﻮﻥ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ، ﺇﺫ ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻟﻤﺨﻠﻮﻕ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺍﻟﺨﺎﻟﻖ " ﺍﻧﺘﻬﻰ
যাদের আদেশ-নিষেধ এর অনুসরণ শরীয়ত কর্তৃক ওয়াজিব।যেমন-মাতাপিতা,স্বামী,সরকারী বিধিনিষেধ,এর অনুসরণ ওয়াজিব।
এ হুকুম ব্যাপক হারে প্রযোজ্য হবে না বরং ঐ সময়-ই প্রযোজ্য হবে যখন তা গুনাহের কাজ হবে না।কেননা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(২৮/৩২৭)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
স্বামী কথা শ্রবণ করে তার বাধ্য হওয়া আপনার উচিৎ।এবং এটাই শরীয়তের পক্ষ্য থেকে আপনার উপর ওয়াজিব। আপনি আপনার শাশুড় শাশুড়িকে আপনার স্বামীর নিষেধের কথা বলে দিবেন। স্বামী যদি আপনার থাকা খাওয়া ও বাসস্থানের সুন্দর আয়োজন করে দিয়ে থাকে, তাহলে আপনার জন্য স্বামীর অনুমতি ব্যতিত বাহিরে যাওয়া কখনো জায়েয হবে না। হ্যা, স্বামী কখনো অনুমতি দিলে, আপনি পর্দা রক্ষা করে মানবসেবা করতে পারবেন। আল্লাহ আপনার জন্য বিষয়টাকে সহজ করুক।আমীন।