আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
166 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
edited by
আমি সদ্য ডাক্তার হয়েছি  এক সপ্তাহ পরেই আমার ইন্টার্ণী শুরু হবে। কিন্তু আমার স্বামী কোনোভাবেই চাচ্ছেন না আমি ইন্টার্ণী করি।

আমাদের একটা দেড় বছরের মেয়ে আছে।

কোন কারণে হসপিটালে কোন কাজে গেলেই আমার হাজব্যান্ড খুবই বিরক্ত হয়। কিন্তু আমার বাবা-মা এবং আমার শ্বশুর-শ্বাশুড়ি খুব চায় আমি ডাক্তারি করি
আমার স্বামী আমার বাবা-মা বা শ্বশুর-শাশুড়ী দের সামনে কিছু না বললেও আমার সাথে খুব রাগারাগি কর। আমার ঘর থেকে বের হওয়া, বাচ্চাকে রেখে এতক্ষণ ঘরের বাইরে থাকে সে পছন্দ করে না ।  এখন আমার প্রশ্ন হল
১. বাচ্চা না থাকলে তোমাকে আমি ছেড়ে দিতাম  এভাবে তালাক হতে পারে কি?
২.ডাক্তারি করতে চাইলে  আমার সংসার করা লাগবে না.. এভাবে তালাক হয় কি
৩. এভাবে চলতে থাকলে এক সময় আমি তোমাকে ছেড়ে দিবো  - এভাবে তালাক হয়?
৪. এখন আমি কি করতে পারি আমাকে কিছু পরামর্শ দিবন।কারণ বাসার অন্য সব সদস্য আমাকে ডাক্তারী ছাড়তে দিবে না কিন্তু স্বামী আমাকে ডাক্তারি করতে দেবেনা।  সে উপরের  কথাগুলো বললে আমার অনেক কষ্ট হয় ।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)বাচ্চা না থাকলে তোমাকে আমি ছেড়ে দিতাম  এভাবে তালাক হবে না।
(২)ডাক্তারি করতে চাইলে আমার সংসার করা লাগবে না.. এভাবেও তালাক হবে না।
৩. এভাবে চলতে থাকলে এক সময় আমি তোমাকে ছেড়ে দিবো  - এভাবেও তালাক হবে না।

মোটকথা উপরের কথা দ্বারা তালাক হবে না।

(৪)
চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ 'আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায়' রয়েছে,
" ﻃﺎﻋﺔ ﺍﻟﻤﺨﻠﻮﻗﻴﻦ - ﻣﻤّﻦ ﺗﺠﺐ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ – ﻛﺎﻟﻮﺍﻟﺪﻳﻦ ، ﻭﺍﻟﺰّﻭﺝ ، ﻭﻭﻻﺓ ﺍﻷﻣﺮ : ﻓﺈﻥّ ﻭﺟﻮﺏ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ ﻣﻘﻴّﺪ ﺑﺄﻥ ﻻ ﻳﻜﻮﻥ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ، ﺇﺫ ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻟﻤﺨﻠﻮﻕ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺍﻟﺨﺎﻟﻖ " ﺍﻧﺘﻬﻰ
যাদের আদেশ-নিষেধ এর অনুসরণ শরীয়ত কর্তৃক ওয়াজিব।যেমন-মাতাপিতা,স্বামী,সরকারী বিধিনিষেধ,এর অনুসরণ ওয়াজিব।
এ হুকুম ব্যাপক হারে প্রযোজ্য হবে না বরং ঐ সময়-ই প্রযোজ্য হবে যখন তা গুনাহের কাজ হবে না।কেননা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(২৮/৩২৭)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
স্বামী কথা শ্রবণ করে তার বাধ্য হওয়া আপনার উচিৎ।এবং এটাই শরীয়তের পক্ষ্য থেকে আপনার উপর ওয়াজিব। আপনি আপনার শাশুড় শাশুড়িকে আপনার স্বামীর নিষেধের কথা বলে দিবেন। স্বামী যদি আপনার থাকা খাওয়া ও বাসস্থানের সুন্দর আয়োজন করে দিয়ে থাকে, তাহলে আপনার জন্য স্বামীর অনুমতি ব্যতিত বাহিরে যাওয়া কখনো জায়েয হবে না। হ্যা, স্বামী কখনো অনুমতি দিলে, আপনি পর্দা রক্ষা করে মানবসেবা করতে পারবেন। আল্লাহ আপনার জন্য বিষয়টাকে সহজ করুক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...