বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আবু বাকরা রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ أَبِي بَكْرَةَ رضي الله عنه أَنَّ رَجُلًا ذُكِرَ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَثْنَى عَلَيْهِ رَجُلٌ خَيْرًا ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ( وَيْحَكَ قَطَعْتَ عُنُقَ صَاحِبِكَ - يَقُولُهُ مِرَارًا - إِنْ كَانَ أَحَدُكُمْ مَادِحًا لَا مَحَالَةَ فَلْيَقُلْ : أَحْسِبُ كَذَا وَكَذَا إِنْ كَانَ يُرَى أَنَّهُ كَذَلِكَ وَحَسِيبُهُ اللَّهُ ، وَلَا يُزَكِّي عَلَى اللَّهِ أَحَدًا )
একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এক লোকের ব্যাপারে আলোচনা হয়। তখন অন্য এক লোক বলল, হে আল্লাহর রসূল! অমুক অমুক কাজের বিষয়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পর তার চেয়ে উত্তম আর কোন লোক নেই। এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমার ধ্বংস হোক, তুমি তো তোমার সঙ্গীর গর্দান কেটে ফেলেছ। তিনি এ কথাটি বার বার বললেন। অতঃপর বললেন, তোমাদের কারো যদি তার ভাইয়ের প্রশংসা করতেই হয় তবে সে যেন বলে অমুকের ব্যাপারে আমার ধারণা যে, সে এমন (বাস্তবে হলেই এ কথাটি বলতে পারবে), তবে আল্লাহর সম্মুখে আমি কাউকে দোষমুক্ত ঘোষণা করছি না (অর্থাৎ আমি আল্লাহর সামনে কাউকে পবিত্র করতে পারি না)। (সহীহ মুসলিম-শামেলা:৩০০০,ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭২৩১, ইসলামিক সেন্টার ৭২৮৪)(সহীহ বোখারী-৬০৬১)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
উনার আলোচনার প্রায় সিংহভাগ শেষ জামানা নিয়ে।যাকে হাদীসে ফিতান বলা হয়েছে। এগুলো গাইবের সংবাদ। সুতরাং আল্লাহ এবং তার রাসূল যেভাবে বলে গেছেন, স্পষ্টভাবে বলে গেছেন, বা অস্পষ্ট রেখেছেন, এভাবেই আমাদেরকে বলতে হবে।নতুনকরে ব্যখ্যা করা যাবে না। কিন্তু উনি নিজের চিন্তা গবেষণা দ্বারা এগুলোকে বলে থাকেন। যেগুলো কে রাসূলুল্লাহ সাঃ অস্পষ্টভাবে আকার ইঙ্গিতে বলে গেছেন, সেগুলোকে তিনি নিজ চিন্তা দ্বারা নিজস্ব ব্যখ্যা প্রদাণ করে থাকেন।সুতরাং উনার কোনো বক্তব্য শ্রবণ করা যাবে না।