বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলার বাণী-
وَإِذَا رَأَيْتَ الَّذِينَ يَخُوضُونَ فِي آيَاتِنَا فَأَعْرِضْ عَنْهُمْ حَتَّىٰ يَخُوضُوا فِي حَدِيثٍ غَيْرِهِ ۚ وَإِمَّا يُنسِيَنَّكَ الشَّيْطَانُ فَلَا تَقْعُدْ بَعْدَ الذِّكْرَىٰ مَعَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
যখন আপনি তাদেরকে দেখেন, যারা আমার আয়াত সমূহে ছিদ্রান্বেষণ করে, তখন তাদের কাছ থেকে সরে যান যে পর্যন্ত তারা অন্য কথায় প্রবৃত্ত না হয়, যদি শয়তান আপনাকে ভূলিয়ে দেয় তবে স্মরণ হওয়ার পর জালেমদের সাথে উপবেশন করবেন না।( সূরা আন'আম-৬৮)
এরা জাহিল,সুতরাং এদেরমত মানুষের সাথে ঝগড়া ও তর্কবিতর্ককে পরিত্যাগ করাই শ্রেয়।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«أَنَا زَعِيمٌ بِبَيْتٍ فِي رَبَضِ الْجَنَّةِ لِمَنْ تَرَكَ الْمِرَاءَ وَإِنْ كَانَ مُحِقًّا، وَبِبَيْتٍ فِي وَسَطِ الْجَنَّةِ لِمَنْ تَرَكَ الْكَذِبَ وَإِنْ كَانَ مَازِحًا وَبِبَيْتٍ فِي أَعْلَى الْجَنَّةِ لِمَنْ حَسَّنَ خُلُقَهُ»
আবূ উমামা (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ন্যায়সঙ্গত হওয়া সত্ত্বেও ঝগড়া পরিহার করবে আমি তার জন্য জান্নাতের বেষ্টনীর মধ্যে একটি ঘরের যিম্মাদার; আর যে ব্যক্তি তামাশার ছলেও মিথ্যা বলে না আমি তার জন্য জান্নাতের মাঝখানে একটি ঘরের যিম্মাদার আর যে ব্যক্তি তার চরিত্রকে সৌন্দর্যমন্ডিত করেছে আমি তার জন্য জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানে অবস্থিত একটি ঘরের যিম্মাদার।[সুনানে আবি দাউদ-৪৮০০)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
তাদের সাথে সম্পর্ক রাখবেন।পরিত্যাগ করবেন না।হ্যা, অন্তরের সম্পর্ক বা সর্বদা সম্পর্ক না রাখার জন্য আপনার কোনো গোনাহ হবে না।এক্ষেত্রে আত্মীয়তার সম্পর্ককে বিচ্ছিন্ন করা হবে না।
(২)
যাদেরকে চিনেন না, তাদের সাথে সম্পর্ক না রাখার জন্য আপনার কোনো গোনাহ হবে না।
(৩)
জ্বী, গোনাহ হবে না।
(৪)
কথা না বললেও কোনো গোনাহ হবে না, যেহেতু তিনি দ্বীনের ব্যাপার নিয়ে আপনার সাথে কথা বলা বন্ধ রেখেছেন।তবে আপনার উচিৎ, কথা বলা,কেননা হেদায়তের চেষ্টা করা,আত্মীয় হিসেবে আপনার দায়িত্ব।
(৫)
গোপনে দিবেন।তাহলে মা জানতে পারবে না।খোটা দিতেও পারবে না।
(৬)
খোজ খবর নেয়ার দ্বারাই হক আদায় হয়ে যায়। টাকা দেয়া জরুরী নয়। হ্যা, আপনার সামর্থ্য থাকলে তো অবশ্যই দিবেন।
(৭)
মন থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করতে পারেন।হেকমতের সাথে বাবা চাচাদের মধ্যে দূরত্ব যাতে কমতে থাকে, সেই ব্যবস্থা করবেন।
(৮)
তারা আপনার আত্মীয় হলে, এটাও আপনার উপর একটা হক।সুতরাং বাবা মা আদায় না করলেও, আপনারটা আপনাকে আদায় করতে হবে।
(৯)
তাদের কথা শুনবেন না।এক্ষেত্রে মাতাপিতার কথা না শুনার জন্য আপনার কোনো গোনাহ হবে না।
(১০)
ভালো মন্দ জিজ্ঞাসা দ্বারাই হক আদায় হয়ে যায়।হ্যা, তারা গরীব হলে, এবং আপনি সামর্থবান হলে, অবশ্যই আপনানি আর্থিক সাহায্য করবেন। নতুবা তাদের হক আপনার উপর রয়ে যাবে।
(১১)
আপনার গোনাহ হয়নি।
(১২)
সবরের সাথে পরিস্থিতির মুকাবেলা করবেন।নবীজির মক্কী জীবনের কথা স্বরণ করবেন।
(১৩)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1577
(১৪)
বাংলা ভাষায় রচিত এমন কোনো কিতাব সম্পর্কে আপাতত জানি না।তবে আপনাকে পরামর্শ দেবো, আপনি বাংলা মিশকাত শরীফ ক্রয় করে নিবেন।সেখানে,আত্মীয়তার সম্পর্ক সহ আরো অনেক কিছু জানতে পারবেন।সর্ব বিষয়ের হাদীস এখানে রয়েছে।
হ্যা, থানভী রাহ বা মুফতি তাকী উসমানি দাঃবাঃ এর কোনো কিতাব এ বিষয়ে রয়েছে কি না? গুগলে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন। বা দেওবন্দী কোনো আলেমের কিতাব রয়েছে কি না দেখে নিবেন।
(১৫)
মাতাপিতার খেদমত
তাকি উসমানি দাঃ বাঃ রচিত
কিতাবখানা পড়বেন।
তাকি উসমানি রচিত
ইসলাম আউর হামেরি জিন্দেগী,ইসলাহি খুতবাত,ইসলাহী মাজালিস
কিতাবগুলো পড়বেন। তাছাড়া উনার রচিত আরো অনেক কিতাব রয়েছে। থানভী রাহ রচিতও অনেক কিতাব রয়েছে।সেগুলোও পড়তে পারেন।