ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনসমুক্ষে বসা ছিলেন, এমন সময় তাঁর কাছে এক ব্যাক্তি এসে জিজ্ঞাসা করলেন ’ঈমান কি?’ তিনি বললেনঃ ’ঈমান হল, আপনি বিশ্বাস রাখবেন আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফিরিশতাগণের প্রতি, (কিয়ামতের দিন) তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের প্রতি এবং তাঁর রাসূলগণের প্রতি। আপনি আরো বিশ্বাস রাখবেন পুনরুত্থানের প্রতি। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, ’ইসলাম কি?’ তিনি বললেনঃ ’ইসলাম হল, আপনি আল্লাহর ইবাদত করবেন এবং তাঁর সঙ্গে শরীক করবেন না, সালাত (নামায/নামাজ) কায়েম করবেন, ফরয যাকাত আদায় করবেন এবং রমযানের সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন করবেন। ঐ ব্যাক্তি জিজ্ঞাসা করলেন, ’ইহসান কি?’ তিনি বললেনঃ ’আপনি এমন ভাবে আল্লাহর ইবাদত করবেন যেন আপনি তাঁকে দেখছেন, আর যদি আপনি তাঁকে দেখতে না পান তবে (বিশ্বাস রাখবেন যে,) তিনি আপনাকে দেখছেন।
ঐ ব্যাক্তি জিজ্ঞাসা করলেন, ’কিয়ামত কবে?’ তিনি বললেনঃ ’এ ব্যাপারে যাকে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে, তিনি জিজ্ঞাসাকারী অপেক্ষা বেশি জানেন না। তবে আমি আপনাকে কিয়ামতের আলামতসমূহ বলে দিচ্ছিঃ বাঁদী যখন তার প্রভুকে প্রসব করবে এবং উটের নগণ্য রাখালেরা যখন বড় বড় অট্টালিকা নির্মাণে প্রতিযোগিতা করবে। (কিয়ামতের বিষয়) সেই পাঁচটি জিনিসের অন্তর্ভূক্ত, যা আল্লাহ্ ছাড়া কেউ জাননা। এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই আয়াতটি শেষ পর্যন্ত তিলাওয়াত করলেনঃ (إِنَّ اللَّهَ عِنْدَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ) “কিয়ামতের জ্ঞান কেবল আল্লাহই নিকট।” (৩১ : ৩৪) এরপর ঐ ব্যাক্তি চলে গেলে তিনি বললেনঃ ’তোমরা তাকে ফিরিয়ে আন।’ তারা কিছুই দেখতে পেল না। তখন তিনি বললেন, ’ইনি জিবরীল আলাইহিস সালাম। লোকদের দ্বীন শেখাতে এসেছিলেন। আবূ আব্দুল্লাহ বুখারী (রহঃ) বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসব বিষয়কে ঈমানের অন্তর্ভুক্ত করেছেন৷(সহীহ বোখারী-৫০)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার ধারণা ভুল ছিল। ঈমান হল, আল্লাহ এবং রাসূলুল্লাহ সাঃ এর উপর ঈমান রাখা। শুধুমাত্র আল্লাহর উপর ঈমান নিয়ে আসলে,আপনার ইমান অর্ধেক হবে।পূর্ণ ঈমান নিয়ে আসার জন্য আল্লাহ এবং তার রাসূলের উপর ঈমান আনতে হবে।তবে আপনার ঐ ধারণার জন্য কোনো সমস্যা হয় নাই।কেননা আপনি তো পরে বুঝে নিয়েছেন।
(২)
সমস্ত রাসূলগণের প্রতি ঈমান আনয়ন করতে হবে। নতুবা পরিপূর্ণ ঈমান হবে না।কেননা আল্লাহ কুরআনে সমস্ত রাসূলদের আলোচনা করেছেন।
(৩)
না, সমস্যা হবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/48394
(৪)
আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।আপনার বোনদের বিয়ে হয়ে গেছে, তাই টুকটাক জিনিষ আপনাকে দিলে আপনার বোনকেও যে দিতে হবে, এমনটা নয়।বরং বড় ধরণের সম্পদ বন্টনের ক্ষেত্রে আপনার সাথে সাথে আপনার বোনকে মুনাসিব পর্যায়ের হিস্যা দেওয়া আপনার পিতা মাতার উচিৎ।তবে তাদের উপর ওয়াজিব।তারা কমবেশ করে দিতে পারবেন।