আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
117 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (25 points)
হুজুর ঈমান ভংগের কারন জানার পর বিভিন্ন কথা মনে পরতেছে।
১.হুজুর আমি একদিন কোথাও পরছিলাম  রাসুল সাঃ এর প্রতি ঈমান আনা সম্পর্কে। তো আমি তখন মনে মনে ভাবলাম ঈমান আনতে হবে তো আল্লহর প্রতি। তখন আমি ঈমান বলতে ইবাদত এরকম বুঝেছিলাম বা আল্লাহ তো এক তাই তাঁর প্রতি ঈমান আনতে হবে এ রকম বুঝেছিলাম। এরকম বোঝার কারনে কি আমার ঈমানের সমস্যা হবে?

আমি বিশ্বাস করি রাসুল সাঃ আল্লাহর সর্বশেষ নবি ও রাসুল। আমি আসমানি কিতাবসমুহ, সকল নবি ও রাসুলগন,ল্ফেরেশতাগন, তাকদিরের ভালো মন্দ,  পরকাল সব বিশ্বাস করি।আমি পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি।

২.আমি দেখেছিলাম রাসুল গনের প্রতি ঈমান আনা বিষয়ে। তখন আমি মনে করেছিলাম  এখানে তো রাসুলগনের কথা আছে, সকল নবিদের প্রতি কি ঈমান আনতে হবে না? তখন আমি হাদিস দেখে বুজতে পারি। হাদিসে নবিগনের কথা লেখা ছিল।এই না জানার কারনে কি ঈমান ভংগ হবে?

৩.কেউ যদি ঈমানের আরকানগুলো না জানে কিন্তু সবকিছু বিশ্বাস করে তাহলে কি তার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

৪.হুজুর আমি একটি ভিডিওতে   দেখেছিলাম জিবিত অবস্থায় পিতা মাতা যদি সন্তানকে কিছু দিতে চায় তাহলে সবাইকে সমান ভাবে দিতে হবে।  এটা দেখার পর আমি ভেবেছিলাম আমার বোনদের তো বিয়ে হয়ে গেসে। এভাবে মেইনটেইন করে সমানভাবে দেয়া কিভাবে সম্ভব।এই ভাবে ভাবার কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে? আর এটা কি কুরআনের আয়াত?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনসমুক্ষে বসা ছিলেন, এমন সময় তাঁর কাছে এক ব্যাক্তি এসে জিজ্ঞাসা করলেন ’ঈমান কি?’ তিনি বললেনঃ ’ঈমান হল, আপনি বিশ্বাস রাখবেন আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফিরিশতাগণের প্রতি, (কিয়ামতের দিন) তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের প্রতি এবং তাঁর রাসূলগণের প্রতি। আপনি আরো বিশ্বাস রাখবেন পুনরুত্থানের প্রতি। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, ’ইসলাম কি?’ তিনি বললেনঃ ’ইসলাম হল, আপনি আল্লাহর ইবাদত করবেন এবং তাঁর সঙ্গে শরীক করবেন না, সালাত (নামায/নামাজ) কায়েম করবেন, ফরয যাকাত আদায় করবেন এবং রমযানের সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন করবেন। ঐ ব্যাক্তি জিজ্ঞাসা করলেন, ’ইহসান কি?’ তিনি বললেনঃ ’আপনি এমন ভাবে আল্লাহর ইবাদত করবেন যেন আপনি তাঁকে দেখছেন, আর যদি আপনি তাঁকে দেখতে না পান তবে (বিশ্বাস রাখবেন যে,) তিনি আপনাকে দেখছেন।
ঐ ব্যাক্তি জিজ্ঞাসা করলেন, ’কিয়ামত কবে?’ তিনি বললেনঃ ’এ ব্যাপারে যাকে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে, তিনি জিজ্ঞাসাকারী অপেক্ষা বেশি জানেন না। তবে আমি আপনাকে কিয়ামতের আলামতসমূহ বলে দিচ্ছিঃ বাঁদী যখন তার প্রভুকে প্রসব করবে এবং উটের নগণ্য রাখালেরা যখন বড় বড় অট্টালিকা নির্মাণে প্রতিযোগিতা করবে। (কিয়ামতের বিষয়) সেই পাঁচটি জিনিসের অন্তর্ভূক্ত, যা আল্লাহ্ ছাড়া কেউ জাননা। এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই আয়াতটি শেষ পর্যন্ত তিলাওয়াত করলেনঃ (إِنَّ اللَّهَ عِنْدَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ) “কিয়ামতের জ্ঞান কেবল আল্লাহই নিকট।” (৩১ : ৩৪) এরপর ঐ ব্যাক্তি চলে গেলে তিনি বললেনঃ ’তোমরা তাকে ফিরিয়ে আন।’ তারা কিছুই দেখতে পেল না। তখন তিনি বললেন, ’ইনি জিবরীল আলাইহিস সালাম। লোকদের দ্বীন শেখাতে এসেছিলেন। আবূ আব্দুল্লাহ বুখারী (রহঃ) বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসব বিষয়কে ঈমানের অন্তর্ভুক্ত করেছেন৷(সহীহ বোখারী-৫০)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার ধারণা ভুল ছিল। ঈমান হল, আল্লাহ এবং রাসূলুল্লাহ সাঃ এর উপর ঈমান রাখা। শুধুমাত্র আল্লাহর উপর ঈমান নিয়ে আসলে,আপনার ইমান অর্ধেক হবে।পূর্ণ ঈমান নিয়ে আসার জন্য আল্লাহ এবং তার রাসূলের উপর ঈমান আনতে হবে।তবে আপনার ঐ ধারণার জন্য কোনো সমস্যা হয় নাই।কেননা আপনি তো পরে বুঝে নিয়েছেন।

(২)
সমস্ত রাসূলগণের প্রতি ঈমান আনয়ন করতে হবে। নতুবা পরিপূর্ণ ঈমান হবে না।কেননা আল্লাহ কুরআনে সমস্ত রাসূলদের আলোচনা করেছেন।

(৩)
না, সমস্যা হবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/48394

(৪)
আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।আপনার বোনদের বিয়ে হয়ে গেছে, তাই টুকটাক জিনিষ আপনাকে দিলে আপনার বোনকেও যে দিতে হবে, এমনটা নয়।বরং বড় ধরণের সম্পদ বন্টনের ক্ষেত্রে আপনার সাথে সাথে আপনার বোনকে মুনাসিব পর্যায়ের হিস্যা দেওয়া আপনার পিতা মাতার উচিৎ।তবে তাদের উপর ওয়াজিব।তারা কমবেশ করে দিতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...