যাদের বান্দার হক নষ্ট করা হয়েছে তাদের কাছে মাফ চাওয়ার সময়সীমা নিয়ে প্রশ্ন

Question

আমি এডমিশন পরীক্ষার্থী। জ্ঞান না থাকায় আমার দ্বারা ছোট ছোট বান্দার হক নষ্ট হয়েছে। অনেকের কাছে মাফ ও চেয়েছি। আর কয়েকজনের মাফ চাওয়া  ্্কা্্কা্্কা্্ছে্্কা্্্কা্্কা্্কা্্ছে্্ক।   বাকি আছে। এসব নিয়ে চিন্তা করতে ইতোমধ্যে কিছু পরীক্ষা খারাপ হয়েছে। আমি নিয়ত করেছি পরীক্ষা শেষ হলে আস্তে আস্তে মাফ নিয়ে নিবো। কয়েক মাস পর। এমন কি করা যাবে?  কারণ আমি এক জায়গায় শুনেছিলাম যে কারো হক নষ্ট করলে তার কাছে মাফ চেয়ে না ঘুমাতে। কিন্তু এখন আমার ক্ষেত্রে একজনের কাছে মাফ চাওয়া হলে আরেকজন জনের কাছে মাফ চাইতে হবে এমন কিছু মনে পড়ছে যার কারণে একটার পর একটা একজনের পর আরেকজন মাফ চাওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে।আর মাথায় আসে যাদের কাছে মাফ চাওয়া লাগবে তারা যদি মারা যায়।আমি কিভাবে মাফ নিব। আমার প্রশ্ন তারা যদি মারাও যায়, আমার নিয়তের কারণে আল্লাহ ্্  কি আমাকে মাফ করে দিবেন?যদি কিছু ঘটে।মানে তাদের কেউ যদি মারা যায় আমার মাফ চাওয়ার আগে। আমার প্রশ্ন আমি কি কয়েক মাস পর মাফ চাইতে পারবো? নাকি তাড়াহুড়ো করে কয়েকদিনের মধ্যে মাফ চাওয়া লাগবে?

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم
  " ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ "
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না।(তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)
আরো জানুন-https://www.ifatwa.info/3747

গীবত বান্দার হক্ব।যার গীবত করা হল,তার হক্বকে নষ্ট করা হলো।আর শরীয়তে বান্দার হক্ব নষ্ট করার বিধান হলো,যার হক্ব নষ্ট করা হয়েছে,সম্ভব হলে তার হক্ব-কে আদায় করা বা ক্ষতিপূরণ দেয়া।নতুবা তার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নেয়া।শতচেষ্টার পরও যদি এগুলো সম্ভবপর না হয়,তাহলে আল্লাহ কাছে কায়মনোবাক্যে আহাজারি করে মাফ চাওয়া।হয়তো আল্লাহ ক্ষমা করে দিতে পারেন।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1012

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যতদ্রুত সম্ভব তাদের সবার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিবেন।সময়-সুযোগ থাকা সত্বেও অবহেলা করা আপনার জন্য কখনো উচিৎ হবে না। কেননা কে কখন মারা যাবে তার তো নির্দিষ্ট কোনো সময় নাই। হ্যা,ব্যস্ততার কারণে আপনার নিকট যদি বর্তমানে সময় সুযোগ না থাকে, যেজন্য আপনি পরবর্তীতে ক্ষমা চাওয়ার নিয়ত রাখেন, তাহলে সেটারও রুখসত আপনার থাকবে। এরমধ্যে কেউ মারা পরলে, যেহেতু আপনার ক্ষমা চাওয়ার নিয়ত ছিল, তাই আপনাকে পাকরাও করা হবে না,ইনশা'আল্লাহ।